নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
আমাদের দেশের এক সময়ের প্রতিষ্ঠিত শিল্পি এখন ইউটিউবে অন্যান্য দেশের গান কভার গায়, আমরা আমাদের শিল্পিদের গান শুনি, মুখে দেশ প্রেম দেখাই কিন্তু ফিনানশিয়ালি সাপোর্ট দেই না।
আমাদের অর্ণব ভাই তো একবার নিজেই বলেছেন অডিও প্রকাশক প্রতিষ্ঠান থেকে উনি একটি টাকাও পান নাই ।
এখন হৃদয় খান কভার সং করে ।
বাংলাদেশে মুভি হয় না ।
আগে এক সময় নাটক ছিলো বিশ্বসেরা, আর এখন নাট্য নির্মাতারা বস্তাপচা নাটক বানায় ইউটিউব কে কেন্দ্র করে । টিভি তে খবর আর বিজ্ঞাপন ছাড়া কিছু নাই । বিপিএল এর গ্যালারী খালি থাকে ।
এই অধঃপতনের জন্য দায়ী কারা ? অনেকে বলবেন ইন্ডিয়ান সাংস্কৃতিক আগ্রাসন । কিন্তু ইন্ডিয়াতেও তো সব রাজ্যের চ্যানেল সব খানে চলে, উলটো দক্ষিণের সিনেমা কে বলিউড রিমেক করছে অহরহ । তাহলে সমস্যা টা কোথায় ?
পাঠক আপনার কাছে কি মনে হয় ?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০১
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আমরা তো আগে আরও দরিদ্র ছিলাম । তখন নাটক সিনেমা লেজেন্ডারি পর্যায়ে ছিলো ।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই দারিদ্র টাই মুল কারন নয়। তাহলে ভারতে কোন বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিই থাকতো না। মুল কথা হচ্ছে মেধার বিকাশ। আমাদের দেশের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল সিস্টেমগুলোই একে একে ভেঙ্গে গেছে। যার কারনে মেধাবীরা আর তৈরী হচ্ছে না। তার ওপর পাশের দেশের প্রায় সেম-টু-সেম ভাষা ও কালচারে নির্মিত হওয়া কন্টেন্ট গুলো সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় ভোক্তাকুলও আর দেশের দিকে তাকাচ্ছে না। ফলাফল তো দেখছেনই।
আরোও একটা ব্যপার হচ্ছে আমাদের দেশের বর্তমান শিল্পীদের সেলিব্রেটি হওয়ার প্রবনতা। তারা শিল্পের সাধনা না করে আগেই জনপ্রিয় সেলিব্রেটি হতে চায় তারপর পশ্চিমাদেশ ভ্রমন করে পাসপোর্ট ভারি করতে চায় যেন যেদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাবে সেদিন যাতে সহজেই অভিবাসী হযে যেতে পারে। ভালো করে খোজ নিয়ে দেখুন আমাদের দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনপ্রিয়-অজনপ্রিয় শিল্পীরাই এখন পশ্চিমা প্রবাসী।
ওহ আরো একটা জাতিগত স্বভাব আমাদের আছে তা হলো নিজেরাই নিজেদের পেছন মারার। বিদেশে লিংকিন পার্ক, আয়রন মেডেন, ওয়ান রিপাবলিক, মেরুন ফাইভ সহ আরো অনেক কিংবদন্তি ব্যান্ড আছে যারা একে অপরের কুৎসা না করে যুগ যুগ ধরে দুর্দান্ত সব মিউজিক করে চলেছে। তাদের প্রতিটা গানই একেকটা মাইলস্টোন। আর আমাদের? মাইলস-এলআরবি-জেমস-অর্থহীন এর মতো প্রথম সারির ব্যান্ড গুলো নোংরা কাদা মাখামাখিতে ব্যস্ত। ব্লাক- আর্টসেলের অবস্থাতো আর খারাপ, তারা নিজেদের দলের মধ্যেই এক থাকতে পারেনি, ভেঙ্গে গেছে। জন - তাহসান অভিনয় করে আর বাকিরা কোথায় কেউ জানেনা।
সিনেমাতেও একই অবস্থা, এফডিসিতে বছরজুড়ে সিনেমার চে বেশি হয় নির্বাচন মিছিল রাজনীতি আর বিদেশী ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন। সেদিন ইউটিউবে দেখলাম, মাসুদ রানা চরিত্রের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে আসা এক কেন্ডিডেটের সাথে ফাহমী নামের এক দুশ্চরিত্রবান "পরিচালক" যা-তা দুর্ব্যবহার করছে কারন সে প্রবেশের পর "মে আই কামি ইন স্যার " না বলে আসসালামওয়ালাইকুম বলেছে। অথচ এই ফাহমী সামান্য কটা ফালতু নাটক ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। পশ্চিমা দেশ তো দুর, সামান্য কলকাতার টলিউডেও সে ডি গ্রেড এর ওপরে উঠতে পারবে না।
তাহলে বলেন এত সমস্যার সমাধান কোথায়?
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমাদের মধ্যে প্রফেশনালিজমের অভাব মারাত্মক মাত্রায়। নিজেদের ভুল আমরা কখনো স্বীকার করি না, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাল কিছু করার চেষ্টা করি না।আমাদের ধান্ধা থাকে শুধু শর্টকাটে কিছু করার, ব্যর্থ হলে অন্যের উপর দায় চাপানোর। এজন্যই আমাদের শুধু পতন হয়, ওপরে ওঠা আর হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা এই দেশটা দরিদ্র। দরিদ্র দেশে এরকমটাই হয়।