নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৯০\'র সাবেক ছাত্র নেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীন নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়ী

আহমেদ_শাহীন

দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।

আহমেদ_শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগণের ভিতর থেকে আর একটি রাজনীতির অভুদ্যয় হবে

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩২

রাজনীতিতে জন সম্পৃক্ততা অনেক কমে গিয়েছে । রাজনীতি এখন নির্দিষ্ট শ্রেণী ও স্বার্থের প্রতিনিধি । সাধারন গন মানুষ এখন রাজনীতিতে তাদের স্বার্থ খুজে পাচ্ছে না । গুটি কয়েক লুটপাটকারী ও তাদের চামচা ও পেটোয়া বাহিনি এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সক্রিয় । বড় দুটি দল একই শ্রেণীর প্রতিনিধি বিধায় শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যের রাজনীতির প্রতি সাধারন জনগণ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে । যে দল ক্ষমতায় যেতে চায় তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে মানুষ পরিস্কার না । আবার যারা ক্ষমতায় আছে তারা যা করছে তাতেও ব্যপক জন সমর্থন নেই । বরং আছে ব্যপক সমালোচনা ও প্রতিবাদ । এই সমালোচনা ও প্রতিবাদ আবার বিরোধী পক্ষ নিজেদের ভাবছে কিন্তু তা বিরোধী পক্ষের নয় । বরং তারা এই পরিস্থিতির অবসান চায় । এই চাওয়া মানেই পরিবর্তন । পরিবর্তন এর পক্ষে যখনই ব্যপক জন সমর্থন তৈরি হবে তখন দুই দলই একই সুরে কথা বলবে । টেলিভিশনের টক শো তে অনেকবার দেখেছি সুশীল সমাজের বুরুদ্ধে দুই দলকে একই সুরে কথা বলতে ।
যেহেতু লুটেরা শ্রেণী রাজনীতিকে দখল করে ফেলেছে কাজেই রাজনীতিতে কোন আদর্শ নেই । একমাত্র আদর্শ দলের পদ হাসিল ও তা ব্যবহার করে অর্থ বিত্ত অর্জন করা । ফলে ক্ষমতা দখলের রাজনীতিই এখানে প্রধান ইস্যু । এই কারনে রাজনীতি থেকে ভদ্রতার সংস্কৃতি উঠে গিয়ে এমন আকার ধারন করেছে যে সাধারন জনগণ পর্যন্ত তা আলোচনায় আনছে । যে দল ক্ষমতায় আছে আর যে দল ক্ষমতা দখল করতে চায় দুইজন পরস্পরের শত্রু । দেশ ও জাতীর স্বার্থের রাজনীতি কখনও পরস্পরকে শত্রুতে পরিনত করে না বরং একে অপরকে সমালোচনা করে সাহায্য করে । এখন যারা সম্পদের পাহাড় গড়ার সুযোগ পাচ্ছে আর যারা পাচ্ছে না এই দ্বন্দ্ব তাদের মাঝে । এই বিষয়টা জনগণের কাছে পরিস্কার । আর এই সুযোগটাই ক্ষমতাসীনরা নিচ্ছে । এর প্রভাবে যে নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম হচ্ছে তা জনগণকে কোন দিক নির্দেশনা দিচ্ছে না । এতে জনগণ আস্তে আস্তে নিজেরাই একটি পক্ষ হয়ে যাচ্ছে । এর প্রতিফলন যখন পরতে শুরু করবে তখন জনগণের ভিতর থেকে আর একটি রাজনীতির অভুদ্যয় হবে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১

খেলাঘর বলেছেন:


সঠিক ভাবনা

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

বেকার যুবক বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
হ্যাঁ জনগণের ভেতর থেকেই নতুন রাজনীতি সূত্রপাত হবে। পৃথিবীর ইতিহাসও এটাই। তবে, সেটা প্রত্যক্ষ রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের আকারে হলে বিপদজনক হবে এবং ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

এক্ষেত্রে দুইধরনের রাজনীতি হতে পারে,
১। কেউ বা কোন গোষ্ঠী যারা রাজনীতি করে এদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে পারে, কিংবা সাধারণ মানুষদের মধ্য থেকে বাছাই করে প্রশিক্ষিত করে কিছু মানুষকে প্রচলিত দলগুলোর ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে, যাতে এই দলগুলো ভালো এবং সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতে পারে।

অথবা

২। ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অরাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে অগ্রসর হতে পারে, এবং নির্দিষ্ট সময়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

যেটিই হোক দেশের কল্যাণচিন্তা যেন আমাদের মনে সবার আগে স্থান পায়। আর প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথে যেন আমরা দ্বন্ধ সংঘাতে না জড়িয়ে বন্ধুত্ব ও প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করতে পারি, সেদিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.