নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রোদের ফোঁটা

আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে একজন ...

রোদের ফোঁটা

আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে একজন ...

রোদের ফোঁটা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেনামাযী কি মুসলিম নাকি মুসলিম না?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩০

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম।



আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক মুসলমানের উপর দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। একজন মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এই ৫ ওয়াক্ত সালাত যথাসময়ে আদায় করা। কিন্তু আজকাল অধিকাংশ মুসলামানই তাদের এই দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন বিশিষ্ট অধ্যাপকের জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে ৫ ওয়াক্ত নামাযী ব্যক্তির সংখ্যা শতকরা ২ জন (মাত্র)। বাকী ৯৮ শতাংশের মাঝে কেউ শুধু ঈদের সালাত পড়ে, কেউ জুম'আ পড়ে, কেউ সপ্তাহে ২/৩ দিন পড়ে, কেউ আবার দিনে ১/২/৩/৪ ওয়াক্ত পড়ে। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন, তাই এই ধরনের সকল আংশিক নামাযী বেনামাযী হিসেবে গণ্য হবে। আমাদের সমাজে যেমন সালাত আদায় করাকে কোন জরুরী কাজ মনে করা হয় না,ঠিক তেমনি সালাত ত্যাগ করাকেও খুব বড় কোন অপরাধ হিসেবে ধরা হয় না। তাই সালাত আদায় না করার পরিণাম সম্পর্কে তথা বেনামাযীর শরীয়তী হুকুম নিয়ে আলোচনা করা জরুরী মনে করছি।



কুরআনের দলীল:



১। আল্লাহ তা'আলা বলেন:

"তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো এবং কখনও মোশরেকদের দলভুক্ত হয়ো না।" ( সূরা আর-রুম: ৩১ )

অর্থাৎ যারা নামায প্রতিষ্টা করে না, তারা মোশরেকদের দলভুক্ত।



২। আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন:

"অত:পর এদের পর এল অপদার্থ লোকেরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে। কিন্তু তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে।" ( সূরা মারইয়াম: ৫৯-৬০ )

এখানে "কিন্তু তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে" দ্বারা বুঝা যা্য় নামায বিনষ্ট ও কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করার সময় তারা ঈমানদার ছিল না।



৩। আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন:

"যদি তারা তওবা করে ও নামায আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই।" ( সূরা তওবা: ১১ )

এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হল, সালাত প্রতিষ্ঠা ও যাকাত প্রদান না করলে দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব সাব্যস্ত হবে না। অবশ্য হাদীসের দলীল দ্বারা প্রমাণিত যে, যাকাত পরিত্যাগকারী যদি তার আবশ্যকতা স্বীকার করে তবে সে কাফের হবে না। অতএব, নামায প্রতিষ্ঠা করা ঈমানী ভ্রাতৃত্বের শর্ত হিসেবে অবশিষ্ট রইল। তাই এর দাবী হচ্ছে তা পরিত্যাগ করা কুফরী।



হাদীসের দলীল:



১। জাবের বিন আবদুল্লাহ ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, " মুসলিম বান্দা এবং কাফের ও মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য হল নামায পরিত্যাগ করা।" ( সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান )



২। বুরায়দা বিন সুহাইব ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, " তাদের মাঝে এবং আমাদের মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযের, যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করবে সে কাফের হয়ে যাবে।" ( মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান। নাসাঈ, কিতাবুস সালাত। ইবনু মাজাহ, কিতাবুস সালাত ওয়াস সুন্নাহ্ ফীহা )



৩। উবাদা বিন সামেত ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) আমাদেরকে নসীহত করেছেন, " তোমরা কোন কিছুকে আল্লাহর সাথে শরীক করবে না। ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায পরিত্যাগ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে নামায পরিত্যাগ করবে সে মিল্লাতে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।" ( সুনানে ইবনু আবী হাতেম, হায়ছামী মাজমাউয যাওয়ায়েদ। মুসতাদরাকে হাকীম )





এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরাম ( রা: ) থেকে বর্ণিত উক্তি সমূহ নিম্নরুপ:



ওমর বিন খাত্তাব ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, " যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করে ইসলামে তার কোন অংশ নেই।" ( ইবনু আবী শাইবা, কিতাবুল ঈমান )



আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এর সাহাবীগণ নামায ব্যতীত কোন আমল পরিত্যাগ করার কারণে কাউকে কাফের মনে করতেন না। ( তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান। হাকেম)



ইমামদের মত:



ইমাম আহমদ বিন হাম্বল ( রহ: ) বলেন, নামাযে অলসতাকারী প্রত্যেক ব্যক্তি মাত্রই তাকে অবজ্ঞাকারী। সুতরাং সে ইসলামের ব্যাপারে উদাসীন ও অবজ্ঞাকারী। সালাতে যাদের যতটুকু অংশ রয়েছে ইসলামে তাদের ততটুকু অংশ রয়েছে। সালাতের প্রতি যার যতটুকু আগ্রহ রয়েছে ইসলামের প্রতি তার আগ্রহ ততটুকু রয়েছে।



ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম ( রহ: ) ( কিতাবুস সালাত, পৃ: ৪০০ ) বলেন, ঈমানের দাবী হচ্ছে নামায আদায় করা। কারো অন্তর যদি তাকে নামাযের নির্দেশ না দেয়, তবে তার অন্তরে যে ঈমানের লেশ মাত্র নেই, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।



পরিশেষে বলা যায়, নামাযে রয়েছে অশেষ, অফুরন্ত ও অসংখ্য সাওয়াব এবং তা আদায় করাও অতি সহজসাধ্য। নামায পরিত্যাগ করাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি। যার অন্তরে সামান্যতম ঈমান রয়েছে সে কখনও উক্ত নামায পরিত্যাগ করতে পারে না।

তাই আল্লাহর কাছে আশা রাখছি, যারা দৈনিক ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করছেন না তারা সতর্ক হবেন এবং এখন থেকে তওবা করে নামাযীদের দলভুক্ত হবেন। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে তওফীক দান করুন। আমীন।



লেখাটি তৈরীতে যে সকল কিতাবের সাহায্য নেয়া হয়েছে:

১। নামায ত্যাগকারীর বিধান: আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন ( রহ: ) [ http://www.mediafire.com/?5bta46xota70ti4 ]

২। ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম: আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন ( রহ: )



যারা আরো জানতে চান তাদের জন্য

অডিও লেকচার:

বে-নামাযীর বিধান

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নামায না আদায় করলে সে গোনাহ গার হবে অমুসলিম হবে কেন
তবে আল্লাহর হুকুম মানা ও আদায় করা ফরজ ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

রোদের ফোঁটা বলেছেন: ভাই মনে হয় পোস্ট পুরোটা না পড়েই মন্তব্য করলেন। দয়া করে পুরোটা পড়ুন, তারপর বলুন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

রোদের ফোঁটা বলেছেন: বুরায়দা বিন সুহাইব ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, " তাদের মাঝে এবং আমাদের মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযের, যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করবে সে কাফের হয়ে যাবে।" ( মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান। নাসাঈ, কিতাবুস সালাত। ইবনু মাজাহ, কিতাবুস সালাত ওয়াস সুন্নাহ্ ফীহা )

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬

কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: ভাই যে নামাজ অস্বিকার করবে সে কাফির।
নামাজ পরিত্যাগকারী কাফির নয় বরং পাপী।
অবশ্যই জঘন্য পাপী।
কিন্তু অমুসলিম নয়।
ফিখের কিটাবগুলো দেখেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দিন।
আমিন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২১

রোদের ফোঁটা বলেছেন: কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: ভাই যে নামাজ অস্বিকার করবে সে কাফির।
নামাজ পরিত্যাগকারী কাফির নয় বরং পাপী।

ভাই, নিচের হাদীসটি দেখুন

বুরায়দা বিন সুহাইব ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, " তাদের মাঝে এবং আমাদের মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযের, যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করবে সে কাফের হয়ে যাবে।" ( মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান। নাসাঈ, কিতাবুস সালাত। ইবনু মাজাহ, কিতাবুস সালাত ওয়াস সুন্নাহ্ ফীহা )

এখানে বলা হয়েছে "যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করবে সে কাফের হয়ে যাবে"। বলা হয়নি অস্বীকার করলে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬

ইভা_110 বলেছেন: বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন ।
তবে সংক্ষেপে কিছু কথা পাঠকদের জন্য উচিত নতুবা ভুর ধারণার সৃষ্টি হতে পারে। কেননা সরাসরি বে-নামাযীকে কাফের বললে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে সাধারণ জনগণ।

কাফের দু'প্রকারের (১) বিশ্বাসগত কাফের । ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টি এই কাফেরা নাপাক এবং জবাই খাওয়া হারাম ইত্যাদি। (২) ব্যবহারিক কাফের, যারা শরীয়তের অনেক জরুরী নির্দেশ যেমন ‌'নামায' পালন করে না। অতএব হাদীসের বর্নিত বে-নামাযী কাফের ; দ্বিতীয় পর্যায়ের কুফর। এরা আকীদা বা বিশ্বাসগত কাফের নয়।

ما بین المسلم و بین ان یکفران یترک الصلاة (الا ترک لصلوة) الفریضه متعمداً و یتهاون بها فلا یصلیها

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪

রোদের ফোঁটা বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা ( রহ: ), ইমাম মালেক ( রহ: ), ইমাম শাফেয়ী ( রহ: )বলেছেন, কাফের ২ প্রকার। বড় কাফের এবং ছোট কাফের।

তারা নামায পরিত্যাগ কারীকে ছোট কাফের অর্থ্যাৎ ফাসেক বলেছেন।

পোস্টের কুরআন ও হাদীসের দলিল গুলো কি বলে, দেখুন!
আশা করি বুঝতে পারবেন।

বি: দ্র: পোস্টের উদ্দেশ্য কোন ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। বরং বেনামাযীরা নামাযের গুরুত্ব বুঝবে, এটাই কাম্য।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭

ইভা_110 বলেছেন: من ترک الصلاة متعمداً فقد کفر

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬

রিমন০০৭ বলেছেন: আপনাকে আরো পুস্তক পড়তে হবে |-) ----

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৫

রোদের ফোঁটা বলেছেন: যেমন?

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

ইভা_110 বলেছেন: অতএব ফাসিক এবং কাফেরের সংজ্ঞা এক নয় । আর হাদীসে বলা হয়েছে 'মুতাআম্মিদান' অর্থাৎ স্বেচ্ছায় যে নামায পরিত্যাগ করে সে ফাসিক। তাই 'মুতাআম্মিদান' কথাটি একটি শর্তাকারে এসেছে যে স্বেচ্ছায় নামায পরিত্যাগ করে ফাসিক বা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কাফের।

শুধু তাই নয় আমাদের যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়েন তাদের একটি বড় অংশ আবার ঘুষ গ্রহনে অভ্যস্ত। এমন কি আজ আমাদের দেশের ইমাম সাবেহগণ তারা প্রশিক্ষন লাভ করেন কাফের আমেরিকার অর্থ- দিয়ে তাই আজ তারা সেই জালেম সরকারে সেবা + প্রশংসায় পঞ্চমুখ । ইমাম পরিষদের নির্বাচিত একটি টিমকে প্রতিবছর আমেরিকা প্রদক্ষিনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এই কাফের দেশে এবং সেখানে তাদের অপকৃষ্টি+ অপসংস্কৃতি দেখিয়ে মুগ্ধ করা হয়।
ফলে এই আমেরিকান আলেমদের ছোয়া দেশে তৈরী হয়েছে একদল বিবেক ও বোধশক্তিহীন মুসুল্লি । আপনি ইসলামীক ফাউন্ডেশনের কথা বললেন জানেন , ইমাম পরিষদের নির্বাচিত ইমামগনের একটি টিম নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের আমেরিকান এমব্যাসিতে তাদের ব্যালী ড্যান্স উপভোগ করে এসেছিলেন ?!
এজাতিয় বেহায়য়াপনা কাজে তারা কেউই প্রতিবাদ করেনি। তাই ঐ নামাযেরও কোন মুল্য নাই ভাইজান। ওরাই হল ফাসিকদের নেতা তাই প্রথমেই এজাতিয় ইমাম সাহেবদের বেত্রাঘাত করা উচিত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১১

রোদের ফোঁটা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের একটি বড় অংশই অপ্রাসংগিক।

প্রাসংগিক অংশের উত্তর দিচ্ছি....

আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা করো এবং কখনও মোশরেকদের দলভুক্ত হয়ো না।" ( সূরা আর-রুম: ৩১ )
অর্থাৎ যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে না, তারা মোশরেকদের দলভুক্ত।

জাবের বিন আবদুল্লাহ ( রা: ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি, নবী ( সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেন, " মুসলিম বান্দা এবং কাফের ও মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য হল নামায পরিত্যাগ করা।" ( সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান )

এ দলিল গুলো সহ আরো অন্যান্য দলিলের ভিত্তিতে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম, ইমাম ইবনে তাইমিয়া, সৌদি আরবের সকল 'আলেমগণ একমত যে, বেনামাযী মুসলিম থাকতে পারে না।

আপনি কি তাদের মতের সাথে যাবেন কি নাকি যাবেন না সেটা আপনার ব্যাপার।

তবে এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের সকল 'আলেমগণ একমত যে, বেনামাযী খুনী, ব্যাভিচারীর চেয়েও বড় অপরাধী।

আল্লাহ্ই ভাল জানেন।

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

তারান্নুম বলেছেন: তবে এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের সকল 'আলেমগণ একমত যে, বেনামাযী খুনী, ব্যাভিচারীর চেয়েও বড় অপরাধী।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

রোদের ফোঁটা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অফ টপিক: আপনার ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক লেখাটা পড়েছি। আপনার সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য আপনি মোবারকবাদ পাওয়ার যোগ্য। ভাল থাকবেন।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: vai namaj na pora kufri kaj ..
kafer 1st sunlam..
jai hok apnar deya hadis ti kto number hadis ta den,check krar try krbo.

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৯

রোদের ফোঁটা বলেছেন: জ্বি ভাই। এটা অনেকেই জানে না। আমাদের হুজুররা ও্য়াজ-মাহফিলেও কখনও বলে না। তারা আমাদেরকে শুধু কাহিনী-ই শুনা্য এবং প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে অন্ধকারে রাখতেই পছন্দ করে।

হাদীস গুলোর নম্বর:
১। সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান হা/১১৬
২। তিরমিযী কিতাবুল ঈমান হা/২৫৪৫। নাসাঈ, কিতাবুস সালাত হা/৪৫৯। ইবনু মাজাহ, কিতাবুস সালাত ওয়াস সুন্নাহ ফীহা হা/১০৬৯
৩। হায়ছামী মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৪/২১৬। মুসতাদরাকে হাকীম ৪/৪৪।

ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

ধমাধম বলেছেন: নামাজ পোড়ার কোটা কৈচে টোয় ৫ োয়াকট নামাজের কোঠা কৈ কৈচে?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২

রোদের ফোঁটা বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা ৫ ও্য়াক্ত নামায ফরয করেছেন, এটা কি আপনার অজানা?
তাহলে আপনিই বলুন, নামায কয় ওয়াক্ত?

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

তারান্নুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

অফ টপিক: আপনার ইসলামী ব্যাংকিং বিষয়ক লেখাটা পড়েছি। আপনার সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য আপনি মোবারকবাদ পাওয়ার যোগ্য। ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

রোদের ফোঁটা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.