![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দরজায় কড়া নাড়ছে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। ১২ জুন উঠবে মহাযজ্ঞের পর্দা। অথচ যে স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেই সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্স অ্যারেনার প্রস্তুতি এখনও ঢের বাকি। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বকাপের ১২টি স্টেডিয়ামের সবকয়টিই ফিফার কাছে হস্তান্তরের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু পারেনি ব্রাজিল। বাধ্য হয়ে প্রস্তুতির সময় আরও বাড়িয়ে দেয় ফিফা। এরপরও করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামের প্রস্তুতি নিয়ে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে আয়োজকরা। এ ভেন্যুর অবকাঠামো নির্মাণের বাজেটও ছাড়িয়ে গেছে।
ফেবু মামার বিশ্বকাপ..
বিশ্বকাপের অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে এ পর্যন্ত যে আট শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে এর মধ্যে তিনজনই ছিলেন সাও পাওলোতে। ২৭ নভেম্বর নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর ক্রেন ভেঙে পড়লে অ্যারেনা ডি করিন্থিয়ান্সে দুজন মারা যান। ২১ মার্চ এ ভেন্যুতে আরেকজন শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে। প্রাণহানির এসব ঘটনায় দুই সপ্তাহ কাজ বন্ধ থাকায় উদ্বোধনী ভেন্যুর প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমন অবস্থায়ই আগামী করিন্থি্থয়ান্স স্টেডিয়ামে ব্রাজিল লিগের করিন্থিয়ান্স-ফিগারেন্সের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত স্টেডিয়ামটিতে বসার উপযোগী ২০ হাজার সিট বসানো হয়েছে। গ্যালারির বাকি অংশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও নিশ্চিত হয়নি। ভেন্যুটির অগি্ননিরাপত্তা ব্যবস্থাও। অথচ ক্লাব দুটি জানিয়েছে, তারা ৪০ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি করবে। তবে বিশ্বকাপের জন্য ভেন্যুটির গ্যালারিতে সিট থাকবে ৬৮ হাজার। এটাই হবে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভেন্যু।
2014 FIFA World Cup Brazil
করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারেও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে কি-না? এ নিয়ে এখনো শঙ্কা কাজ করছে। এ ভেন্যুটি থেকে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অনেক দূরে বলে জানা গেছে। এছাড়া ফিফা যেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেয়েছিল করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামে এর পরিধি অনেকটা ছোট করে আনা হয়েছে। স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে যে মেটাল ডিটেকটর বসানোর কথা ছিল তা এখনও চালু করা হয়নি।
কাজ শুরু হওয়ার চার মাস পর ২০১১ সালের অক্টোবরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সাও পাওলোতে উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠানের। এ ভেন্যুটিতে সেমিফাইনালসহ বিশ্বকাপের ছয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বিঘ্ন ঘটায় এখনও শেষ হয়নি স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ। ভেন্যুটির গ্যালারিতে সিট বসানোর কাজ এখনও শেষ না হলেও ২১ মে ফিফার কাছে হস্তান্তর করতেই হবে আয়োজকদের। হস্তান্তরের পর হয়তো সিট এবং ছাদে গ্লাস বসানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে আয়োজকরা। এর পরিমাণ ৪১১ মিলিয়ন থেকে ৪২৪ মিলিয়ন ডলার; যা আসরের মোট বাজেটের ১৪ থেকে ১৮ শতাংশ। বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ হলেও ভেন্যুটির নির্মাণ কাজ শেষ মিনিটে সম্পন্ন হবে বলে ২২ এপ্রিল পরিদর্শন শেষে জানিয়েছিলেন ফিফা সেক্রেটারি জেরোমি ভালকে। মূল ভেন্যুটির চাবি এপ্রিলের ১৫ তারিখ ক্লাব করিন্থিয়ান্সের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর ভেন্যুটিতে এখন পর্যন্ত ক্লাবটির তিনটি লিগ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া। এর আগে কী করিন্থিয়ান্স অ্যারেনার সব কাজ শেষ হবে? এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
2014 FIFA World Cup Brazil
#2014FIFAWorldCupBrazil
©somewhere in net ltd.