নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌন প্রেম

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৮

মিস্টার রহমান এবং তার মিসেস এর পয়ত্রিশ বছরের সংসার।



আই লাভ ইউ শব্দটার সাথে কখোনোই তারা পরিচিত নন।



বিএ পাস টার পর রহমান সাহেবের বাবা বলেছেন খোকা তোর জন্য একটা মেয়ে পছন্দ করেছি ,

তুই মত দে।

তুই মত না দিলে আমার সম্মান টুকু থাকবেনা।

আমি কথা দিয়ে রেখেছি।



তারপর রহমান সাহেব হ্যাঁ বলে দিলেন।



শান্তা নামের মেয়েটি পয়ত্রিশ বছর

আগে মেট্রিক পাস করেছিল।

তখন একটা মেয়ের জন্য মেট্রিক পাস অনেক কিছু।



শান্তার দাদা নাতনির বিয়ের জন্য

উঠেপড়ে লাগলেন।

নাতনি বড় হয়ে যাচ্ছে।

শান্তা না করতে পারেনি।



রহমান সাহেবের বাবা যখন

শান্তাকে দেখতে আসেন ,

শান্তাকে হাটতে বলেন ,

পায়ের আঙুল গুলোকে দেখে নেন ,

কথা শুনেন লাজুক শান্তার ,



কুরআন তেলাওয়াত টা খুব সুন্দর

পারতো শান্তা , তাই ভদ্রলোক শান্তাকেই পছন্দ করেছিলেন রহমান নামের ছেলেটির জন্য ।

শান্তার পছন্দ অপছন্দ কেউ

জানতে চায়নি ।



বিয়ের পর বাসর রাতে গুটি সুটি শান্তা বিছানার এক কোনে বসে ছিল ।

রহমান নামের ছেলেটাও লাজুক

দাড়িযে থাকে বারান্দায় ।



ধিরে ধিরে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব

তারপর মৌন প্রেম ,

তারপর একে একে পয়ত্রিশটি বছর।



রহমান সাহেব সরকারি ব্যাংকে কর্মরত।

ঘরে ফিরতে ফিরতে দশটা ,

অফিসটা বড্ড দূরে ।

ছেলে মেয়েদের শাসন

করতে করতে শান্তা পয়ত্রিশ বছর

ধরে প্রতিটি সন্ধ্যা অপেক্ষা করেন।

বুকে অজানা শঙ্কা নিয়ে ।



রহমান সাহেব যখন উঠোনে পা রাখেন হাতে বাজারের ব্যাগ নিয় ,

তখন মিসেস

রহমানের মুখে ইষত্ হাসি ফুটে উঠে!



কিন্তু সেটা সব সময়ই আড়ালে থেকে যায়।

তারপর এইতো আর কটা দিন পর রহমান সাহেবের অবসর ।



এখন রাত তিনটা ,

বৃদ্ধ রাহমান সাহেব ভাবেন এখনকার

ছেলে মেয়েরা নাকি তাদের

ভালোবাসা আই লাভ ইউ বলে প্রকাশ করে।

কিন্তু এই জীবনটা যার জন্য এতো সুখময় তাকেই বলা হলোনা কিছুই।



একটু ওঠানো যাক বৃদ্ধা শান্তাকে ।

শান্তা ?

এই শান্তা ?



একটু উঠবে ?



শান্তা ঘুমোয় ।

থাক ঘুমোক শান্তা ।

সারাদিন এতো খাটা খাটুনি এই

বুড়ো বয়সে ।



রহমান সাহেব শান্তার ঘুম দেখেন।

শান্তা ঘুমে কী স্বপ্ন দেখে তা দেখার

চেষ্টা করতে করতে রহমান সাহেবও ঘুমিয়ে পড়েন ।



হঠাত্ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ।

চিরনিদ্রা ঘুমের মাঝেই ।



বৃদ্ধা শান্তা পরদিন সকালে রহমান

সাহেবের নিথর দেহ দেখে হয়তো অনেক কাঁদবেন ।

কিন্তু জানবেন না তার স্বামী শেষ তাকে রাতে আই লাভ ইউ

বলতে চেয়েছিলেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.