নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শেষ রাতের অবহেলিত চাঁদ। যাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সমাজের বেশির ভাগ মানুষ দেখতে পারে না। ঘুমের দোহাইয়ে সবাই আমার সাথে প্রতারণা করে। আর আমি সমাজ জাগতে জাগতে তে-পান্তরে হারিয়ে যায়।

আধার আমি

বাবা, আমি তোমাকে শিখিয়েছি, কিভাবে প্রজাপতির মত উড়তে হয়। বদ্ধ পুকুরে কিভাবে ছোট্ট হাতে কঙ্কর চালতে হয়। কিভাবে বড়দের শ্রদ্ধা করতে হয়। বাবার কোলে বসে কিভাবে চুপিচুপি গল্প শুনতে হয়। বাবার হাত ধরে কেমনে ছোট্ট পায়ে রাস্তার ধারে হাটতে হয়। তুমি আমাকে ব্যাকুল চোখে তালাশ করছো কিন্তু পাচ্ছো না। বাবা তোমার হতভাগা পিতাকে মাফ করে দিও। তোমাকে আমাকে নিয়ে একটি সুন্দর স্বপ্ন গড়ব বলেই এই দুরে পালিয়ে থাকা।

আধার আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানে এসব হুজুরদের ব্যবসা বন্ধ হোক!

২২ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪


দুপুরে রুমে শুয়ে আছি। এর মধ্যে দরজায় নক। বুঝলাম রোজা রমজানের সময় সাহায্যের জন্য এসেছে কেউ। উঠে গেলাম। দরজা খোলেই দেখি, এক পিচ্চি।

ভাই আমরা এতিম। আমাদের কিছু সাহায্য করুন। আমরা এতিম মাদরাসা থেকে এসেছি দশটা টাকা সাহায্য দিন। আপনার দশ টাকা দিলে কমবে না।

বেচার মুখের দিকে তাকিয়ে খুব মায়া হলো। তারপর আবার এতিম পোলা। মায়ায় জিগায়লাম তোমার দেশের বাড়ি কোথায়?

-রংপুর।

এরমধ্যে আরেকটি পোলা এলো। সে আরো বেশি পণ্ডিত। আমাকে বলে, ভাই আমাদের একটি কুরআন হাদিয়া দিবেন? আমাদের নতুন মাদরাসায় কুরআন নেই। আল্লাহ আপনাকে বহু দিবে।

ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে পরাণ ঝাঁকি মারলো।জিগায়লাম তোমার বাড়ি কোথায়?

-রংপুর।

দুজনের বাড়িই রংপুরে?

পরে আসা পোলাটা অ্যাডভান্স বেশি। বললো-

-জি, আমার বাড়ি বদরগঞ্জ আর ওর বাড়ি তারাগঞ্জ। ভাই দেন একটি কুরআন কেনার টাকা। আমরা পড়বো। আপনার অনেক সওয়াব হবে। আপনাদের বিল্ডিংয়ের নিচে ওই যে একটা দোকান আছে না, উনিও একটি কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন।

মায়া হলো। প্রথমটিকে জিগায়লাম তোমার বাবা কি করে?

- জি ভ্যান চালায়।

আর তোমার বাবা? দ্বিতীয়টিকে জিগায়লাম।

- জি আমার বাবা কৃষি কাজ করে?

খুব মায়া হলো, জিগায়লাম- তোমাদের দুই জনেরই তো বাবা আছে। তো তোমরা এতিম হলে কেমনে?

কিছু সময় থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। তারপর বললো, আমাদের বাবারা আমাদের খোঁজ নেয় না।

কিছু বলতে পারলাম না। শুধু ভাবলাম যেসব হুজুরেরা এদের বাসায় বাসায় ভিক্ষা করতে পাঠাইছে এরাই বড় এতিম। রাগে ক্ষোভে হৃদয়ে আগুন জ্বলে উঠলো।

দিলাম তাদের যা পারি আর কি।

এরপর থেকে শুধু ভাবছি এসব আকাইমা ব্যবসায়ীহুজুরদের কি কোনো দিন জ্ঞান হবে না?

আমার একটি মাদরাসার কথা জানা আছে, যে মাদরাসায় কোনো এতিম ছাত্র নেই, তারপরও প্রতি রমজান এলে ওই মাদরাসাপ্রধান এতিমের কথা বলে যকাত ফিতরার টাকা উঠান ঢাকা শহরে পরিচিত ধনীদের কাছ থেকে। আর তার পকেট ভারি করেন।

রমজানে এই সব হুজুরদের ব্যবসা বন্ধ হোক।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

ব্লগার শিশির ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।

২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯

আধার আমি বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

যোগী বলেছেন:
প্রতারনা করার সত্যটা উপলব্ধি করতে পেরে আপনার প্রচন্ড রাগ উঠেছে তার পরেও আপনি তাদের কিছু সাহায্য করেছেন। আপনার এই এ্যাটিচুডটা আমার ভাললাগছে, রিয়েলি ভাললাগছে।

২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

আধার আমি বলেছেন: ধন্যবাদ যোগী দাদা। আসলে আমার কি আর করা ওরা তো এসব বুঝে না। শালার ওই গুলো সমস্যা।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই হুজুরদের অকাম ততোদিন থামবে না যতদিন না তারা ভালো রোজগার করতে পারে।
স্থানীয় কিছু মাদ্রাসা আছে, যেগুলো সরকার থেকে কোন সাহায্য পায় না, সেখানকার মুন্সিরা বাচ্চাদের এই কাজ করতে বাধ্য করে।
মাদ্রাসা শিক্ষা ভাল কি মন্দ সেটা নিয়ে পরে বলা যাবে, কিন্তু এগুলো সহ্য করা যায় না। যদি ভিক্ষাই করানো হয়, তা হলে শিক্ষার কী দরকার! ভিক্ষাতেই লাগিয়ে দেয়া হোক, জন্মের পর!

২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

আধার আমি বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। এটি পল্টনের ঘটনা। বেদনাদায়ক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.