![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
facebook.com/WorldCup2014
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: 2014 FIFA World Cup) হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ২০তম আসর। এটি একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা যা অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ২০১৪ সালের ১৩ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
এটি হবে ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের আয়োজিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। সেই সাথে মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স এবং জার্মানির পর ব্রাজিল হবে পঞ্চম দেশ যারা প্রত্যেকে দুইবার করে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ আয়োজনের পর এটি হবে আমেরিকা মহাদেশে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। সেই সাথে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনায় আয়োজিত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপেই ব্রাজিল প্রতি আট বছর পর পর ইউরোপে বিশ্বকাপ আয়োজনের ঐতিহ্য ভঙ্গ করতে যাচ্ছে।
১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া সবকয়টি দল এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিন আমেরিকায় ৪ বার বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সবকয়টিই জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকান কোন দল।
চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহনকারী দল :
নীল>বিশ্বকাপে অংশগ্রহনকারী দেশ
হলুদ>বিশ্বকাপে অংশগ্রহনে ব্যর্থ দেশ
কাল>বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করেনি এমন দেশ
ধুসর>ফিফার সদস্য নয় এমন দেশ
ফেসবুকে বিশ্বকাপ
মাঠসমূহ :
আঠারোটি শহরকে বিশ্বকাপের সম্ভাব্য আয়োজক শহর হিসেবে উপস্থাপন করা হয়: বেলেম, বেলো অরিজন্ঠ, ব্রাজিলিয়া, কাম্পো গ্রান্দে, কুইয়াবা, কুরিতিবা, ফ্লোরিয়ানোপোলিস, ফর্তালিজা, গোইয়ানিয়া, মাসেইও, মানাউশ, নাতাল, পোর্তো আলেগ্রে, রেসিফি, রিও ব্রাঙ্কো, রিউ দি জানেইরু, সালভাদোর এবং সাঁউ পাউলু.[১৩]
ফিফা প্রস্তাব দেয় যে একাধিক শহরে দুইটি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না এবং আয়োজক শহরের সংখ্যা হতে হবে আট থেকে দশটি। অবশ্য, ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশনের তত্কালীন প্রধান রিকার্দো তেইশেইরা পুরো দেশের স্বার্থের জন্য বারোটি স্টেডিয়াম ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়। যা ২০০৮ সালের ডিসেম্বর ফিফা কর্তৃক গৃহীত হয়।[১৪]
২০০৯ সালের অ্যারেনা দা আমাজনিয়া
৩১ মে, বারোটি আয়োজক শহরের নাম ঘোষণা করা হয়। বেলেম, কাম্পো গ্রান্দে, ফ্লোরিয়ানাপোলিস, গোইয়ানিয়া এবং রিও ব্রাঙ্কোকে বাতিল করা হয়।[১৫] ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে, মাসেইও তাদের প্রর্থীতা বাতিল করে। নির্বাচিত বারোটি শহর ব্রাজিলের বারোটি প্রদেশের রাজধানী, যা ব্রাজিলের সমস্ত প্রধান অঞ্চলগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করে।[১৬] এর ফলে প্রতিযোগিতা চলাকালে দলগুলোর দীর্ঘ ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে।[১৭]
প্রায় ৩.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টেডিয়াম প্রকল্পগুলোর পেছনে ব্যয় করা হয়েছে।[১৮] আয়োজক শহরগুলোর মধ্যে পাঁচটি শহরে বিশ্বকাপের জন্য বিশেষভাবে নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। রাজধানী ব্রাজিলিয়ার এস্তাদিও ন্যাশিওন্যাল মানে গারিঞ্চা ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে তৈরি করা হয় এবং অপর ছয়টি স্টেডিয়ামের ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করা হয়।[১৯] রিউ দি জানেইরুতে অবস্থিত এস্তাদিও দো মারাকানা বারোটি স্টেডিয়ামের মধ্যে সবচেয়ে বড়। যা একটি বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য সর্বোচ্চ দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড বহন করে (১৯৯,৮৫৪)। এই স্টেডিয়ামেই প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। সিবিএফ এর মূল উদ্দেশ্য ছিল উদ্বোধনী খেলাটি সাঁউ পাউলুর এস্তাদিও দো মরুম্বিতে আয়োজন করার, কিন্তু ২০১০ সালে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়, যখন প্রয়োজনীয় উন্নয়নের জন্য তারা আর্থিক নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যর্থ হয়। উদ্বোধনী খেলার জন্য বেছে নেওয়া হয় অ্যারেনা করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামটিকে।[২০]
প্রথম নতুন এস্তাদিও ক্যাস্তেলাও
স্টেডিয়াম ফর্তালিজার ক্যাস্তেলাও, ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যবহার শুরু হয়।[২১] ছয়টি স্টেডিয়ামকে ২০১৩ কোপা লিবের্তাদোরেসের সময় ব্যবহার করা হয়।[২২] অপর ছয়টি স্টেডিয়ামের কাজ ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে না।[২৩] নতুন স্টেডিয়াম অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সের নির্মাণ কাজের সময় ক্রেন ধ্বসে পড়ার কারণে এর নির্মাণ কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং দুইজন নির্মাণ কর্মী নিহত হয়।[২৪]
2014 FIFA World Cup Brazil
গ্রুপ পর্ব
গ্রুপের বিজয়ী এবং রানার-আপ দল ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে।[৪১] প্রত্যেকটি গ্রুপে প্রত্যেকটি দলের র্যাংকিং নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে:
সব খেলা থেকে মোট অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় গোল ব্যবধান;
গ্রুপের সবকয়টি খেলায় মোট গোলের সংখ্যা;
যদি উপরোক্ত তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দুই বা ততোধিক দলের গোল সংখ্যা সমান হয়, তাহলে তাদের র্যাংকিং নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে নির্ধারিত হবে:
গ্রুপে সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে খেলায় অর্জিত পয়েন্ট;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে গোল ব্যবধান;
গ্রুপ পর্বের খেলায় সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মোট গোল;
ফিফা সাংগঠনিক কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন।
নিচের ৩২টি দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। নিচে দলগুলোকে প্রতিযোগিতা পূর্ব র্যাংকিংসহ দেখানো হয়েছে।[১১]
এএফসি (৩)
অস্ট্রেলিয়া (৫৭)
ইরান (৪৯)
ইরাক (১৮)
জাপান (৪৪)
দক্ষিণ কোরিয়া (৫৬)
সিএএফ (৫)
আলজেরিয়া (৩২)
কোত দিভোয়ার (১৭)
ক্যামেরুন (৫৯)
ঘানা (২৩)
নাইজেরিয়া (৩৩)
ওএফসি
কোন দল সুযোগ পায়নি
কনকাকাফ (৪)
কোস্টা রিকা (৩১)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৩)
মেক্সিকো (২৪)
হন্ডুরাস (৩৪)
কনমেবল (৬)
আর্জেন্টিনা (৩)
ইকুয়েডর (২২)
উরুগুয়ে (৬)
কলম্বিয়া (৪)
চিলি (১২)
ব্রাজিল (১১) (আয়োজক)
উয়েফা (১৩)
ইতালি (৯)
ইংল্যান্ড (১০)
গ্রিস (১৫)
জার্মানি (২)
নেদারল্যান্ডস (৮)
পর্তুগাল (১৪)
ফ্রান্স (২১)
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (১৬)
বেলজিয়াম (৫)
রাশিয়া (১৯)
সুইজারল্যান্ড (৭)
স্পেন (১)
ফেবু মামার বিশ্বকাপ ....
©somewhere in net ltd.