নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।
শাক-সব্জী-ফসল ফলাই
হামরা কৃষক- চাষারা,
মাইয়া ছুয়া মাগনা খাটে
লেইনা'ত জন-মাশারা।
গামলার ভাত করছে সাবার
ঠকঠকাছে হান্ডি,
ধানের মনডাত বসাইছে হাটত
ধলতা-তোলা-গান্ডি।
উমরা সবায় টিনা জলুক
উমানি -মাশা- মাছির ঝাক,
রক্ত চুষে বারমাসি
রুগী বানাইছে কহিম কাক।
টিনার মুখত রাশা ছিটাও
ওষধ ছিটাও মাছিলাত,
কাঁচা কঞ্চির কেউচন লাগে
প্যান্ট খুলে উমার পাছিলাত।
মহেন্দ্র, সার, ওষধ, বাদে
হামার কি আর টিকেছে,
মহারাজার দিঘী পাইছে
সবায় খালি জাল ফিকেছে ।
সার-ওষধ-বীজ লেছি যেলা
চান্দিয়া ঠকান ঠকাছে,
দাম বেশীলে রক্ত উটা
জমা টাকালা টকাছে।
ছাগল গরু- হাস -মুরগী বেঁচে
সোনার ফসল ফলাচি,
খাটাশে খাচে উদের ভাগ
কোনমতে দিন চলাছি ।
সেন্ডিকেটত ফালায় হামার
দাম কমাছে উছিলাত,
কাঁচা কঞ্চির কেউচন লাগে
প্যান্ট খুলে উমার পাছিলাত।
রক্ত উটা কস্টের টাকার
মোবাইলত ভরা কাথালা,
রিংটন আর এমবি খাচে
হামার 'চেটের' মাথালা।(*)
হামার চা'লে হামাক দেছে
হামার খাচে পাতের নুন,
সব শালালা দাম বাড়াছে
ক্রেমে-ক্রেমে দশগুণ।
কষ্টের কাথা কহিম কাক
সবঠে খালি খাই খাই,
যেইঠে যাছি সেইটে হামার
'কটি' মারে করেছে ধাই ধাই।(*)
কয়লা ধুইলে ময়লা যায়না
যায়না গুষ্ঠির খাসিলাত,
কাঁচা কঞ্চির কেউচন লাগে
প্যান্ট খুলে উমার পাছিলাত ।
তথ্য সেবা দিছে সরকার
কহিছে কামের গতি আন,
দশদিন গেলেও পাইনা হাতত
হামার জমির খতিয়ান ।
জমিন রেস্ট্রি করিবার বেলায়
ডবল-তিন ডবল ভ্যাট,
আরহ আছে উপরি- চান্দা
খাই খাই করে উমার পেট।
রক্তচাটা 'বকদোর' হয়ে
আর কতো চাটিবেন ভাই,
মাইয়া-ছুয়া দেইছি আধি
হামার'ত আর পেট নাই।
গরিবের রক্ত না চুষেন আর
নেকি করেন হাসিলাত,
মরিলে শেলা অগুনের শেক
পইড়তে রহিবে পাছিলাত ।
কিছু শব্দ সংকেত : ( পঞ্চগড়/জলপাইগুড়ি অঞ্চলের স্থানীয় ভাষা ) কাঁচা কঞ্চির কেউচন- বাঁশের কঞ্চির ক্রমাগত আঘাত বা পিটুনি, মাইয়া ছুয়া- বউ বাচ্চা, লেইনা'ত জন-মাশারা।- শ্রমিক মজুর না নিয়েই, ধানের মনডাত বসাইছে হাটত 'ধলতা'-'তোলা'-'গান্ডি' - উত্তরবঙ্গের হাট-বাজারগুলোতে এক মন(৪০ কেজি) ধান হাটে বিক্রি করতে ২ কেজির মতো ধান 'ধলতা'-'তোলা'-'গান্ডি' হিসেবে বাদ দেয়া হয় মুলতঃ ফড়েয়া ব্যবসায়ীরাই এটি লাভ হিসেবে নিয়ে কৃষকদেরকে ঠকিয়ে থাকে । পাছিলাত- পচ্চাতদেশ, টিনার মুখত রাশা- চিনা জোকের মুখে সোডা বা ক্ষার দয়া, ওষধ ছিটাও মাছিলাত - মশা/মাছির গায়ে কীটনাশক ছিটানো, চান্দিয়া ঠকান ঠকাছে- ঠকিয়ে সর্বশান্ত করা, টকাছে - শেষ হয়ে যাওয়া, রক্ত উটা'- রক্ত সিদ্ধ করে এখানে কঠোর পরিশ্রমকে বুঝানো হয়েছে', হামার 'চেটের' মাথালা- যদিও এটি বহুল প্রচলিত অশ্লীল বাক্য(পুংলিংগের মাথাগুলো) তথাপী কৃষকদের পক্ষ্যে এটি তাদের রাগের বহিঃর্প্রকাশ মাত্র, ক্রেমে-ক্রেমে - পর্যায়ক্রমে, 'কটি' মারে করেছে ধাই ধাই(পোদমারা বা পশ্চাৎদেশ খোয়ানো)- চরম ক্ষতিগ্রস্থ করা, কহিচে-বলেছে, কামের-কাজের, উমার-ওদের, হাছিলাত- অর্জন, শেলা- তখন, অগুনের শেক- আগুনের ছেকা দেয়া বা পোড়ানো, রক্ত চাটা বোগদোর- রক্ত চাটা বাঁদুর ।
(*) যদিও অশ্লীল বাক্য তথাপি এই এলাকার গ্রামের মানুষের কাছে এগুলো অতি সাধারণ বহুল প্রচলিত বাক্য যা এখানে ব্যবহারের জন্য দুঃখিত।
ছবি সূত্র : গুগল থেকে।
==================
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: একদম দেশী কবিতা।