নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
মিস্টার নাভোরস্কি (টম হ্যাঙ্কস) এমিরিকা আসেন এক জ্যাস মিউজিসিয়ানের অটোগ্রাফের জন্য ।
তিনি ছিলেন ক্রাকোজিয়ান নাগরিক , ক্রাকোজিয়া রাশিয়ার সীমান্তবর্তী একটি দেশ । এখন হয়তো ভ্রু কুচকে ভাবছেন এমন দেশের তো নাম শুনেননি কখোনো তাইনা ?
হ্যাঁ এটা কিংবদন্তী পরিচালক স্টিফেন স্পিল্বারগের পরিচালিত মুভি ।
চমক থাকবেই , আর সেই সাথে আছেন দু বার অস্কার জয়ী হ্যাঙ্কস বস ।
মিস্টার নাভোরস্কি বিমানে থাকা অবস্থায় তার দেশে মিলিটারি ক্যু (সেনা অভ্যুথ্যান) হয়ে যায় । যার ফলে কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ক্রাকোজিয়ান নাগরিক বৈধতা হারায় নাগরিকত্বের । এবং মিলিটারি ক্যু হওয়ার পর দিন সকালে মিস্টার নাভোরস্কির বিমান ল্যান্ড করে বন্দরে ।
কিন্তু এবার তো বাধে বিপত্তি , বন্দর কতৃপক্ষ নাজেহাল । যে লোকের কোনো দেশ নেই ,
সেই লোক কে কীভাবে এমিরিকায় ঢুকতে দিবেন বন্দর কতৃপক্ষ প্রধান ফ্র্যাংক ডিক্সন ।
তো মিস্টার নাভোরস্কির ও আর কী করার বেচারা না পারছে দেশে ফিরে যেতে জ্যাজ মিউজিসিয়ানের অটোগ্রাফ ছাড়া আর না পারছে টারমিনাল ছেড়ে নিউইয়র্ক শহরে প্রবেশ করতে ।
তো দীর্ঘ ন মাস নাভোরস্কী টারমিনালেই বসবাস করে । এই ন মাস টারমিনালের ভেতরের মজার গল্প গুলো না হয় নাই বললাম ।
তবে এতোটুকু বলতে পারি যারা ফাস্ট ফিউরিয়াস টাইপের মুভি ছাড়া ড্রামাটিক/ romantic comedy film মুভি পছন্দ অথবা ধৈর্য সহকারে দেখতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই মুভি না ।
হৃদয় পরিষ্কার করানো মুভিটি মিস করবেন না আশা করি । আচ্ছা এবার আসি টার্মিনাল টার কথায় ,
পুরো মুভি টার্মিনালেই করা হয়েছে । তো কোনো দেশের সরকার তো আর তাদের টার্মিনাল এতদিনের জন্য কাউকে দেবেন না । তাই মুভি সেটে আস্ত একটি টার্মিনাল
বানাতে হয়েছে ।
আর ওইযে বললাম ক্রাকোজিয়া একটি কাল্পনিক দেশ মুভিটির প্রয়োজনে কারণ সেনা অভ্যুথানের মতন স্পর্শকাতর ব্যাপার কোনো বাস্তব দেশের নাম জড়ানো অনুচিত বলেই মনে করেন পরিচালক ।
আশা করি মিস করবেন না আপনাকে হ্যাংক্স এর অসাধারণ অভিনয় মুগ্ধ করবে । । । ।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৪
আহসানের ব্লগ বলেছেন: হা হা হা । দাড়ান হাইসা লই
ওকে যা বললেন যারা একশন ছাড়া কিছু বুঝেনা সারাদিন খালি চাইনিজ হাইইইইই হুইইইইইইইই খুঁজে তাদের জন্য এই মুভি টা না ।
২| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখেছি। ভালো লেগেছে।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: হুম । আমারও ভাল লেগেছে ।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
কেএসরথি বলেছেন: দেখেছি মুভিটা। টম হ্যাংকস -এর প্রায় সব মুভিই দেখেছি। ভালো লেগেছে।
আর কথায় আছে না "জীবন কাহিনীর থেকেও বিচিত্র"। তার প্রমানও এটায়। এই মুভিটি বানানো হয়েছে মেহরান করিম নাসের নামক এক ইরানিয়ান নাগরিকের। মেহরান ইরান থেকে বিতারিত হয়ে ইংল্যান্ডে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু ইংল্যান্ডে ঢোকার সব কাগজ না থাকায়, তাকে পরের প্লেনে ফেরত পাঠানো হয় ফ্রান্সের প্যারিস বিমানবন্দরে। আর ফ্রান্সের বিমানবন্দরে পৃথিবীর সব দেশের নাগরিকের ঢোকার অনুমূতি আছে।
তাই মেহরান সেই বিমান বন্দরেই রয়ে যান এর পরের ১৮ বছর। জি হ্যা ১৮ বছর।
১৯৮৮ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিমানবন্দরের এক কোনায় কাটিয়ে দেন। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারাও তাকে ভাগিয়ে না দিয়ে তাকে থাকতে দেন ওখানে। উনি প্রতিদিনের খাওয়া দাওয়া বিমানবন্দরের বিভিন্ন খাওয়ার স্টল থেকে পেতেন।
২০০৬ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে উনি ফ্রান্সের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৯
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ওনাকে ঠিক কী কারণে বিতাড়িত করা হয় ?
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য
৪| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৮
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার মুভি। দেখেছিলাম।
১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: তাহলে তো আপনি লাকী । মিস করেননি
৫| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:৫০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মুভিটি দেখেছি। খুব চমৎকার একটি মুভি। স্পিলবারগ এর পরিচালনা আর হ্যাংক্স এর অনবদ্য অভিনয়, এক কথায় অসাধারন।
১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আসলেই এ দু কিংবন্দন্তির কোনো তুলনা হয়না ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: দেখি সময় করে দেখে ফেলব এক ফাঁকে।
দেশে আজকাল কমেন্টের বাজার দর অনেক বেশী হয়ত... নয়ত এই মুভি দেখার ক্ষেত্রে যে ধৈর্যের কথা বললেন তার অভাব।