নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম শান্তির ধর্ম পবিত্র কুরআন ই তার প্রমাণ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

সত্যি কথা বলতে অনেকে মুসলিম হতে পারেন নি । আমার যেই বন্ধু হারাম কামাই খায় ।বিড়ি কোম্পানী তে জব করে জীবিকা নির্বাহ করে আমার সেই বন্ধু কিনা বলে হিন্দু দের ওপর অত্যাচার ঠিক ই তো আছে ।
নিজে নামাজ পড়েনা , পবিত্র কুরআন শরীফ বছরে একবার ছুয়েও দেখেনা ,কিন্তু বড় বড় ফতোয়া দেয় ।
আল্লাহর কসম করে বলছি এসব পাবলিক ই ইসলামের মূল শত্রু ।
আল্লাহ স্পষ্ট কুরআন শরীফে বলেছেন ।
সূরা বাকারাহ'র ১৯০ আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন-
وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ (190)
"যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আল্লাহর পথে তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর,কিন্তু সীমালঙ্ঘন কর না,আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালবাসেন না।" (২: ১৯০)
শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে যুদ্ধ করার অধিকার প্রত্যেক মানুষেরই রয়েছে। কিন্তু কোরআন এক্ষেত্রে সব ধরনের বাড়াবাড়ির বিরোধীতা করে বলেছে,শত্রুকে ন্যায়ের পথে আহ্বান জানানোর আগে অস্ত্র ব্যবহার করো না এবং যুদ্ধের সূচনাকারী হইও না। নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নয় তাদের ওপর হামলা কর না, এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও দয়া ও মানবিক দিকগুলো মেনে চলতে হবে।
এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হচ্ছে,
এক. জিহাদ অবশ্যই আল্লাহর জন্য ও আল্লাহর পথে হতে হবে। জিহাদ ও ধর্মযুদ্ধ দেশের সীমানা বাড়ানো বা জাতিগত দ্বন্দ্বের জন্য নয়।
দুই. যুদ্ধের সময়ও ন্যায় ও ইনসাফ বজায় রাখতে হবে এবং আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না।
এরপর ১৯১ ও ১৯২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
وَاقْتُلُوهُمْ حَيْثُ ثَقِفْتُمُوهُمْ وَأَخْرِجُوهُمْ مِنْ حَيْثُ أَخْرَجُوكُمْ وَالْفِتْنَةُ أَشَدُّ مِنَ الْقَتْلِ وَلَا تُقَاتِلُوهُمْ عِنْدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ حَتَّى يُقَاتِلُوكُمْ فِيهِ فَإِنْ قَاتَلُوكُمْ فَاقْتُلُوهُمْ كَذَلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِينَ (191) فَإِنِ انْتَهَوْا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ (192)
"আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর মসজিদুল হারামের নিকটে (কাবা শরীফের) তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের সঙ্গে সেখানে যুদ্ধ করে। যদি তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হলো কাফেরদের শাস্তি। কিন্তু তারা যদি বিরত হয় তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (২: ১৯১-১৯২)
আমি আবারও লাইন টা লিখছি "অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে| তাহলে তাদেরকে হত্যা কর|"
মানে দাঁড়ায় যতক্ষণ না বিধর্মী রা আপনার সাথে লড়াই না করছে ততক্ষণ আপনি কিছু করতে পারবেন না ।
আর আপনি ফেইসবুকে গুজবের কারণে বাড়ির পরে বাড়ি জ্বালিয়ে দিচ্ছেন , সমর্থন করছেন এই অন্যায় এর । স্পষ্টত কুরআন শরীফ অবমাননা করছেন । এবং এতো কিছুর পরেও আপনি নিজেকে মুসলিম মনে করেন ।
যে ব্যক্তি পবিত্র কুরয়ান শরীফের আয়াত অমান্য করে বিধর্মী দের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেয়া সমর্থন করে সে মুসলিম হতে পারেনা ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

ফৈরা দার্শনিক বলেছেন: এই প্রসঙ্গে একটা আয়াত না বললেই নয়, মহান আল্লাহ আমাদের পরিস্কারভাবে শিখিয়ে দিচ্ছেন কাদের সাথে শত্রুতা আর কাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন। মহান আল্লাহ বলছেন, “হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে; কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে এটি তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা কর আল্লাহ তা পুরো খবর রাখেন”। [সুরা মায়েদা/৮] এই আয়াত থেকে আমরা শিক্ষা নিলেই সবকিছু বুঝতে পারব।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০২

ফৈরা দার্শনিক বলেছেন: দুঃখিত আয়াতটা এটা হবে...

“ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি তাদের প্রতি মহানুভবতা দেখাতে ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না ।আল্লাহ তো ন্যায়পরায়নদেরকে ভালোবাসেন । আল্লাহ শুধু তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন যারা ধর্মের কারনে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে । তোমাদের দেশান্তরিত করেছে এবং তাতে সাহায্য করেছে । তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো যালিম”। (কুরান; ৬০/৮-৯)

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পবিত্র কুরয়ান বানানে আপিন এটা কেন লিখলেন? জানতে পারি কি?

কুরআন বানান জন্ম থেকে স্বরে আ দিয়েই দেখে আসছি। আপনার এই নব বেদাতের হেতু কি???
আপনার বানানে উচ্চান স্পষ্টতই বিকৃত হয়। এটা কুরআনকে অবমাননা নয় কি??

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখার টপিক ভালো ছিলো তবে আরো অধিকতর জ্ঞান এবং সঠিক তথ্য নিয়ে লিখলে ভালো হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.