নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৯০\'র সাবেক ছাত্র নেতা মুখলেছউদ্দিন শাহীন নামে পরিচিত, বর্তমানে ব্যবসায়ী

আহমেদ_শাহীন

দার্শনিকেররা এযাবৎ জগৎটাকে শুধু ব্যখ্যা করেছেন , আসল কাজ হলো পরিবর্তন করা - কার্ল মার্কসের এ উক্তিটি আমার খুব প্রিয় ।

আহমেদ_শাহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খেলায় বানিজ্য থাকবে বিনোদনের অংশ হিসেবে, খেলার অংশ হিসেবে নয়

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৩৬

প্রতিটি স্বাধীন দেশে তার সামাজিক - সাংস্কৃতিক বিকাশ তার অর্থনৈতিক বিকাশের চরিত্রের উপর নির্ভরশীল । সেই চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাজনৈতিক চরিত্র না থাকলে তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় । প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে তার নিজস্ব পুজির বিকাশের স্বার্থের অবস্থান থেকে । যদি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পুজির প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে তবে তা

রাজনীতিতে ও তার সংস্কৃতিতে প্রতিফলিত হয় । এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার একটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে । এই দ্বন্দ্ব তত বেশি বাড়বে যত বেশি একে অপরের পুজি বিকাশে বাধাগ্রস্থ করবে । বাংলাদেশ ভারতীয় পুজি বিকাশে বাধাগ্রস্থ করার ক্ষমতা রাখে না কিন্তু নিজ পুজি বিকাশে ভারতের বাজার ব্যবহার করতে চায় , অপরদিকে ভারত বাংলাদেশের পুজির বিকাশে বাধাগ্রস্থ করতে চায় তার রাজনৈতিক স্বার্থে । সেই স্বার্থ তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য । বাংলাদেশের লাগোয়া সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যসমুহ থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেলে ভারত সেভেন সিস্টার রাজ্যসমুহকে আঞ্চলিক অখণ্ডতার স্বার্থে বেশি ভুরতকি দিতে হবে যা অন্য রাজ্যসমুহ রাজি হবে না । বাংলাদেশের সাথে ভারতের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আমদানি নির্ভর । এই আমদানির টাকা আবার বাংলাদেশ জোগাড় করে তার রপ্তানি খ্যাত থেকে । অর্থাৎ বাংলাদেশ ইউরোপ আমেরিকা তে জামাকাপড় বিক্রয় করে যে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে তার একটি অংশ দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করে । এইখানেই দুটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চরিত্রের মধ্যে পার্থক্য আছে । সেই পার্থক্যের কারনেই দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক - সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বিরাজমান ।

উপরন্তু দুই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও জনসংখ্যার অনুপাতের কারনে প্রবৃদ্ধি'র ফল বাংলাদেশ বেশি ভোগ করে । ফলে এখানে সামাজিক উন্নয়ন ভারত থেকে বেশি বলে একটি সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিদ্যমান । ১৯৯০ সালেও বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি ছিল জিডিপির ৩২% ও শিল্প ছিল ১২% , কিন্তু বর্তমানে কৃষি জিডিপির ১২% ও শিল্প ৩০% । কিন্তু ভারতে ২০১২ সাল

পর্যন্ত কৃষি সেক্টর জিডিপি'র ৫০% এবং শিল্প ১১% । যদিও ভারত কৃষিকে রপ্তানি পন্যে পরিনত করতে পেরেছে কিন্তু প্রান্তিক কৃষক সেই রপ্তানির কোন ফল পাচ্ছে না । যে কারনে ভারতে এখনও ৬০ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে । সেখানে বাংলাদেশে এখন দরিদ্রসীমার নিচে আছে মাত্র কার্যত ১৫-২০% , তাও পুষ্টি জোগানের বিবেচনায় , অর্থনৈতিক বিবেচনায় নয় । বর্তমানে শহর থেকে গ্রামে দিন মজুরের ঘাটতি বেশি ।

ফোরবস ম্যাগাজিনে হিসেব মতে বিশ্বের ১৮০০ জন বিলিনিয়রের মধ্যে ভারতেরই আছে ৯০ জন । বাংলাদেশ এর ধারে কাছেও নেই । এটা কোন গর্বের বিষয় নয় বরং আমাদের জন্য আনন্দের যে সম্পদের কেন্দ্রিভবন আমাদের থেকে ভারতের বেশি । এতে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে গেলেও সাধারন মানুষ এতে উপকৃত হবে না । এই ধরনের অর্থনৈতিক সুচকের কারনে ভারতের

সাথে বাংলাদেশের সুস্পষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য আছে । বাংলাদেশ চায় ভারত বাংলাদেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্যের সম্পর্ক তৈরি করুক । যারা বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক নিয়ে আতঙ্কিত তাদের উচিত এই মুক্ত বাণিজ্যের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা । ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের বাজার আমাদের দরকার বিনিময়ে আমাদের ১৬ কোটির বাজারতো তাদের হাতে আছেই ।

যারা আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলেন , ভারত এর সমালোচনা করলে ভায় পান , আপনাদের ভারতীয় স্বার্থে বাংলাদেশকে দেখলে হবে না , বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় নেই । কালো টাকার বিশ্বের ২ স্থান অধিকারী ভারত সব জায়গায় অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে কালো টাকা বিনিয়োগের উপায় খোজে । খেলা ধুলাও এর হাত থেকে নিস্তার পায় না । খেলা ধুলা একটি নির্মল বিনোদন । সেখানে বানিজ্য থাকবে বিনোদনের অংশ হিসেবে , খেলা ধুলার অংশ হিসেবে নয় ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.