নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা ব্যুরো প্রধান, ফোকাসবাংলানিউজ http://www.focusbanglanews.com http://www.facebook.com/biplob1972

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব

সত্য লিখতে বাঁধা কই, বাঁধা এলে মানবো কেন?

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনের রক্ষকই যদি বেআইনী কাজ করে তাহলে উপায় কি?

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৫

আইনের রক্ষকই যদি বেআইনী কাজ করে তাহলে উপায় কি?

খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে আজ যা ঘটে গেল তার প্রতি ধিক্কার জানালেও বুজি কম বলা হয়! হিল উ্ইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণের ২১ বছর পূর্তি, গত ২রা জুন রাঙামাটির লঙগদুতে নয়ন নামের একজন সেটেলার মটরচালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া প্রলয়কান্ড এবং গতকাল পরশু হতে বিরাজমান খাগড়াছড়ির উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রতিবাদে আজ খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজার এলাকায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত শান্তিপূর্ণ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এক পর্যায়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা মিছিলে উপস্থিত আদিবাসী মেয়েদের উপর চড়াও হয়ে চরমভাবে তাদের লাঞ্চিত করতে থাকে। স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণকৃত কয়েকটি ভিডিওতে সেই হামলার চিত্রটি পরিস্কার ফুটে উঠে। তাতে দেখা যায় যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর পুলিশের সদস্যরা মেয়েদের এলাপাতাড়ি লাথি, টানাটানি করছে। মেয়েদের ওড়না ধরে টানাটানি করতেও কয়েকজনকে দেখা যায়। অপর দুটি স্থির চিত্রের একটিতে দেখা যায় পুলিশ দুইজন আদিবাসী মেয়েকে আটক করে টেনেহিঁছড়ে নিয়ে যাচ্ছে, অন্যটিতে দেখা যায় যে ঐ দুটি মেয়েকে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে বেদমভাবে মারছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা! এটি কোন স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বাভাবিক চিত্র হতে পারেনা কোনক্রমেই। মেয়েদের আটক করে তাদের থানায় না নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে নিয়ে এভাবে অত্যাচার করাটা আদৌ কি শোভনীয়? দেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় বা অনুচ্ছেদে এমন আচরণের ক্ষমতা দেয়া আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে?

আজকের এই মিছিল থেকে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী এন্টি চাকমা আর সুমিতা ত্রিপুরাসহ রুপা চাকমা, কেটি চাকমা, বিশাখা চাকমা, সোনালী চাকমা, মেকিনা চাকমা, জনতা চাকমা, রুমিতা ত্রিপুরা এবং নাম না জানা আরো কয়েকজনসহ মোট ২৫ জন কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরে ৬ জনকে আটক রেখে বাকী ১৯ জনকে ছেড়ে দেয়। এই যে আজকে ঘটনাটা ঘটলো, এটাকে আপনি জাতিগত অত্যাচার বলবেন না তো কি বলবেন? পাহাড়ি মেয়েদের ওড়না ধরে টান দিতে একটা বাঙালী পুলিশ একটা মুহূর্তও দ্বিধা করে না। পাহাড়ি মেয়েদের লাথি ঘুষি মারতে একটি বাঙালী পুলিশ বা বিজিবি সদস্য একটুও অপরাধবোধে ভোগে না। কেন? রাষ্ট্র তার পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী নিয়োগ দিয়েছেন কেবলি কি আদিবাসীদের নিপীড়ন আর দমন করবার জন্যই?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.