![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একুশের প্রথম প্রহরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে তার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবীদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক মাটিতে পড়ে যান।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে একুশে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ২০ মিনিটে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। পথে হাইকোর্ট মোড় ও দোয়েল চত্বরে দুই দফায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আটকানো হয়। রাত দেড়টায় খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে পৌঁছালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ কয়েকজন শিক্ষক তাকে এগিয়ে আনতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে আসেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান পড়ে যান। পরে খালেদা জিয়ার সঙ্গের নেতাকর্মীরা শহীদ বেদীতে উঠতে গেলে সেখানে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবীরা বাধা দেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন।
বিএনপি কর্মীদের মারধরে রোভার স্কাউটের সদস্য মো. তানসির রাব্বি (বাঁধন), রিয়াজ ও জুবায়েরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। জুবায়ের ডান হাতে, বাঁধন ডান পায়ে হাঁটুর নিচে এবং রিয়াজ এক পায়ে আঘাত পেয়েছেন। শহীদ মিনারে র্যাবের অস্থায়ী চিকিত্সা কেন্দ্রে তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেয়া হয়। জুবায়ের বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী যখন ফুল দিতে শহীদ মিনারের বেদীতে উঠছিলেন ঠিক তখনই উনার দলের কর্মীরা আমাদের ধাক্কা দিয়ে মূল বেদীর দিকে দৌড় দেয়। এ সময় আমরা নিচে পড়ে গেলে আমাদের উপর দিয়েই চলে যায় তারা।’ বিএনপি কর্মীদের অনেকে জুতা পরে শহীদ বেদীতে ওঠেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনার একটি টেলিভিশন ফুটেজে কয়েকজনকে স্যান্ডেল হাতে মারপিটে উদ্যত হতে দেখা গেছে। অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের পড়ে যাওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, ‘ভিসি স্যারসহ আমরা কয়েকজন শিক্ষক উনাকে (খালেদা জিয়া) রিসিভ করতে গেলে বিএনপি কর্মীরা দুইদিক থেকে আমাদের চাপ দেন। এতে ভিসিসহ আমরা মাঝখানে পড়ে যাই। এক পর্যায়ে জিয়া স্যার নিচে পড়ে যান।’ তিনি বলেন, ‘ভিসি স্যারকে দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে বলে আগে থেকেই আভাস পেয়েছিলাম। এ কারণে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিলাম।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
আহমেদ রশীদ বলেছেন: হুমম! সেটাই
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
উল্টা দূরবীন বলেছেন: চলিতেছে সার্কাস।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
আবুলের বাপ রিটার্নস বলেছেন:
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গান পাউডারসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ১০টি হাতবোমা ও ১৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তবে আটকের ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল।
তিনি বলেন, শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর এমপি নাবিল আহমেদের সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসী ম্যানসেলের নেতৃত্বে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর এমপির গাড়িচালক গুলিবর্ষণ শুরু করে। আর পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের আটক করে।
যশোরে শহীদ মিনারে বোমাবাজি, আটক ১০
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
জাহিদুল হক অমি বলেছেন: শকুনি আইসে গরুর মৃত্যুর শোক জানাইতে !!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
বিজন রয় বলেছেন: চলুক।