নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!
প্রচলিত অর্থে আমাদের পরিবেশ আর সমাজ এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার গোড়ায় পুঁজ ধরেছে, সেই ঘায়ে যতই আঙুল চেপে পুঁজ বের করা হউক না কেন পুঁজের আর শেষ দেখা যাচ্ছে না। আমি ঠিক বলতে পারবোনা কোন কায়দায় সমাজ থেকে কালো সময় টাকে ধ্বংস করা যাবে। মনে হচ্ছে আদৌ যাবে অথবা যাচ্ছে কিনা বলা যাচ্ছে না। আসল কথায় না এসে এতো সব লিখে সময় নষ্ট করার মানেও হয় না।
এখন চলছে সীমিত লক ডাউন গাড়ি নেই রাস্তায় বললেই চলে। কাজ থেকে ছুটি পেয়ে বাসায় যাবো দ্বিগুণ অর্থ খরচ করে এটাও জানতাম। গাড়ি ভাড়া ছিলো ১৭ টাকা, মোট আসা যাওয়া ৩৪ টাকা। এমনিতেই টেনে টুনে সংসার চলে, তার ওপরে লক ডাউন। হ্যা আমি এটা স্বীকার করি "জীবন বাঁচাতে পারা টাই মূখ্য"।
কিন্তু আমরা যারা উৎপাদন মূখী শিল্পে কাজ করি তাদের জন্য কোনো লক ডাউন নেই । আবার তাদের জন্য যাতায়তে কোনো ভাতাও নেই । এমনিতেই মাসের বেতন মাস শেষ হওয়ার ১০ দিন আগেই ফুরিয়ে যায় তার ওপরে দ্বিগুণ অর্থ খরচ প্রায় সব ক্ষেত্রে, এভাবে বেঁচে থাকাটাও হয়ে ওঠে কষ্টকর।
এখন পর্যন্ত ১৪০ জনের মত ব্যাংকার মহামারী তে শহীদ হলেন, সেই সাথে পুলিশ, অন্যান্য সরকারি চাকুরী জীবি যারা আছেন, তাদের সবার পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে।
কিন্তু কতজন শ্রমিক মারা গেলেন এই মহামারীতে তার হিসেব কারো কাছে নেই । যাদের শ্রমে বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্থনীতি দিন দিন ফুলে ফেপে উঠছে তাদের খবর যেন কেউ রাখেনা। বিশেষ পেশাজীবিরা মারা গেলে ৩০ লক্ষ টাকার ওপরে পেয়ে থাকেন, কিন্তু আমাদের কারো কিছু হলে কাফনের টাকা টা দেয়ারও বোধ হয় কারো ইচ্ছে হবে না । দেশের চাকা চলে যে জ্বালানীর দ্বারা তার খবর ই রাখার সময় কারো থাকেনা।
আজ সোজা রাস্তায় হাটতে গিয়ে থমকে গেলাম, আরেক টু হলে পায়ের সাথে রিকশার চাকার ধারালো বহির অংশ পায়ে আঘাত করতো। কিন্তু আল্লাহ মাফ করেছেন। একটা রিকশা জায়গাতেই ইউ টার্ন করেছে, আরেক টু এগোতেই আরেক টা রিকশা একই কাজ করে বসলো। মনটা প্রতিবাদী হয়ে উঠলো আর বললাম "এজন্যই তো আপনাদের নিষিদ্ধ করে দিচ্ছে সরকার। তারপরে মনে মনে আরও খিস্তি খেউড় করে চলে আসলাম।
পরে আমি ভাবলাম "আমাদের মত কত "সাধারণ মানুষের" রক্ত চুষে খাচ্ছে কত প্রজাপতি, কোন প্রতিবাদ আমরা করতে পারিনা। আর আমি কিনা রিকশা ওয়ালাদের সাথে সেই ক্ষোভ মেটাই। এই ভাবতে ভাবতে মোড়ে চলে আসলাম টেম্পুর আসায়। একটা টেম্পু পেয়েও গেলাম, চাপা চাপি করে ওঠাবে যাত্রী সে। কিন্তু ভাড়া ১৫ টাকা। যে ভাড়া লকডাউনের আগে ছিলো ৫ টাকা, সীমিত লকডাউনে ১০ টাকা সেই ভাড়া আজ ১৫ টাকা। নিজের পকেটে তাকিয়ে দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে বসলাম গাড়িতে। পুরুষত্বের চাদরে কাপুরুষত্বের জীবন আমাদের "সাধারণ মানুষ" ঘরে গিয়ে দুটো খেতে পারলেই যেন বাঁচি।
পুরুষত্বের চাদরে কাপুরুষত্বের জীবন আমাদের
০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: লেখা টা পড়ে এটাই মাথা এসেছে আপনার ভাইয়া?
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: শহীদ হওয়া কি ভালো না খারাপ?