![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।
ছাত্র জীবনে বিয়ে করেছে ফাহিম। যখন অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। বধুর সাথে একটা কমিটমেন্ট ছিলো যে ফাহিম ভালো কোনো চাকরি না পেলে সংসারে জড়াবে না। কিন্তু তার স্ত্রীর বাহানার কাছে হার মানে। বড় ধরনের চিন্তার মাঝে পড়ে যায়। প্রতিদিন নিত্যনতুন অদ্ভুত সব কথা বলে। কোনো কথায় তার স্ত্রী বুঝতে চায় না যে, ইনকাম ছাড়া সংসার করা অনেক কঠিন হবে।
আমার কিছু দেওয়া লাগবে না। তুমি শুধু আমাকে কাছে রাখো এতেই আমিই খুশি। কোনোদিন তোমার কাছে কিছুর আবদার আমি করব না। আমি শুধু তোমার কাছে থাকতে চাই।
বাধ্য হয়ে ফাহিম সংসারে মন দেয়। কিন্তু ইনকাম ছাড়া কি এই সংসার সম্ভব?
উপায়হীন ফাহিম তখন পড়ালেখার পাশে অর্থ উপার্জনে মন দেয়। তার এমন কোনো মামা খালু নেই যে তাকে খুব সহজে আয়ের একটি পথ ধরিয়ে দেবে। অদ্ভুত এক চিন্তা নিয়ে আয়ের কথা ভাবতে থাকে।
পড়ালেখা আর সেরকম কোরে উঠতে পারে না। এভাবে চলতে চলতে তিন চার বছর চলে যায়। অনার্স শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চাকরির জন্য সেভাবে পড়তে না পারায় চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহনে ভয় পায়। ভাবে লাভ কি যদি দরখস্ত করার টাকাগুলোয় বৃথা যায়? চিন্তা তাকে পেয়ে বসে।
এর মাঝে তার আদরের বধুর মানসিক অবস্থার পরিবর্তন আসে। তার আবদারগুলো মুখে না বললেও ফাহিম সব ধরতে পারে। তার বউয়ের চাহিদাসমূহ ভেবে সে পরিকল্পনা করে কিভাবে এটি পূরণ করা যায়।
কিন্তু কোনো পরিকল্পনা কাজে আসে না। যে বেতন পায় বেসরকারির এক অখ্যাত প্রতিষ্ঠানে তাতে কিছু করা তার হয়ে উঠে না। বউও দিন দিন উল্টাপাল্টা কথার মাধ্যমে তাকে আঘাত করে।
একদিন অফিস থেকে ফিরে বাসায় এসে দাড়ায় ফাহিম। বউ তখন তার সংসার জীবনের না পাওয়ার কথাগুলো বলতে থাকে। ফাহিম কোনো কথা বলে না। নিস্তব্ধতা তাকে পেয়ে বসে। রুমের মাঝে তার বেদনারা অট্টহাসি দিতে থাকে।
ফাহিম একটু চোয়ালটাকে শক্ত কোরে বলে উঠে, আমার সাথে সংসার করতে হলে এরকম কষ্ট করতে হবে তুমিতো জানো।
স্ত্রী বলে, আমি পারব না।
- তুমি কি করবে?
-যা করলে টাকা ইনকাম হয় তাই করব।
-কিন্তু সেটা কি?
-(চোয়ালকে পুড়ানো ইটের মত করে), যা করে মেয়েরা সহজে ইনকাম করে।
ফাহিম আবারো হতবাক হলো। এর আগেও ঝগড়া হয়েছে তবে এমন নোংড়া কথা তাকে শুনতে হয়নি।
হয়তো সেটা তার বধু করবে না। কিন্তু তার কানকে সে বোঝাতে পারল না যে এটা তার বউয়ের কথা না।
অর্থের কাছে ভালোবাসা ভক্ত কুকুরের মত পা মিলিয়ে বসে থাকে। ফাহিমের মাথাটি পতিত নক্ষত্রের মত ফ্লোরের দিকে নেমে এল।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
আধার আমি বলেছেন: হাসুম না কাসুমক বুঝতি পারছি না।...তবে ফাহিমের অপরাধ কোথায় ভাই??
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: হ্যা, একটা কথা আছে না? "অভাব জখন দরজা দিয়ে ঢুকে ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়"..
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
আধার আমি বলেছেন: হুম, আসলেই বাস্তব কথা।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
আহলান বলেছেন: ভাই ফাহিমের অপরাধ নাই বলেই তো তাকে আলাদিনের চেরাগ দিতে বলেছি, যেনো সে তার বউয়ের ইজ্জত রক্ষা করতে পারে ....
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
আধার আমি বলেছেন: ও আচ্ছা... আপনার কাছে থাকলে পাঠিয়ে দিন। পৌঁছে দিই।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
আহলান বলেছেন: ভাই ওটা লেখকের কাজ ...আমার না ...
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
আধার আমি বলেছেন: ও আচ্ছা, তবে আমি দেখি পারি কি না!!
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
বিপরীত বাক বলেছেন: নিদেন পক্ষে মাটি তো কাটতে পারে বাংলা সিনেমার মত।। কিংবা কুলি গিরি??
চেরাগ না হয় নাই দিলেন?
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:২৮
আধার আমি বলেছেন: আমাদের এ সমাজ ব্যবস্থা, করেছে এ অবস্থা। শিক্ষিত আসলে ফন্দি, করে রাখে প্রতিবন্দি। তাই ফাহিমের হয়ে উঠে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
আহলান বলেছেন: আহারে ...ভাই একটু উপরে তুলে দেন ...বেশী নাইম্যা পড়ছে ... হঠাৎ আলাদিনের চেরাগ হাতে আসে ফাহিমের ..... তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি ....