![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্প্যানিশ ফুটবলের সেটি স্বর্ণযুগ। একের পর এক ইউরোপিয়ান কাপ জিতে ক্লাব ফুটবলের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠত্ব রিয়াল মাদ্রিদের। বার্সেলোনা চূড়ান্ত সাফল্য পাচ্ছিল না বটে; কিন্তু মহাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমানতালে টেক্কা দিয়ে অভিজাতদের তালিকায় নাম লিখিয়েছিল ঠিকই। ক্লাবের দেখানো পথে হেঁটে জাতীয় দলও পায় সাফল্যের সুবাসিত সৌরভ। ১৯৬৪ ইউরোপিয়ান নেশনস জিতে দেশের পতাকা পতপত করে ওড়ায় স্পেন জাতীয় দল।
2014 FIFA World Cup Brazil ☜═㋡
কে তখন ভেবেছিলেন, আরেকটি ট্রফি জিততে ৪৪ বছর অপেক্ষা করতে হবে তাদের!
মাঝের সময়টাতেও কিন্তু ক্লাব-সাফল্যের স্রোতস্বিনী ধারা শুকিয়ে যায়নি। সময়ের ভাঁজে ভাঁজে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার আধিপত্য ছিল। সঙ্গে ছিল সুন্দর ফুটবলের জয়গানও। ক্লাব-সাফল্যের সূত্রে বিশ্বকাপ-ইউরোর মতো বড় বড় প্রতিযোগিতায় স্পেন জাতীয় দল থাকত ফেভারিটের তালিকায়। আর টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগে সেটি পরিণত হতো হাস্যরসে। ট্রফি জিতবে কী, কোনো প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালেই যে উঠতে পারছিল না স্পেন।
কে তখন ভেবেছিলেন, এই দেশটি ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোর ত্রিমুকুট জয়ের অভূতপূর্ব রেকর্ড গড়ে ফেলবে!
২০০৮ ইউরো জয় ছিল দীর্ঘদিনের মরচে ধরা রুদ্ধ দুয়ার খুলে যাওয়ার মতো। একবার সেটি খুলল তো খোলা হাওয়ার মতো সাফল্য আসতে লাগল খলবলিয়ে। ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ ইউরো জয়ে হলো হ্যাটট্রিক। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্পেন যাচ্ছে ধারাবাহিকতার রেকর্ডটি আরো সমৃদ্ধ করার মিশনে। ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো-বিশ্বকাপ!
ভিসেন্তে দেল বস্কের শিষ্যরা সেটি কি পারবে? সংশয়বাদীদের সংখ্যা নেহায়েত কম না। তার পরও আশাবাদীদের পাল্লাটা ভারী। আটলান্টিকের ওপার থেকে কোনো ইউরোপিয়ান দলের বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড নেই তো কী! যদি সেই রেকর্ড কেউ নতুন করে লেখাতে পারে, সেটি এই স্পেন। এই জাভি-আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা-সেস্ক ফাব্রেগাসের মতো ফুটবলশিল্পীরা। চার বছর আগে জেতা ট্রফিটি তাই স্পেনের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া কোনো দলের জন্যই সহজ হবে না।
ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো-বিশ্বকাপের টানা চার শিরোপা এর আগে জিততে পারেনি ইতিহাসের কোনো দলই। টানা দুই বিশ্বকাপ জয়ের সর্বশেষ উদাহরণও অর্ধশতাব্দী পুরনো। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের ব্রাজিল। তাদের সঙ্গে এই স্পেনের ব্যাকেটবন্দি হওয়ার সম্ভাবনায় বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন গত বছরের কনফেডারেশনস কাপ। যেখানে ফাইনালে ঠিকই উঠেছিল দেল বস্কের দল, কিন্তু ব্রাজিলের কাছে ০-৩ গোলে গুঁড়িয়ে গিয়ে সমালোচকদের মুখ খোলার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু পরিসংখ্যানের একটি পৃষ্ঠা এর পরও স্প্যানিয়ার্ডদের দিচ্ছে অনুপ্রেরণা। এই টুর্নামেন্টের কোনো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নই যে পরের বছরের বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এই স্পেনই যেমন ২০০৯ আসরে হেরে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। এরপর তারা যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, তাহলে ২০১৩ সালে কনফেডারেশনস কাপে রানার্স আপ হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন নয় কেন!
মোটামুটি স্পেনের এই স্কোয়াডটিই জিতেছে সর্বশেষ তিন শিরোপা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ জেতা ২৩ জনের মধ্যে দেল বস্কের ঘোষিত এবারের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছে ১৮ জনই। অভিজ্ঞতায় তাই ঘাটতি থাকছে না কোনো। চিন্তা ছিল ধার কমে যাওয়া দুই ফরোয়ার্ড ফার্নান্দো তরেস ও দাভিদ ভিয়াকে নিয়ে। ডিয়েগো কস্তা কমিয়ে দিয়েছেন স্পেন সমর্থকদের সেই দুশ্চিন্তা। ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া এই ফরোয়ার্ড যে স্পেনের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। জন্মভূমিতে তাই 'ভিনদেশ'-এর জার্সি গায়েই মাঠে নামবেন কস্তা। তাতে ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের দুয়োধ্বনি হয়তো শুনতে হবে। কিন্তু তুখোড় ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ডকে পেয়ে স্পেনের বিশ্বজয়ের সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবেই বেড়ে গেছে অনেকখানি।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বাছাই পর্ব খেলতে হয়েছে এবার স্পেনকে। সেখানে ফ্রান্সকে পিছু ফেলে হয়েছে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপেও তাদের গ্রুপসঙ্গী আরেক পরাশক্তি। গতবারের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দেখা হয়ে যাচ্ছে শুরুতেই। গ্রুপ 'বি'র অন্য দুটি দল চিলি ও অস্ট্রেলিয়া। তবে সব ছাপিয়ে স্পেন-নেদারল্যান্ডসের দ্বৈরথই আলোচনায়। ড্রতে সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর স্পেন কোচ দেল বস্কে বলেছিলেন, 'আমি নিশ্চিত, আমরা যেমন ওদের মুখোমুখি হতে চাইনি, ওরাও তেমনি আমাদের মুখোমুখি হতে চাইছিল না।'
চাইলে দেল বস্কের এই কথাটিতে হুমকি হিসেবে নিতে পারে ট্রফি প্রত্যাশী সব দলই। বিশ্বকাপে সর্বজয়ী এই স্পেনের মুখোমুখি হতে কেই-বা চাইবে!
ফেবু মামার বিশ্বকাপ ☜═㋡
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই লেখাটি কি আপনার??