নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষের জীবনকাল মাত্র দু’দিনের, যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে আর একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ।

আহমেদ রুহুল আমিন

“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট ।”- আহমদ ছফা ।

আহমেদ রুহুল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিমকহারাম প্রজা (( পঞ্চগড় সদরের ভিতরগড় মহারাজার দিঘির উপাখ্যান অবলম্বনে ) ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৩২

সেই অনেক বছর আগে ..... ষাট-সত্তর দশকে । তখনও আমি বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করি নাই । শিক্ষক বাবার সুবাদে বিদ্যালয় থেকে একবার গরুর গাড়িতে চড়ে পিকনিকে গিয়েছিলাম মহারাজার দিঘী । এই বিশাল দিঘীটির অবস্থান হলো পঞ্চগড় জেলাস্থ পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় এলাকায় যা পঞ্চগড় তেতুলিয়া হাইওয়ে থেকে সাতকিলোমিটার ভিতরে পুর্ব দিকে অবস্থিত । দিঘীর বিশালত্ব দেখে তখন আমার শিশু মনে নানান গল্পে কল্পনার দোল খেত । বিশেষ করে, কথিত গল্পকথার আলোকে এই এলাকায় প্রচন্ড খড়ার কারণে প্রজা- সাধারণের জলকষ্ট অবসানের জন্য তৎকালীণ জলপাইগুড়ির পৃথুরাজ রাজার ধর্ম বিশ্বাস মতে তাঁর নিজ পুত্র রাজ কুমারের সপরিবারে এই দিঘিতে আত্মাহুতি দেয়ার বিষয়টি শিশুমনে প্রচন্ড ভাবাত.... !



হরেক রকম স্বপ্নেভরা
মধুর ছোট্টকাল,
রাজকুমারের গল্পগাঁথা
কাটতো মনে জাল ৷

সেইযে রাজকুমার একদিন
রাজকণ্যের খোঁজে,
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
ঘোড়ায় ছুটতো যে ৷

তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে
তালমা নদীর কিনার,
ছুটতে ছুটতে আসলো শেষে
কাজলদিঘীর পাড় ৷

দিনের শেষে রাত্রি আসে
কুমার তারপর,
ছাতিম তলে ঘুমিয়ে পড়ে
পাড়ের উপর ৷

স্বপ্নে দেখে রাজকণ্যা
দিঘীর অথৈ জলে ,
গভীর ঘুমে অবচেতন
প্রাসাদ মহলে ৷

জলপরী সব ছিল যতো
রাজকণ্যার পাশে,
মধুর গানে ঘুম পারিয়ে
তাকে নিতে আসে ৷

রাজকুমার জেগে যেই
কাজলদিঘীর জলে –
ঝাঁপিয়ে পড়ে এক নিমেষে
গভীর অতল তলে ৷

সেখানে সে পাতালপুরে
রাজকণ্যার সনে ,
মহাসূখে রাজ্য গড়ে
প্রজার কল্যাণে ৷

দিঘীর ধারে ছিল যতো
প্রজা সাধারণ,
রাজ্য হতে তাদের কাছে
আসতো গুপ্ত ধন ৷

কেউ যদিবা মেয়ের বিয়ের
গয়না-গাটি যতো ,
চাইলে জলে আসতো ভেসে
ইচ্ছে মনের মতো ৷

কাসন-বাসন হাড়ি-কড়াই
চাইলে নতমনে,
দাওয়াতের সব সোনার বাসন
দেখতো জনে জনে ৷

ওয়াদা রেখে ভক্তিভরে
ফেরৎ দেয়া হলে,
ডুবতো জলে অন্ধকারে
অথৈ অতল তলে ৷

একদা এক কলিযুগের
মস্ত পাজি প্রজা,
কথায় করে বরখেলাপ
তাই বন্ধ হলো দরজা ৷

সেই থেকে কিংবদন্তি
থাকলো মহারাজা,
‘কলিযুগে’ বাস করে সব
‘নিমকহারাম’ প্রজা ৷৷
—————

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:৪০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ইহাতে সাতার কেটেছিলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.