নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
দেখো ইরা তুমি বড় হয়েছো তার মানে
এই নয় তুমি যা ইচ্ছে তাই করবে!
শোনো বাবা তুমি বাংলা মুভি দেখো
তার মানে এই নয় তুমি সব সময়
বাংলা মুভির ডায়লগ দিবে।
তোমার বাবা আর আমার কি অধিকার নেই
তোমার ভালো মন্দ দেখার?
ওহ মা ছাড়ো তো।
আর পারছিনা,
আমি যাই।
ফেইসবুকের কল্যাণে ইরা সম্পর্কে
জড়িয়ে পড়লো।
আজ তার সোহোমের সাথে প্রথম দেখা।
আচ্ছা আমাদের বিয়েতে তুমি কি দিবা?
কি দেবো?
আমি কি জানি?
তুমি দিবা!
গয়না, শাড়ি, আরো অনেক কিছু!
গয়না কি?
প্রশ্ন করে সোহোম।
এখন এসব বললে হবেনা হুহ।
গয়না কি বলোতো?
এমন রোবোটিক কেনো তুমি?
গয়না কি জানোনা?
গয়নাই মেয়েদের সৌন্দর্য!
গয়না তৈরী হয় স্বর্ণ, হিরে আরো
কতো কি দামি মুক্তো!!!
আমাদের প্ল্যানেটে অনেক অনেক স্বর্ণ,
হিরে আছে যাবে?
হুম তোমাদের বাড়িতে?
না প্ল্যানেটে।
আহ এতো এমন কেনো তুমি?
আচ্ছা মানলাম বাড়িকে তুমি প্ল্যানেট বলো।
আচ্ছা চলো!
যাবো তোমার বাড়িতে!
তোমার অভিভাবক কি বলবেন?
পরীক্ষা করবেন!
হি হি হি
আমাকে দেখবেন?
আচ্ছা চলো।
আমি পাত্রী হিসেবে খারাপ না।
তোমার মায়ের পছন্দ হবেই হবে!
চোখ বন্ধ করো।
কেনো?
ইরা প্রশ্ন করলো।
বন্ধ করো নয়তো যাবো কি করে?
আচ্ছা!
ইরা চোখ বন্ধ করার পর সোহোম
তাকে নিয়ে যায় পৃথিবী থেকে কয়েক লক্ষ
আলোকবর্ষ পরের কোনো এক গ্রহে।
ইরা জ্ঞান ফেরার পর সে বুঝতে পারে
এখানে অক্সিজেন নেই!
চারিদিকে মিথেনের গন্ধ।
ইরাকে কিছু বিধঘুটে প্রাণী পর্যবেক্ষণ
করে।
সোহোমকে ইরা খুঁজে পায়না।
ইরার তার সোহোমের জন্য চিন্তা হয়।
সে ভাবে তারা দুজনই ভিনগ্রহের
প্রাণীদের দ্বারা অপহৃত হয়।
ইরার ফুসফুস একটু অক্সিজেনের অন্বেষণে
চুপসে যেতে থাকে।
সোহোম ইরাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে,
সে মানব রুপ পরিবর্তন করে তার আসল রুপ নিয়ে
ইরা কে দেখতে থাকে।
ইরা প্রাণবায়ু ত্যাগ করার আগে সোহোম কে চিনতে
পারে।
সোহোম আগের রুপে ফিরে গেলেও
তার চোখ জোড়া ইরার চেনা।
ইরার নিথর দেহের পরীক্ষা নিরীক্ষার
পর সোহোম বুঝতে পারে তার পৃথিবীর
মানুষ মিথেন গ্রহণ করে বাঁচতে পারেনা।
তবে কোন বায়বীয় পদার্থ মানব জাতি ব্যাবহার করে তা
বুঝতে পারেনা!
তাই ভিনগ্রহের প্রধান গবেষক সোহোমের আরো কিছু
ইরাকে চাই!
©somewhere in net ltd.