![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য লিখতে বাঁধা কই, বাঁধা এলে মানবো কেন?
আমার জন্য,
আমাদের সবার জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে এই ছবিটিতে।
সৃষ্টিকর্তায় আমরা সবাই বিশ্বাসী, কিন্তু কখনো তাকে চোখে দেখিনি। দেখবার সুযোগটাও হয়তো নেই। কিন্তু একেবারেই যে কখনো দেখিনি তাইবা বলি কি করে! তাকে দেখিনি, কিন্তু তার প্রতিরূপ তো দেখেছি তারই সৃষ্টির মাঝে।
আমরা কিছু মানুষ পাহাড় নিয়ে লেখালেখি করি, পাহাড়ীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলার জানানোর চেষ্টা করি বাকীদের। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করবার সুযোগ হয়ে উঠেনি খুব একটা। কিন্তু একজন মানুষ রয়েছেন যিনি পাহাড়কে সত্যিই ভীষণ ভালবেসেছেন। অন্তর থেকে ভালবাসতে পেরেছেন পাহাড় আর পাহাড়ের বাসিন্দাদের। তাই যখনই কোন ঘটনা পাহাড়ে ঘটেছে তখনই ছুটে গেছেন তাদের কাছে। যখন যেভাবে যেটুকু পেরেছেন তাই নিয়ে ছুটে গেছেন পাহাড়ের কান্না থামানোর প্রয়াসে। সে মানুষটি আমাদের সবার প্রিয় রেজাউল করিম সুমন ভাই। তিনি শুধু আমাদের মত দূর থেকে কাজ করেননি, মাঠ পর্যায়ে ছুটেছেন প্রতিটি মুহুর্তে। কোন বাঁধাই তাকে আটকাতে পারেনি কখনোই।
সাজেকবাসীর খাদ্যসংকটে, লংগদুর ঘরপোড়া মানুষগুলোর জন্য সহায়তা সংগ্রহ কোন কাজেই পিছিয়ে ছিলেন। ব্যক্তিগত সকল কিছুকে জলাঞ্জলি দিয়ে এই ঈদেও ছুটে এসেছিলেন লংগদুর অসহায় মানুষগুলোর কাছে। তাদের মুখের হাসি আর ভাইয়ের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছে সেখানে সৃষ্টিকর্তার নিশ্চিত উপস্থিতিটা ছিল, ছিল অলক্ষ্যে- তাই সৃষ্টিকর্তার অবয়বটা হয়তো চোখে পড়ছেনা। কিন্তু তার সৃষ্টির অবয়বটাই কি যথেষ্ট নয় আমাদের জন্য!
সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় যেটি তা হলো, যে বাঙালীর দল জানোয়ারের মত আচরণ করে অনেকগুলো নিরীহ পাহাড়ীর ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে দিলো সেই বাঙালীরই আরেক সন্তানকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো পা ছুঁয়ে প্রণাম করছে! কেন? কি কারণে? একবার যদি হৃদয় থেকে সেই সত্যটুকু উপলব্ধি করা যায় তবে আর কখনোই পাহাড়ের বুকে এমন কোন অঘটন ঘটবার কথা নয়।
©somewhere in net ltd.