নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদরি হাবীব- এই অভিধাটা আমার নামায়নের ক্ষেত্রে থেকে যাক খুশি হব। আমার খুশিতে অন্যে খুশি না হলে আমি খুশি হই না। তাই আমাকে খুশি করতে হলে নিজে খুশি হন আমাতে, তবেই সার্থক।

নিজে উন্নত হও সমাজ হবে উন্নত,নিজে উন্নত হওয়া মানে সত্য-শাশ্বত পথে চলা।

এএইচ ছোটন

আহসান হাবীব।। সাদরি হাবীব নামে ভার্সিটি ফ্রেন্ডদের দেয়া অভিধাটা নামায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ফেললাম।

এএইচ ছোটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্ত

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩



‘তোর নাম সীমান্ত ক্যানে রে’-জানতে চায় নুরুল।উত্তর দেওয়ার আগেই উঠে দাঁড়ায় সে,-“হামার নাল গাইটা-ওহো-প্যায়াছি” । দুজনেই রোকনপুর বিলের জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি বসে গরু চরাই।শুধু এরা নয় ওপার বাংলা আর এপার বাংলার রাখালরাও আছে।সীমান্ত ওপারের রাখাল ,নুরু এপারের।উভয়ের গরু উভয়ের এলাকায় মাঝেমাঝে গেলেও রাখালরা কিন্তু বিলের মাঠেই ফুটবল খেলে,বাদসাধে ক্রিকেট।এরা বিলের মাছ ধরে ভোজ- পশালুও খায়।কিন্তু সীমান্ত আর নুরু এদের খেলাতেও নেই খাওয়াতেও নেই।এদেরকে কেউ ভাল করে চেনেও না ।আপন মনে দুজন গান গায়,গল্প করে।একজন আরেকজনের এলাকা থেকে গরু খেদিয়ে আনে,গুলি নয়তো ডান্ঠাফুর্তিও খেলে। ঈদ-পুজায় এ-ওকে বাড়ি নেওয়ার জন্য জাফত দেয়।আবার রাখালরা ক্রিকেট-ফুটবল খেলার বড়সড় আয়োজনও করে।

নুরু সীমান্তকে এই ঈদে তাদের বাড়ি নিয়ে এলে তার মা সীমান্তকে খুব আদর করে দুজনকে একসাথে বসিয়ে আন্দাশা-সেমাই খেতে দেয়।জামা’তে পাওয়া খাসির মাংস খেতে দেয়-বাড়ি যাওয়ার সময় চারটা আন্দাশা বেঁধে দিয়ে বলে,‘সীমান্ত তোর দিদিকে দিস’। ঈদ উপলক্ষে ক্রিকেট খেলা দেখে সীমান্ত তার বাড়ি যায়,নুরু আসে নিজের বাড়ি।বিজয়ী রাখালরা উল্লাস করতে করতে আসে,বিজিতরা যায় গরু খেদাতে-খেদাতে।বৃষ্টি নামে,ঘাস গুলো বড় হয়।রাখালরা গরু নিয়ে মাঠে আসে।নুরুকে পুজায় নিয়ে যায় সীমান্ত।তার মা হয় পুলকিত।এটা খেতে দেয়,ওটা খেতে দেয়--যাওয়ার সময় গামছাতে বেঁধে দেয় মুড়িমুড়কি ও নারকেলের নাড়ু।দুই বন্ধু খেতে খেতে বিল মাঠে যায়।ফুটবল খেলা দেখে।হাফটাইম হলে দুজনে (গুলি দিয়ে) এরানি খেলে।একজন হারলে অন্য জনকে গুলি ধার দেয়। আবার খেলা শুরু হয়।খেলতে খেলতে পেছন থেকে একজন ফাউল করলে তাকে ‘আগাকাটা মুস্লা’ বলে গালি দেয় ওপার বাংলার একজন। খেলা ভঙ্গ হয়ে যায় –বাঁধে লঙ্কাকাণ্ড। কাননাওয়ালা বাঁশ পোড়ালে যেমন ফট ফট শব্দ হয় নুরু ও সীমান্তের কানে তেমনি শুধু আওয়াজ আসে। তখন কেউ তাড়ছে আর কেউ পালাচ্ছে।দুই বন্ধুও জ্ঞানশূন্য হয়ে পালাতে থাকে।একপর্যায়ে তাদেরকে ধরে জিজ্ঞেস করা হয় তারা কোন দেশের।নুরু হাঁপাতে হাঁপাতে বলে ‘হামরা বাংলাদেশের’।সন্দেহ হলে লুঙ্গি আলগা করে দেখে নুরু কে দুতিন চড় দিয়ে চালাতে থাকে সীমান্তের উপর শান।তারপর নুরুকে টেনে হিঁচড়ে আনতে আনতে সে ভাবে,একদিন এই সীমান্ত ত্যাগ করার সময় জন্ম হয় বলেই তার নাম সীমান্ত’।আর আজ—একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে থেমে যায়।কিছুক্ষণ পর নুরু অন্তিম আর্তনাদ শুনে চোখ ফিরিয়ে দেখে নিজ আকাশের লাল চিকাশটা সীমান্তের আকাশে গিয়ে নিভে গেলো।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

এএইচ ছোটন বলেছেন: আমার গল্প আমি জানিনি না অন্যের কেমন লাগবে----

২| ২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মিনুল বলেছেন: সীমান্তে কত প্রাণ যে গেলো পৃথিবীর জন্ম থেকে!! লেখার বিষয়বস্তু ভালো। ভালো লিখেছেন ভাই।চালিয়ে যান।শুভকামনা রইলো।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৭

আহসানের ব্লগ বলেছেন: সামহোয়ার ইন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
ব্লগিং করুন ,
পড়ুন ।
অন্যের পোস্টে মন্তব্য করে উত্‍সাহিত করুন ।
আর ভাল থাকুন । :)
লেখাটি পড়লাম :)

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:১৫

এএইচ ছোটন বলেছেন: অবশ্যই। আর পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.