নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
মানুষ কে হাঁচি কাঁশি দেয়ার ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য স্কুল খোলা উচিৎ। মানুষ হাঁচি কাঁশি কে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়৷ খাবার হোটেল গুলোর পরিবেশক দের জ্বর ঠান্ডা হলে তারা ক্রেতাদের কফ কাশি খাইয়ে ছাড়েন। সকালে পরটা অর্ডার দিলাম, পরিবেশক সাহেব সুন্দর করে একটা কাঁশি আমার পরটার ওপর ছাড়লেন৷ আমরা যে অসভ্য অপরিষ্কার জাতি, কোনো অতি সংক্রমক ভাইরাস যদি এই দেশে ছড়ায়, এই অপরিপক্ব জাতির যে কি অবস্থা হবে তা ভেবে আতংকিত হই।
একবার এক দোকানি কে বললাম "ভাই আমার খাবারের ওপরে হাঁচি দেবেন না প্লিজ" সে আমাকে উত্তর দিলো "আমরা এতো ঘিনাই না মাইনসেরে"
এক দোকানদার কে বললাম ভাই আপনার এখানে এতো মাছি কেন? খাবার গুলো ঢেকে রাখেন।
সে উত্তর দিলো "এই মাছি গুলা এইহানে খায় এইহানে জন্ম নেয়, এগুলা নালা নর্দমার মাছি না" এইগুলা খাইলে কিচ্ছু হইবো না৷ "
আরেক দোকান দার আমাকে খাবার সালাদ দেয়ার আগে, এক টুকরো সালাদ আঙুল চেটে মুখে পুরে নিলেন। তারপর সেই আঙুল দিয়ে আমাকে পুরি এবং সালাদ দিলেন৷ কিছু বললেই সেই লোক আমাকে সেই একই উত্তর দিলো "আমরা কিন্তু মাইনসেরে এতো ঘিনাই না৷"
আরেকবার খুব বৃষ্টি, দোকান ভর্তী ছোপ ছোপ কাঁদা মাটি৷ খাবারের ছোটো প্লেট টা ঠাস করে নোংরা ফ্লোরে পড়ে গেলো, সেই প্লেট দোকানী তুলে গামছা দিয়ে মোছা দিলো, তারপর সেই প্লেটে দুটো সিংগাড়া পরিবেশন করলো৷ আমি বললাম ভাই এই বিশ্রি কাজ টা কিভাবে করলেন? এতো নোংরা মানসিকতা কেন আপনার? সেই বদজ্জাত দোকানী আমাকে রিপ্লাই দিলো "এখন কি আপনাকে লাছক সাবান দিয়া দুইয়া দিতে হইবো নাকি?
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ ছাড়ানোর জন্য একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ হলে এদের জেল খাটার কথা৷ এ দেশের অভিজাত শ্রেণীর মানুষ রা যে ভালো আছে তাও কিন্তু না৷ বড় বড় রেস্টুরেন্টে প্রায়ই শোনা যায় নোংরা অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, বাসী মাংস, মেয়াদ উত্তীর্ণ কাচা মাল, গরুর জায়গায় শুয়োরের মাংস ও পাওয়া গিয়েছে বিগত কয়েক বছরে৷ বড় বড় হোটেলে মরা মুরগী ও গোপনে সাপ্লাই চলে। দেশের মানুষ সব শ্রেণী পেশার কেউ ই কিন্তু রেহাই পাচ্ছে না৷
সারাদিন একটা মাত্র বালতির পানি দিয়ে হাজার বার চায়ের কাপ ধোয়া হয়, এতে মারাত্মক সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আমরা৷ যক্ষা এবং জন্ডিসের মত মারাত্মক রোগ ছড়াচ্ছে।
যক্ষার চারটি প্রকার ভেদের মধ্যে প্রথম টি তিন মাসে ভালো হয়ে যায় কিন্তু পরের দুটি ধাপের চিকিৎসা থাকলেও তা ভালো হতে এক থেকে তিন বছর লাগে, আবার সেই চিকিৎসার ধাপ কতটা যন্ত্রণা দায়ক তা ভাষায় বোঝানো দায়৷ আর চার নাম্বার টির নাম TDR TB যার কোনো মেডিসিন নেই৷ মৃত্য ছাড়া অন্য কিছুই TDR TB এর ফলাফল নয়৷
তারপরও আমরা যথেচ্ছা নোংরা রেস্টুরেন্ট, ছাপড়া হোটেলের খাবার খাচ্ছি৷
প্রতি নিয়ত নিজেদের বিপদে ফেলছি। কোনো কিছুই মানছি না৷
চীন থেকে স্টুডেন্টদের ফেরানো নিয়ে এদেশের জনগন যে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখালো তার মধ্যে সিকি ভাগ প্রতিক্রিয়া যদি আমরা এসব খাবার দোকানীদের দেখাতাম তাহলে তারা আরও সচেতন হতো৷
এবার আসুন আরেক টা ব্যাপার বলি৷ যতবার ই আমি প্রতিবাদ করেছি আমার পাশের ক্রেতারা আমাকে কোনো সমর্থন করেনি। হয় চুপ ছিলো তারা নয়তো উল্টো হেসেছিলো আমার উপর।
আসলে আমাদের ভবিষ্যত কী?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ আজও সচেতন না।
সরকার মানুষকে সচেতন করতে পারলো না।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: মানুষেরও তো সাধারণ জ্ঞ্যান টুকু নেই ।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮
ঊণকৌটী বলেছেন: ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কালাম স্যার বলে গিয়াছিলেন যে একটি রাস্ট্যএর উন্নতির প্রধান তিনটি কারন হলো বাবা,মা এবং শিক্ষক,কিন্তু এই অঞ্চলে ,শতকরা আশি ভাগ পরিবার প্রতিটি গড়ে 6 থেকে 8 জনের পারিবার সময় বিশেষে আরো বেশি, দিনের বেশিরভাগ সময়ই টা ব্যয় করে অন্নের জন্য সেইখানে আর কি আশা করবেন।অবশ্য সময় পাল্টাচ্ছে, যেটা আপনার পোস্টে এসছে।আশার কথা এই প্রজেন্মর শিক্ষিত মানুষের রা এক টি বা দুইটি সন্তান এর বেশি নেই না এবং তাদের কে আগামী দিনের উত্তরসূরি তৈরি করছে। সেইদিন সব ঠিক হবেই।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
আহসানের ব্লগ বলেছেন: মানুষ কিন্তু জানে এসবে রোগ ছড়ায় । কিন্তু কেউ মানছে না ।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৭
আকিব ইজাজ বলেছেন: আমাদের দেশে আসলে মানুষজনে সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। তারা এইসব ব্যাপারকে খুব সাধারন ভেবে ইগনোর করে চলে। উপরন্তু কেউ আপনার মত আপত্তি জানালে উন্টো তাকে তার সতর্ক মনোভাবের জন্যে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়। এই যে এত বড় মহামারী আমাদের উপর আছরে পড়েছে তাতেও এদের বিকার দেখা যায় না। এরা তাদের নিজেদের মতই আছে। কখনো এদের বুঝিয়ে বলতে গেলে শেষ কথা হিসেবে শুনতে হয় "হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে, এত বাইচ্ছা কি হইবো!" এরপর আসলে আর কিছু বলা চলে না।
তারপরও নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লিখেছেন