| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রায় ১ সপ্তাহ আগে শ্রদ্ধেয় আশরাফ ভাই ফোন করে জানালেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান উর্দু সাহিত্যের অনুবাদক জাফর আলম আমাকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন।
এর মধ্যেই বাংলা একাডেমির উপপরিচালক শ্রদ্ধেয় সরকার আমিন ভাইয়ের ফেসবুকে ‘জাফর ভাই জিন্দাবাদ’ শির্ষক একটি এলবাম দেখলাম। লাইক দিলাম। মন্তব্য করলাম, “তার স্মরণ শক্তি এবং প্রাণোচ্ছল হাসি আমাকে মুগ্ধ করে।” পরে চ্যাটিংয়ে আমিন ভাই বললেন-
: ফোন করে জাফর ভাইকে জানায়ো এই সচিত্র স্টাটাসটার কথা, খুশি হবেন।
: ঠিক আছে ভাই, আমি তার সাথে দেখা করতে যাবো কোন একদিন। তিনি আমাকে ডেকেছেন”
: লেপটপ নিয়ে তাকে দেখায়ো, ওনার তো ফেসবুক নাই,
: এইটা ভাল বলেছেন, আমি তাই করব
গতকাল সারাদিন মোবাইল ও টেলিফোনে স্যারকে (আমি স্যারই ডাকি) না পেয়ে সন্ধ্যায় লেপটপ নিয়ে হাজির হলাম তাঁর বাসার সামনে। দাড়োয়ানকে জিজ্ঞাস করলাম- আচ্ছা, জাফর স্যার কি বাসায় আছেন?
দাড়োয়ানই জানালেন সারাদিন ফোন না ধরার কথা।
স্যারের তো স্ট্রোক হয়েছে। তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
মে মাসের দুই তারিখই কেবল তিনি শ্রদ্ধেয় সরকার আমিন ভাইয়ের কাছে গিয়ে তার মৃত্যুর কথা বলেছেন, আমিন ভাইয়ের স্ট্যাটাস থেকে- “দুষ্টু হেসে বলে বসলেন তাহলে ‘আমি মারা যাবার পর অবিচুয়ারি লেখার দায়িত্বটা আপনার। ’ আমি হতভম্ব। কী কন জাফর ভাই! মারা যেতে পারে বডি, কিন্তু কখনোই অনুবাদক জাফর আলমের মৃত্যু সম্ভব না। বিষণ্ন হলাম অদ্ভুত অনুরোধে। কে জানে কার কখন মরার সময়! ছবিগুলো রেখে দিলাম মহাকালের জন্য। জাফর ভাই জিন্দাবাদ!
জাফস স্যারের তড়িৎ আরোগ্য কামনা করছি। সবাই তাঁর জন্য দোয়া করবেন।
‘জাফর ভাই (স্যার) জিন্দবাদ।’
সংযুক্ত ছবিটা আমিন ভাইয়ের এলবাম থেকে নিয়েছি।
©somewhere in net ltd.