নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা ব্যুরো প্রধান, ফোকাসবাংলানিউজ http://www.focusbanglanews.com http://www.facebook.com/biplob1972

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব

সত্য লিখতে বাঁধা কই, বাঁধা এলে মানবো কেন?

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি যৌক্তিক প্রশ্ন, অযৌক্তিক আলোচনা নয়

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

একটি যৌক্তিক প্রশ্ন, অযৌক্তিক আলোচনা নয়

যে সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের ধন, যে সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের রক্ষক তার বিপক্ষে কিছু বলতে গেলে বা লিখতে গেলে নিজেকে মাঝে মাঝে ভীষণ অপরাধীই মনে হয়! কেন এর বিরোধিতা করতে হবে আমাকে? আমি কি এই দেশের বাইরের কোন প্রাণী?

সমতলে যখন কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী মাঠে নেমে আসেন তখন আমরা স্বস্তিবোধ করি। নিজেদের নিরাপদ ভাবতে শুরু করি। যখন কোন জাতীয় নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন বা অন্যকোন নির্বাচন আসে তখন আমরা সর্বপ্রথম যে দাবী তুলি সেটি সেনা মোতায়েন করবার দাবী। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, সেনা মোতায়েন ছাড়া নির্বাচনের মাঠে সমতা বিধান নিশ্চিত সম্ভব নয়। রাজনীতিবিদদের অরাজনৈতিক চরিত্রের আচরণের কারণে আমরা মনে-প্রাণে কামণা করি দেশে সেনাশাসন চালু হোক। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া তখন আমরা যেন নিজেদের ভীষন অনিরাপদ মনে করি।

কোন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে যখন কোন সেনাবাহিনীর কাউকে নিয়োগ দেয়া হয় তখন আমরা ধরে নেই এই প্রতিষ্ঠানটি অন্তত সকল প্রকার দূর্নীতির বাইরে থাকবে। একজন সেনা কর্মকর্তা তখন আমাদের কাছে সর্বোচ্চ আস্থার প্রতীক হয়ে দেখা দেন। দেশের বড় বড় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে যখন সেনাবাহিনীর প্রকৌশল ইউনিটটিকে নিয়োজিত করা হয়ে থাকে তখন আমরা ধরে নিই এই প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হবে কোন ধরনের অনিয়ম ছাড়াই। হয়েছেও তাই। অনেক উদাহরণ আছে এক্ষেত্রে। সড়ক পথের অনিয়ম ঠেকাতে যখন মাত্র গুটিকতেক সেনা সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তখন আমরা দেখেছি যেটা হাজার হাজার ট্রাফিক পুলিশ পারেননি সেটা মাত্র কয়েকজন সেনা চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। সেনারা যখন রাস্তায় নামে তখন বাস-ট্রাক যেকোন যানবাহন নিয়মরীতি মেনেই সড়কে চলাচল করে, আমরাও কি সুন্দরভাবে সড়কের রীতি মেনে চলি, রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটি না, সুন্দরভাবে অনেকদূরের ফুটওভারব্রীজটা দিয়েই সড়ক পারাপার হই। এইদেশের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীই আমাদের আস্থা আর নিরাপত্তার প্রতীক।

তবে কেন আজ লিখতে হয় সেনাবাহিনীর বিপক্ষে? লিখতে হয় সমতলে দেখা এই সেনাবাহিনীকেই পার্বত্য অঞ্চলে ভিন্নরূপে দেখতে পাই বিধায়। পার্বত্য অঞ্চলে নানাবিধ কারণে সেনাবাহিনীর অবস্থান জরুরী সেটা যেকোন সুস্থ স্বাভাবিক নাগরিকমাত্র বুজেন। ভৌগলিক কারণ ছাড়াও আরো এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেটার কারণে প্রতিমুহুর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাদের অবস্থান ভীষণ জরুরী। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তা জরুরী। কেবলমাত্র স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েই নয় বরং সেই বৃটিশদের সময় থেকেই নানা কারণে এখানে সেনাদের নিয়োজিত করতে হয়েছিল। যা এখনো বিদ্যমান আছে। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যায় এখানে সেনাদের যা আদতেই যৌক্তিক বলে মনে হয়না। যেমন যেটা সাধারণ পুলিশের কাজ সেটা সেনাবাহিনীকে কেন করতে হবে? সুনির্দিষ্ট কোন দেশদ্রোহী কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই সেনাবাহিনী তার নিয়মতান্ত্রিকভাবেই করবে। কিন্তু কখনো কখনো এমন কিছু কর্মকান্ড দেখা যায় শোনা যায় যা আদৌতেই কোন রাষ্ট্রীয় নীতির আলোকে পরিচালিত হয় বলে মনে হয়না, বরং মনে হয় যেন কোন কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটাতেই বুজি আমাদের গর্বের বাহিনীটিকে ব্যবহার করছেন, একে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন! আর তখন আমাদের লেখাগুলোও যেন সেনাবাহিনীর বিপক্ষেই চলে যায় অবধারিতভাবে। কারণ ন্যায়-অন্যায়ের ক্ষেত্রেতো সেনা-সিভিলিয়ান বলে কিছু নেই পার্থক্য করবার মত। পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি সুনির্দিষ্টভাবেই সেনাশাসন চালু রাখা হয় সেক্ষেত্রে তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েই চালু রাখা উচিত নয়কি? সেক্ষেত্রে পুলিশী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত থাকবে, নিয়ন্ত্রিত থাকবে অন্যান্য বাহিনীগুলোর কাজকর্মও। সেটা সবাই মেনেও নিবেন। কিন্তু অলিখিত মার্শাল ল’য়ের মত পরিস্থিতি কেন সেখানে বিদ্যমান থাকবে। সেনাবাহিনী থাকবে সবার ভরসাস্থল হয়ে, ভীতির কারণ হয়ে কেন? সাধারণ বাঙালী কিংবা পাহাড়ী জনগণ কেউ কিন্তু ঠিক সেই অর্থে সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করছেননা কখনোই। তাদের বিরোধিতা সেনা অবস্থানের বিপক্ষেও নয়। তারা যেটা চান সেটা হলো সেনাবাহিনী তার সুনির্দিষ্ট দায়িত্বগুলোই পালন করুক, অযাতিত কিছু নয়। এটা নিশ্চয় অন্যায় কোন চাওয়া হতে পারেনা। বারবার আশ্বস্ত করার পরও সেখানকার মানুষের মন থেকে সেনাদের প্রতি ভীতিকর মনোভাব কেটে যাচ্ছেনা কেন? সেনারা সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসতে চাইলেও পারছেন না কেন? এই বিষয়গুলি দেখবার মত কোন কর্তৃপক্ষ কি নেই! সেখানকার সেনাবাহিনী কি আমাদের পরিচিত সেনাপ্রধান কিংবা সেনা সদর দপ্তরের আওতাধীন নয়! আর্মি হেডকোয়ার্টার ছাড়া আর কোন হেডকোয়ার্টার আছে কিনা সেনাবাহিনীর জন্য সেটাতো আমার জানা নেই। তাই যদি অনুরূপ কোন পৃথক সদর দপ্তর পার্বত্যের সেনাদের ক্ষেত্রে থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আমি অবশ্যই অপরাধী, না জেনে না বুজে সেনাবাহিনীর কাজকর্মের বিরোধিতা করবার জন্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.