নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা ব্যুরো প্রধান, ফোকাসবাংলানিউজ http://www.focusbanglanews.com http://www.facebook.com/biplob1972

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব

সত্য লিখতে বাঁধা কই, বাঁধা এলে মানবো কেন?

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজারে যখন আইসাই পড়ছি তো চাচার নামে একটা মামলা দিয়াই যাই!

০২ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

বাজারে যখন আইসাই পড়ছি তো চাচার নামে একটা মামলা দিয়াই যাই!

ট্র্যাডিশনাল বাঙালীর এই চিরচেনা চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি পাহাড়ে স্থানান্তরিত সমতলের বাঙালীরা, যাদের স্থানীয়ভাবে সেটেলার নামে অভিহিত করা হয়। পাহাড়ী-বাঙালী সংঘাত ঠিক সেদিন থেকেই শুরু যেদিন জাতির পিতার পাহাড়ে বাঙালী ঢুকিয়ে দেয়ার মৌখিক হুমকিটাকে পরবর্তীতে জেনারেল জিয়া বাস্তবে রূপ দিতে শুরু করেছিলেন। তার আগে সেখানে বসবাসরত আদি-বাঙালী আর পাহাড়ীদের মাঝে কোন সংঘাত কোনদিন দেখা যায়নি। এখনো সেটেলার বনাম পাহাড়ীদের নানা কারণে সংঘাত বহাল থাকলেও আদি-বাঙালী আর পাহাড়ীদের মাঝে কোন সংঘাত নেই।

পরিস্থিতি এখন এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে, পাহাড়ের বুকে কোন আদিবাসীর লাশ পাওয়া গেলে শুরুতেই বলা হয় এটা সেটেলার বাঙালীর কাজ। ঠিক অনুরূপভাবে সেটেলারদের লাশ পাওয়া গেলে প্রথমেই আঙ্গুল উঠানো হয় পাহাড়ী অাদিবাসীদের দিকে। এই দিক থেকে সেটেলার বাঙালীরা কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন তুলনামূলকভাবে পাহাড়ীদের চাইতে। কারণ তখন তারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ উভয় ভাবেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর সহায়তা পেয়ে থাকে। আর প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ভূমিকাও যেন- পাহাড় থেকে পাহাড়ীদেরই চিরতরে দেশান্তরিত করাটাই রাষ্ট্রীয় নৈতিক কর্তব্য!

আর এই সুবিধাটাকেই পুঁজি করে এখন পাহাড়ে কোন সেটেলার বাঙালী আত্মহত্যা করলেও শুরু হয়ে যায় সাধারণ নিরীহ পাহাড়ীদের উপর সেটেলারদের তান্ডবলীলা। বাড়ী-ঘর, দোকান-পাট জ্বালিয়ে দেয়া, ক্ষেতের ফসল নষ্ট করা, পাহাড়ীদের শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা, পাহাড়ী নারীদের ধর্ষণ কোনটাই বাদ রাখেনা সেটেলার বাঙালীরা।

সত্য মিথ্যা যাচাই করার কোন প্রয়োজনই বোধ করেনা তারা। এবার তো তাও এক সেটেলার বাঙালীর লাশ বাস্তবে পাওয়া গেছে। এমন ভয়ানক নজিরও আছে পাহাড়ের বুকে, শুধুমাত্র নিখোঁজ হয়েছে এমন ধোঁয়া ছড়িয়েই অসংখ্য পাহাড়ীকে নির্বিচারে হত্যা, বাড়ী-ঘর জ্বালানো, এলাকা এমনকি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে নিকট অতীতে।

এই মুহুর্তে পার্বত্য চট্টগ্রামের লংগদু অঞ্চলে চলছে ঠিক তেমনই পরিস্থিতি। গতকাল দীঘিনালা সড়কে পাওয়া যায় এক সেটেলার বাঙালীর লাশ যার এখনকার ঠিকানা লংগদুতে। আর তাকে কেন্দ্র করেই গতকাল থেকে সেখানে পরিস্থিতি হয়ে উঠে মারমুখী। সেটেলাররা দলে দলে জড়ো হতে শুরু করে। মসজিদের মাইক ব্যবহার করে তাদের একত্রিত করা হয়, পাহাড়ীদের উপর আক্রমণ চালাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে সকাল হতে না হতেই লংগদু এলাকা হয়ে উঠে রণক্ষেত্র। দলে দলে সেটেলাররা একত্রিত হয়ে আক্রমণ চালায় সেখানকার পাহাড়ী বাড়ী-ঘর আর প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সাধারণ পাহাড়ীরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় বাড়ী-ঘর ছেড়ে। আর বাড়ী-ঘর খালি পেয়ে তাতে ইচ্ছেমত লুটপাট চালিয়ে শেষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে সেই বাড়ী-ঘরগুলো।

এখন পর‌্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবার প্রয়াসে প্রশাসনের কোন ধরণের হস্তক্ষেপের খবর পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.