নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ” -আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

''আমাদের ঐশিরা'' / আহমেদ রুহুল আমিন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬


কী এক অভিশপ্ত 'দেবশিশু' জঠরে ধারণ করলে জননী !
জীবনের অনিবার্য্য চাওয়া - পরম আত্মজা ,
পৃথিবীর তাবৎ জনকের 'কাঙ্খিতা নিসর্গ '।
একমাত্র তূমুল 'বিশ্বাসকে' পুঁজি করে 'বিশ্বাসঘাতক' আর
'ঘাতকীনি' রুপে বড়ো হতে থাকে এ কোন 'স্বৈরিনী' ।
মূহুর্তেই স্তব্ধ করে দিলো জনক-যুগলের টেলিপ্যাথিক সহাবস্থান !!
সব জনক - জননীরাইতো সন্তানদের পৃথিবীতে বাসযোগ্য করে
তীলে তীলে 'মাকরসা'-র পরিণতি ভোগ করে নিরন্তর ।
(মনুষ্য জীবনতো 'মাকরসার'-ই নামান্তর, যেখানে-
সন্তানদের আজীবন আঁকরে ধরে একসময় জীবন সাঙ্গ হয় ) ।
পৃথিবীর তাবৎ মানূষ আজ তার মৃত্যুদন্ডের পক্ষ্যে-
অথবা আজীবন 'বন্ধ্যা' কিংবা অসমলিংগের
'খোঁজাও' কামনা করে কেউ কেউ ।
যেন সে বুঝুক- স্রষ্টার 'সৃষ্টি' বিকাশে অন্তরায় সৃষ্টির
সর্পিল নরক যন্ত্রণা ।
অনেকেই চায় - ঐশি 'ঐশিই' হয়ে থাক,
যেন তার গর্ভে জন্ম নেয় আরেক 'ঐশি' ;
আর হারে হারে টের পাক আপাত-মস্তকজুড়ে 'হাবিয়া দোযখের উম্' ।
বড়ো এক সময় গেছে - কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে নিযুত ঘন্টা ।
কালোত্তীর্ণ সময়ের ফাঁকে দেখা হয়ে উঠেনি
অসংখ্য নক্ষত্ররাজিপুঞ্জে ভরা রাতের উর্দ্ধাকাশ ।
হেলায় ভোর হয়ে গেছে নিদ্রাতুর দীর্ঘ রজনী ।
'নিদ্রার চেয়ে প্রার্থনায় মগ্ন হওয়া উত্তম ' এও তো ঐশিবাণি ,
তবু কেন আজ আমাদের আরেক 'ঐশিদের' আত্মহণনে
প্রলুব্ধ করে একমাত্র ' নাম' আর 'ঘৃণার ঘুংগুর' !
কেন আজ নিরাপদহীন গোধুলীতে ফেরা
একমাত্র আশ্রয় 'বেহুলার বাসরঘর '।
পাখিওতো নীড়ে ফেরে বিপদসংকুলমুক্ত ডানা মেলতে ।
বিস্তির্ণ বিরান মাটির গহ্বরওতো বৃশ্চিক আর
সরিসৃপের নিরাপদ আবাসস্থল ।
নিরাপদ নয় শুধু আমাদের 'জৌলুসভরা কামনার' আপন নিবাস ।
যেখানে কোমরে যত্নে রাখা পিস্তল অথবা ছুঁরির ফলা
বিদীর্ণ ভেদ করে নিজস্ব চিবুক ।
এখানে 'লালসার ঐশ্চর্য্য' আর অবহেলায় দিনের পর দিন
জনকযুগলের স্নেহহীন 'ঐশি' আজ 'ঐশি'তে পরিণত হয়ে
আমাদের বহুল আলোচিত 'জেন্ডার বৈষম্যকে' প্রশ্নবিদ্ধ করে ।
কেন আজ ঐশিরা গৃহের সদর দরজায় কড়া নেড়ে শুনিয়ে যায়
' নুলো ভিখিরীর গান' কিংবা আমাদের হরিদ্রাভ মাঠ জুড়ে
পড়ে থাকা অভিশপ্ত ঈশ্বরের এ কোন রুগ্ন ফসল ! যখন
কিষানের ঘরে আসবেনা আর নবান্নের লালিত উৎসব ।
ইদানিং 'ভালোবাসা' আর 'সততার' সারির বিশেষণ গুলো
বাংলা অভিধানে বড়ো বেশী বেমানান ।
হয়তো তা চিরকালের জন্য তুলে দিতে কোন দিন
দেশজুড়ে চলবে হরতাল আর গাড়ি পোড়ানোর মহোৎসব ।
কি হবে বসতবাড়ির বহির্দরজা খোলা রেখে -
'চোর', 'বাটপার' আর ছেচ্চরদের সাথে সখ্য গড়ে !
বুমেরাং হয়ে তাই আজ 'ঐশিরা' কুপিয়ে চলে আমাদের
'বিপন্ন মানবিকতা ।
কি হবে ঐশিদের বিচার করে ! সমাজবিজ্ঞানীরা কি বলেন !
বরং আজ মহা সমারোহে বিচার হোক নিজেদের,
এই পললভুমির মান্যবর সকল নাগরিকের নামে
চার্জশীট দাখিল করুক কোন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ।
আর বিচারের রায়ে মৃত্যুদন্ড হোক আমাদের
'বিপন্ন মানবিকতা-
-'ঐশিদের' নয় ।
( সাম্প্রতিক সময়ে আপন ঔরশজাত সন্তানের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া দম্পতিদের স্মরণে ; - আর যেন কোন ঐশির হাতে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে । )
==============

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রত্যক্ষভাবে দায়ী ঐশী, কিন্তু পরোক্ষভাবে সমান দায়ী তার পিতা মাতা নিজেরাই। যাই হোক, এই বিতর্ক অনেক কচলানো।


ব্লগে স্বাগতম !:#P

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.