নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা ব্যুরো প্রধান, ফোকাসবাংলানিউজ http://www.focusbanglanews.com http://www.facebook.com/biplob1972

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব

সত্য লিখতে বাঁধা কই, বাঁধা এলে মানবো কেন?

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা, ঐটাতো আমাদের মিনি\'র হাগুই ছিল!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

মানুষ একটা, কোনদিকে যাইতাম কনতো!

একদিকে পাহাড়ে হলো মারমা তরুনী ধর্ষণ, এদিকে আমার প্রাণের ছাত্রলীগ ভিসিরে বাঁচানোর নাটক সাজাতে গিয়ে করলো কেলেঙ্কারি, তার উপ্রে ঐদিকে আমার স্যারে এই বুইড়া বয়সে আছাড় খেয়ে বসে আছে এক বাচ্চা মাইয়ার মুতে! কনতো কেমনে কি করুম, কারে থুইয়া কারে ধরমু নিজের পকেটের টাকায় কেনা ডাটা খরচ করনের লাইগা? আমি একটা বদের বদ! পকেটে টাকা থাকলে আমারে কামড়ায় কত তাড়াতাড়ি ঐ টাকা খরচ করা যাবে; আর নেট ব্যালেন্স থাকলে কই একটু ইউটিউব বা পূর্ণ বয়সের ভিডিও সাইট ভিজিট করমু তা না, এর ওর পাছায় লাগি থাকি আউলা ঝাউলা বাক্য বানাই তার রচনা লেখি ডাটা ব্যালেন্স শেষ করি!

ছাত্রলীগ আপাতত থাক, আমার মত মেলা আকাইম্মারে পাবেন ওদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করার দায়িত্ব পালন করতে! স্যারের কথাও বাদ দিলাম। সাধ যখন জাগছেই তখন একটু গরম তেলতো সহ্য করতেই হবে। আর তিনি প্রেম পিরিতী করলে সেটা নিজ দায়িত্বে করছেন। অপরাধী হলে উনার বউ বাচ্চাদের কাছে হতে পারেন। তিনি একজন আইনজ্ঞ, সম্ভবত ভাবীও। তারাই ভালো বুঝবেন কার কি করণীয়। আমার খামোখা পাটখড়ি দিয়ে কান খোঁচাইয়া কানের বারোটা বাজিয়ে লাভ নাই।

তাইলে বাকি রইলো ঐ মারমার মাইয়া আর তাগো লগে ইটিশপিটিশ খেলা মামুগোর গল্প। ঐ যে কইলাম আমি একটা বদের হাড্ডি। তাই নাকলম্বা হয়েও ঐ নাকবোঁচাইয়াগো টপিকটাই বেছে নিছি মেগাবাইটের বিষ মারতে! তাইলে গল্প শুরু করা যাক এবার।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ির ফারুয়া নামক এলাকায় রাইতের বেলা ঘর তল্লাশির নামে অস্ত্রের মুখে বাবা মাকে ঘরের বাইরে আটকে রেখে মারমা পরিবারের দুই মেয়ের একজনকে ধর্ষণ এবং অপর জনকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে কয়েক সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে যথারীতি অভিযুক্ত পক্ষ অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য যা যা করণীয় করার চেষ্টা করেছেন। ইতিমধ্যে জনৈক রাসেল মারমা নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে একটি বিতর্কিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে অভিযুক্ত পক্ষটি যে মূল অপরাধী না সেই সাফাই গাওয়ার জন্য। যথারীতি পূর্ব নির্ধারিত সাজানো বক্তব্য দিয়ে সম্মেলন শেষও হয়েছে গতকাল। এখন ধরে নিলাম অভিযুক্ত পক্ষ মূল অপরাধী নয়। তাহলে হাসপাতালে এতো গোপনীয়তা আর কঠোর নিরাপত্তার আশ্রয় নিতে হবে কেন ভিকটীমদের চিকিৎসার জন্য? ভিকটীমদের বাবা, মা আর ছোটভাই কে শহরে এনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত করানো হলো অথচ তাদের ভিকটীমদের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি কেন? অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে সেনাবাহিনী সদস্যদের দিকে, তাহলে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোন প্রতিবাদ বা বিবৃতি না জানিয়ে বাইরের লোক দিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন কেন?

এতো এতো কেন এর উত্তর কিন্তু একটাই যা সচেতন সকলের কাছেই বোধগম্য। তারপরও হয়তো এই বোধগম্য উত্তর অতীতের অনেক ঘটনার মত চিরকাল আঁধারেই থেকে যাবে। তদন্তের পর তদন্ত হবে। সপ্তাহ গিয়ে মাস গড়াবে, মাস শেষে বছর, যুগ পেরিয়ে যাওয়াটাও বিচিত্র কিছু নয়; তবে উত্তর পাওয়া যাবে না, এই অবধি অনেকগুলোরই পাওয়া যায়নি।

ছোট্ট একটা ঘটনা দিয়ে ইতি টানছি। একবার ঘরে বিড়াল হাগু করেছিল বিছানার উপর। প্রথমেই বলেছি এটা বিড়ালের হাগু, কেউ মানলোনা। ছেলে পরীক্ষা করতে গিয়ে নিজের শরীরে লাগালো, ছেলের মা অধিক পরীক্ষার মানসে বিছানা থেকে চাদর তুলে সেটা ফ্লোরে ফেললো, কাজের মেয়ে ঘর নোংরা হবে দেখে সেটাকে ঝাড়ু দিতে দিতে বারান্দায় নিয়ে গেল। সর্বশেষ বিছানার সামান্য অংশ থেকে ছড়িয়ে যখন পুরো ঘর দুর্গন্ধে ভরে গেল তখন ছোট মেয়েটা বিরক্তি নিয়ে আমার কাছে এসে বললো, বাবা ওটাতো আমাদের মিনি'র হাগুই ছিল!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

আহমেদ মাসুদ বিপ্লব বলেছেন: আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্ট লাইনে সংবাদ সম্মেলনটির ভিডিও রয়েছে। সেখানে ভিকটিমের ছোট ভাইয়ের কথায় স্পষ্ট করে জানা যায় অপরাধীদের ধরণ সম্পর্কে। যদিও ভিডিওটা মারমা ভাষায় এবং বাংলা বক্তব্যে মূল মারমা ভাষার কথার সাথে মিল নেই। মূল বক্তব্য এড়িয়ে গিয়ে মনগড়া কথা বলা হয়েছে বাংলাতে।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10215843499628327&id=1470380204

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.