![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a pure man. I want to improve this country and country's population.
সম্ভাবনাময়ী আমাদের এ সোনার বাংলা। কিন্তু বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে শিাঙ্গনে সেশনজট কেড়ে নিচ্ছে শিার্থীদের জীবন থেকে সব চেয়ে মূল্যবান সম্পদ ‘সময়’। সে সাথে কেড়ে নেওয়া শুরু করেছে মানুষের অমূল্যবান সম্পদ জীবন। গত কয়েক দিন আগে প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘সেশনজটের কবলে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে জাবি’র ছাত্র’ জাতীয় খবর নিশ্চয় অনেকের মনে আলোড়নসৃষ্টিসহ শিার্থী ও অভিভাবকদের গুরুত্বর ভাবিয়ে তুলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স সম্পন্ন করতে কমপে সময় লাগে ৬-৭ বছর, কোন কোন েেত্র এর চেয়ে বেশি সময় চলে যায় অনার্স সম্পন্ন করতে, তার পর আবার মাস্টার্স। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও বেশি শোচনীয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স করতে ঠিক কত বছর লাগে তা সুস্পষ্টভাবে বলতে না পারলেও বি.এ, বি.কম ও বি.এসসি ৩ বছরের (পাস) কোর্স করতে সময় লাগে কমপে ৬ বছর এটা আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি। ত্রে বিশেষে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। কারণ এই বাস্তবতায় সম্মুখিন আমাকেও হতে হয়েছে। একটি দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ বছরের কোর্স সম্পন্ন করতে ৬ বছর লাগে, বিষয়টি ভাবতেও অবাক লাগে। এই যদি হয় শিার অবস্থা, একেই যদি বলে শিা ব্যবস্থা তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া আমিতো অন্য কোন পন্থা অবলম্বনের উপায় দেখি না।
শুনেছি বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু নাকি প্রায় ৫৭ বছর। কিন্তু এই ণিক জীবনের বৃহদাংশই যদি শিার্জন ও শিার্থী হিসেবে কেটে যায় তাহলে বাকি কাজ কখন করবে। শিশু শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করতে সময় লাগে প্রায় ১৩/১৪ বছর, স্নাতক (পাস ও অনার্স) সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৬/৭ বছর, স্নাতকোত্তরে সময় লাগে আরো ২/৩ বছর। সব মিলিয়ে মাস্টার্স পাস করতে সময় লাগে ২৩/২৪ বছর। ৫ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে প্রায় ২৭-২৯ বছর সময় লাগে। আমরা জানি বাংলাদেশে সরকারি চাকরির েেত্র বয়সের সময়সীমা ৩০ বছর। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হলে পরীার খবর থাকেনা, যদিও তিন বছর পার হলে প্রথম বর্ষ ফাইনাল হয়, তারপর ফলাফল পাওয়া যায় না মাসের মাস। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ভূল ও অব্যবস্থাপনায়, সাথে আছে প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কোন প্রকার সাধারণ মারামারি হলেও ঘোষণা করা হয় অনিষ্টকালের বন্ধ। বিভিন্ন অরাজকতা দূর করে শিার মান উন্নত করার চেষ্টা না করেই কথায় কথায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ যেন কমন ম্যাটার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সেশন জটের বলি হচ্ছে শিার্থীরা, সাথে ভোগান্তি রয়েছে অভিভাবকদের। দেখা যাচ্ছে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতেই চাকরির বয়সের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকার চাকরির েেত্র বয়সের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, এেেত্র সরকার কোন শ্রেণী কত বছরে সম্পন্ন করতে হবে তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সময় নির্ধারণ করে দেবেন কি? বিষয়টি নিয়ে কি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপগণ কখনো ভেবেছেন।
সেশন জট নামক মহা অভিশাপের কারণে দেশের ল ল শিার্থীর জীবন থেকে ঝরে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ ও শিা মন্ত্রণালয়ের করুণার উপর নির্ভর করে আছে এদেশের অসংখ্য শিার্থী ও অভিভাবকদের আশা ভরসা। দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশন জট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আখ্যায়িত করা গেলে হয়তো এদেশে শিা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও সুব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। কম সময়ে অধিক পরিমাণ মানব সম্পদ বৃদ্ধি হবে বহুগুণ।
©somewhere in net ltd.