নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৯০\'র সাবেক ছাত্র নেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীন নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়ী

আহমেদ_শাহীন

দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।

আহমেদ_শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে বাংলাদেশে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি উত্থান সম্ভব নয়

০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

১৯৯০ এর পূর্বে ৮০ দশকে বাংলাদেশের মোট জিডিপি'র ৩২% ছিল কৃষি খ্যাত ও ১২% ছিল শিল্প খ্যাতে । সেই রকম একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে ১৯৯০ এঁর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম হয়, এঁর মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক আস্থা জনমনে ও বৈশ্বিক বিশ্বে তৈরি হোল । সেই সাথে লুটপাটের কালো টাকা উৎপাদন খ্যাত সহ নানা খ্যাতের ব্যবসায় বিনিয়োগ শুরু হোল । আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র পর্যায়ক্রমিক শাসন ব্যবস্থায় এই লুটপাটও বৃদ্ধি পেল সেই সাথে আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগও বৃদ্ধি পেল । তৈরি হল প্রচুর প্রাইভেট ব্যাংক , মিডিয়া , গার্মেন্টস এঁর বড় উৎপাদন প্রক্রিয়া , সিমেন্ট সহ অন্যন্য শিল্প , রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ইত্যাদি । এই সমস্ত উন্নয়নের বেনিফেসিয়ারিরা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত লোকজন , যা বর্তমানেও অব্যহত আছে । ১/১১ এসে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে যে ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র যদি Flexible থাকলে কি হয় না থাকলে কি হয় । ১/১১ এঁর পরে রাষ্ট্রের পূর্বতম Flexible চরিত্র বিলুপ্ত হওয়ায় আভ্যন্তরিন বিনিয়োগে অনেক করাকরি আরোপ হয়েছে বিধায় লুটপাটের টাকা পূর্বের তুলনায় বিনিয়োগ না হয়ে বেশি পাচার হয়ে যাচ্ছে । তা না হলে অর্থনীতির চেহারা আরও উন্নত হতো ।

রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই লুটপাট ও তা শিল্প ব্যবসায় বিনিয়গের মাধ্যমে গত ২৪ বছরে একটি নতুন শ্রেণী তৈরি হয়েছে । এঁর সাথে জরিত গোটা দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা । এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার যে সার্কেল তা দ্বারা এই দেশের জনগণের দৈনন্দিন জীবন পরিচালিত হয় । আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র সাথে এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক ব্যবসায়ী শ্রেণী এমন ভাবে জরিত যে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উপর আস্থা রাখা এদের পক্ষে সম্ভব নয় । ১/১১ ঠিক এই কারনেই ব্যর্থ হয়ে আপোষ করে বিদায় নিয়েছে ।

২০১০ সাল পর্যন্ত কৃষি খ্যাত মোট জিডিপি'র ১৮% ও শিল্প ৩০% ( ২০১৪ সালে কৃষি খ্যাত আরও কমে ১৬.৩৩% হয়েছে ) এ থেকে বোঝা যায় যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র এই দেশের ব্যবসায়ী শ্রেণীর উপর কতটা প্রভাব রয়েছে । যেহেতু বিএনপি'র আমলে কালো টাকা বেশি বিনিয়োগ হয়েছে কাজেই তাদের আমলেই ব্যবসায়ী শ্রেণী বেশি তৈরি হয়েছে এবং ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের Flexible চরিত্র বিএনপি আমলে ভাল ছিল । যেহেতু ১/১১ আওয়ামীলীগ এঁর মাধ্যমে এক্সিট হয়েছে এবং ১/১১ এঁর ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রকে তুলনামূলক বেশি শৃঙ্খলিত করার চেষ্টা করেছে , ফলে কালো টাকার আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ না হয়ে পাচার হয়েছে এবং সাধারন জনগণও খুব বেশি সুফল পায় নাই ।

তবে কমিউনিস্টরা যদি ঠিক ভাবে এদেশের মেহনতি শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তবে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা সম্ভব ।

আবার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমেও তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলা সভব



নিচে জিডিপি % এর লিংক দেয়া হল

Click This Link

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো পর্যবেক্ষণ

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৯

আহমেদ_শাহীন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০২

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: আপনি কোন কমিউনিস্টদের কথা বলছেন................??????????????

১। যারা মস্কোপন্থী
২। যারা পিয়ং ইয়ং পন্থী
২। যারা চীনপন্থী
৪। যারা চে বা ফিদেলদের সমর্থক।

আপনি যদি বামদের ভাঙনের ইতিহাস দেখেন। চোখ কপালে উঠে যাবে
তৃতীয় তো পরের কথা তিনশ তম নিয়ে টানাটানি :#>

১। শেখ মুজিবের সাথে বিদ্রোহ করে সিরাজুল ও আ স ম রবের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম জাসদ হয়...

২.এরপর ইনু একদিকে, মেনন আরেকদিকে এবং মতিয়া, নাহিদ, লেলিন লীগে

৩। মির্জা ফখরুল, এমকে আনোয়ার বিএনপিতে ভাত পায়.............

এরাই কি তৃতীয়শক্তি B:-)

চাচা এরশাদ একদিকে আর চাচী বিপরীত দিকে। যেন এক ঘরে দুই সতীন :((

বাকী থাকল একটি..............জামায়াত দেখা যাক কি হয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৫

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: 'যে কারনে বাংলাদেশে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি উত্থান সম্ভব না' শিরোনামের সাথে 'তবে কমিউনিস্টরা যদি ঠিক ভাবে এদেশের মেহনতি শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে তবে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা সম্ভব' বলে উপসংহার টানা নিজের সাথেই মতানৈক্য হল না? কমুনিজম আর কখনও পৃথিবীতে ফিরে আসবে না, মিলিয়ে যাওয়ার আগে শুধু দু-একটা বুদ্বুদ দেখতে পাচ্ছি মাত্র. তবে পুঁজিবাদী সমাজ ও অর্থনীতিতে উন্নতি ও ধ্বসের সংশোধনী চক্র চলতে থাকবে. ভবিষ্যতে বিশ্বের পুঁজিবাদ হয়ত এখনকার পুঁজিবাদের মত থাকবে না, তাতে সাম্যবাদের মিশেলও থাকতে পারে, তা কে বলতে পারে?

আর বাংলাদেশে কেউ হলফ করে বলতে পারবে না যে ভবিষ্যতে কী হবে. আম আদমি দিল্লিতে হঠাত করেই এল না? তাদের উত্থান তিন বছর আগে কে কল্পনা করেছিল? কোল্ড ওয়ার-পরবর্তী বিশ্বে বাংলাদেশে আর্মি ক্ষমতায় আসবেনা বলে সবাই নিশ্চিত ছিল, ১/১১ এ ফখরুদ্দিন সরকারের অন্তরালে ভার্চুয়ালি আর্মিই এল. এর আগে আর্মি যখন ইন্টারভেন করল না তখন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর নামের চমক নিয়ে মহিউদ্দিন আলমগীর সিভিল সার্ভেন্ট ক্যু করলনা? আমেরিকা আর আর্মির সরকার সাপোর্ট করে না, এই আপ্তবাক্য কি ইজিপ্টে মেলে? এই ২০১০-এ ইটিভিতে সব অর্থনীতির দিগগজরা এসে শেয়ার মার্কেট নিয়ে বলতেন, এখন ৯৬ সাল না, এখন ইলেকট্রনিক মার্কেটের যুগ, আর কখনও মার্কেট লুট হবে না, ৯৬-এর ধ্বস ফিরে আসবে না... এখন মার্কেট কারেকশন হচ্ছে... সবশেষে আমরা যে লুট ও ধ্বস পেলাম তা আবার পূর্বাবস্থায় কখনও ফিরে যাবে কেউ বলতে পারে না. বস্তুত, যেখানে নিয়ম নীতি চলে, সেখানে প্রেডিক্ট করা যায়. বাংলাদেশ চলে দুর্নীতি, লুট, ষড়যন্ত্র দিয়ে, এখানে প্রেডিক্ট করা আর তোতাপাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা সমান. ধন্যবাদ.

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৭

ওমর৭৮০ বলেছেন: লেখক এর পর্যবেক্ষণ এক্কেবারেই ভাল না । এই এশিয়া মহাদেশ এই সম্প্রতির প্রমান হল ভারত আর শ্রীলঙ্কা ।

বাংলাদেশ এ খুব শিগ্রই ইসলামিক কোন দলের উত্থানযে হবে সেটা বলাই বাহুল্য । কারন আমরা এখন যে পরিস্থিতিতে বাস করছি তাতে মিথ্যার প্রচারটা বেশি হচ্ছে তাই আমরা ভিতরের খবর জানি না বললেই চলে । তরুন প্রজন্মের কাছে আওয়ামীলীগ আর বি এন পি' র তেমন গ্রহনযোগ্যতা নাই, তারা নতুনত্ব চায়, এখন নতুনত্ব নিতে গিয়ে তারা জামায়াত ছাড়া আর কোন দল পাচ্ছে না, যদি ও তারা সম্পূর্ণ সমর্থন না থাকলেও পাই না তাই খাই না থিউরি অবলম্বনে জামায়াত কে মুড়ির মত গিলে ফেলবে । জামায়াত ছাড়া সুসংগঠিত আর কোন দলই এই দেশ এ । বি এন পি কে তো জামায়াত ই টিকাইয়া রাখছে । বি এন পি' র সমর্থন আছে কিন্তু যোগ্য নেতা নাই, আছে কিন্তু অভাব নাই তাই কর্মীরা কাকে মানবে সবসময় সেই দ্বিধাদন্দের মধ্যে ভুগে, আর আওয়ামীলীগ এবার পড়লেই শেষ । কয়েক টুকরা হবে । না হলে হতে বাধ্য । বহু কারন আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.