নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ

পৃথিবীর বুকে এক টুকরো গোলাপ অবশিষ্ট থাকা অব্দি ভালবাসা রয়ে যাবে কি? নাকি তারও আগে বিলুপ্ত হবে প্রেম!

আহসানের ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবখানা এমন তারা ভারতের নাগরিক৷

১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

আমার প্রায় কাছের হিন্দু বন্ধু, বাপের হিন্দু বন্ধু, এর আগে একটা হিন্দু বস, মজা করেই গরুর মাংস খাইসে। এবং এখনো খায়৷ খুব কম হিন্দু বন্ধু দুই একটা যারা গরু খায়না৷ মূলত উপমহাদেশে সংখ্যালঘু মোসলমানদের পোন্দানোর জন্য জমিদার হিন্দু রা নিজেরাও গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করেছে এবং মোসলমানের ওপর অত্যাচার ও চালাইসে৷ আমাকে যারা ফেসবুকে চিনেন, তারা জেনে থাকবেন এই দেশের হিন্দু অথবা সংখ্যা লঘুদের পক্ষে আমি আজীবন ছিলাম৷ এবং এখনো আছি৷
এবার আসি এখন আমি কেন ক্ষেপসি,
প্যালেস্টাইনের ওপর বছরের পর বছর ধরে হামলায় দেশের হিন্দু বন্ধু বান্ধব দের উল্লাশ করতে দেখা যাচ্ছে৷ বিভিন্ন জায়গায় তারা ৩৫ হাজার প্যালিস্টাইন হত্যাকে জাস্টিফাই করছে।
আমি যেমন তালেবান, আইএস, এবং সেই সাথে কট্টরপন্থি জামাত, হিজবুত তাহরীর, পায়ুনুলের হেফাঝত এইসব ঘৃণা করি ঠিক সেই সাথে মোদীর সাম্প্রদায়িক বিজেপি কেও৷
কিন্তু সারাজীবন ভিক্টিম বনে যাওয়া আমার হিন্দু ভাইয়েরা এখন মোদীর ছবি বুকে ধারণ করে৷ যদিও মোদি কিনা ভারতের প্রধাণ মন্ত্রী৷ বাংলাদেশ ভারতের ম্যাচে প্রাণ পণে ৯৯ ভাগ হিন্দু ভারতকে সাপোর্ট করে৷
গত কাল এক হিন্দু আংকেল রোহিংগা নিধন কে বাহবা দিচ্ছিলেন৷
আমি একটা কথা বার বারই বলি সুযোগ পেলে সবাই ই হায়েনা৷ ভারতে যেমন হিন্দুরা মোসলমান দের দৌড়ের উপরে রেখেছে, বাংলাদেশে মাঝে মাঝে হিন্দু দের ওপর সুযোগ পেলেই ঝাপিয়ে পড়ে জামাত, বিএম্পি, হেফাজতের দল৷ কিন্তু এইযে আমার হিন্দু প্রতিবেশী কে দেখছি এখন অত্যাচারীর পা চাটতে৷ তারা এখন নেতানিয়াহু আর মোদীর পা চাটতে ব্যস্তা৷
কয়েকজন প্রতি বছর মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান৷ ভাবখানা এমন তারা ভারতের নাগরিক৷

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১১

ধুলো মেঘ বলেছেন: ভারতীয়েরা কখনোই বিজয়ীর জাতি ছিলনা, যুগে যুগে ইতিহাস তাদের কেবল পরাজয়েরই সাক্ষ্য দেয়। প্রথমে মুসলিমদের কাছে, তারপর ব্রিটিশদের গোলামী করতে করতে এদের নিজস্ব আলাদা কোন ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠেনি। এরা এখন শক্তের ভক্ত হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এরা সবচেয়ে শক্তিশালী রাশিয়ার পা চেটেছে, রাশিয়া দুর্বল হবার পরে আমেরিকার পা চেটেছে, এখন আবার আমেরিকা দুর্বল হবার পরে ইসরাইলের পা চাটছে। গাজওয়াতুল হিন্দ এবং দাজ্জালের ফেতনা যে কিভাবে এক সূত্রে গাঁথা - আস্তে আস্তে তা প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: শুধু তারা নয়, বাংলাদেশের অনেকেই স্বাধীনতার অনেক বছর পরেও ভারত প্রেমে মশগুল। সজাগ দৃষ্টি রাখুন সব পরিষ্কার দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভারতীয় উপমহাদেশে গরু খাওয়ার প্রচলন কবে থেকে? শাসনক্ষমতায় তখন কারা ছিল? নাকি হিন্দুদের ক্ষেপানোর জন্য গরু খাওয়া শুরু হয়েছে?

কোনো হিন্দু মারা গেলে বা কোনো বিধর্মী মারা গেলে মুসলমানদের মধ্যে বৃহৎ একটা অংশ হা হা দেয় কেন? সবসময় বিধর্মীদের ঘৃণা করে কেন? আচ্ছা, সে না হয় করল। এখন কথা হলো অন্যদের আপনি ঘৃণা করেন, তাহলে তাদের কাছ থেকে সহমর্মিতা আশা করেন কীভাবে?

আপনাকে যতদূর জানি অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার। আপনি কোনো পক্ষেও থাকেন না। কিন্তু সবাই তো আপনার মতো না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: অনেক মুসলমান আছে যারা বিধর্ম মারা গেলে খুশিই হয়” এখানে যাদের কথা বলেছেন এরা জামাত, বিএনপি আর হেফাজত। এদের কে যে কতটা ঘৃণা করি তার কোন আইডিয়া নাই আপনার।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভারতপ্রীতিতে আমি তেমন সমস্যা দেখি না। ধর্মীয় কারনে ও এদেশে নানান সময় সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হবার কারনে হয়ত তাদের এ ধরনের মনোভাব কিছুটা দেখা যায়। তারপরেও আমি বলব যে সবাই নয়। আমার পরিচিত অনেক হিন্দু আছে যারা আমাদের দেশের অগনতান্ত্রিকতা ও কুশাষনে ত্যক্ত বিরক্ত। ভয়ঙ্কর হচ্ছে হালুয়া রুটি ভাগের আশায় এদেশি মুসলিমদের ভারতপ্রীতি। ৭১ এর রাজাকার আর এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। নিজেদের স্বার্থে এরা নিজ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগ হিন্দু জনগোষ্টি না ঘার কা না ঘাট কা। অবশ্য এর জন্য দায়ী এদের নেতৃত্ববৃন্দ এরা এদের ভুল পথে পরিচালনা করে নিজেদের পকেট ভাড়ি করার জন্য।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১০

নতুন বলেছেন: ভাই দেশের মুসলমানেরা যদি সৌদি প্রিতি থাকে তবে হিন্দুদের ভারত প্রিতিতেতো কোন সমস্যা নাই।

আরেকটা কথা আপনি যেমন আপনার পরিচিত হিন্দুরা গরুর মাংস খেয়েছে বলছেন তেমনি আপনার বন্ধুরা যদি আপনাকে পর্ক ( শুকরের মাংস) খেতে দেয় আপনি খাবেন অথবা আপনার পরিচিত কোন মুসলমান খেলে তাকে ভালো বলবেন?

বাংলাদেশে যারা পাকিস্থানের ক্রিকেটকে সমর্থন করে তারা মুসলমান দল হিসেবেই সমর্থন করে...

সত্যিকারের মানবতা বোধ খুব কম মানুষেরই আছে। যেই হিন্দুরা ফিলিস্তিনের মানুষের মৃত্যুকে জাস্টিফাই করে তারা অমানুষ। তেমনি অনেক মুসলমান আছে যারা বিধর্ম মারা গেলে খুশিই হয়। তারাও অমানুষ। এরা এখনো মানবিক বোধ ধারন করতে পারেনাই অর্থ এখনো পুরোপুরি মানুষ হতে পারেনাই।

মানুষের মৃত্যুতে যারা উল্লাশিত হয় তাদের আমি মানুষ বলিনা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০১

আহসানের ব্লগ বলেছেন: এই দেশের মানুষদের মধ্যে কট্টর ভাবে সৌদীরি জন্য ভালবাসা দেখিনাই। যেভাবে কিছু মানুষ পাকিস্তানী হায়েনা আর মোদীর সামপ্রদায়িক ভারতের প্রতি ভালবাসা দেখি তেমন টা সৌদির জন্য কখনোই দেখিনাই।

অনেক মুসলমান আছে যারা বিধর্ম মারা গেলে খুশিই হয়” এখানে যাদের কথা বলেছেন এরা জামাত, বিএনপি আর হেফাজত। এদের কে যে কতটা ঘৃণা করি তার কোন আইডিয়া নাই আপনার।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: শুকরের মাংস কে খাইলো আর কে খাইলোনা তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি যেহেতু জীবনেও এটা খাই নাই তাই অসম্ভব শুকুরের মাংস খাওয়া কিন্তু কেউ খোইলে আমি কে না করার?

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার এতো বছর পরও অনেকে পাকি প্রেমী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.