![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
আয়না বড়ই অদ্ভুত বস্তু। নিজের মতো আরেকটাকে দেখা যায় ওটার ভেতরে। মেয়েরা মেয়েদের জীবনের অনেকটা সময়ই এই আয়না দেখে পার করে দেয়। কোন অন্ধকার রুমের ভেতরেও কিভাবে যেন মেয়েরা খুব সাবলীল ভাবে দেয়ালের ছোট্ট আয়নাটিও খুঁজে বের করতে পারে। এই ক্ষমতা বুঝি মেয়েদেরকেই দেয়া হয়েছে। আয়না জাতীয় সকল বস্তু এদেরই আগে চোখে পড়ে। তারপর তাতে রূপ অথবা সৌন্দর্য দেখার চেষ্টা।
গতকাল বাসের ভেতর এক মেয়ে হাতে ছোট্ট একটা আয়না নিয়ে সাজুগুজু করছে। এক কথায় মেকাপ নিয়ে ঘষাঘষি। তার ভ্যানিটি ব্যাগেও একটা ষড়ভুজ আকৃতির ছোট আয়না লাগানো। মেয়েটা মনে হয় আয়নাপ্রেমিক। যাই হোক আমি যেখানে বসে ছিলাম মেয়েটা ঠিক পাশের সারির সামনের সিটে বসা। হঠাৎ খেয়াল করলাম মেয়েটার পাশে বসা ছেলেটা খুব মনোযোগ সহকারে মেয়েটার ব্যাগে লাগানো ছোট্ট আয়নায় নিজের গাল পরীক্ষা করছে। ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলাম ছেলেটা নিজের গালের ব্রণ নিয়ে সেই ছোট্ট আয়নায় রীতিমত অস্ত্রোপচার চালাচ্ছে। মেয়েটার ওদিকে কোন হুঁশ নেই। সে মেকাপ নিয়ে ব্যস্ত। আমি খুব কৌতূহল নিয়ে ব্যাপারটা দেখছি। হঠাৎ ছেলেটার ব্রণের ভেতরের সাদা অংশ মেয়েটার মেকাপ করা গালের উপর গিয়ে পড়ল। মেয়েটা অগ্নিমূর্তি নিয়ে ছেলেটার দিকে তাকাল। আমি অনেক কষ্টে হাসি চেপে রেখেছি। পর দৃশ্যের অপেক্ষায় আছি। ভাবছি ছেলেটার কানের গোড়ায় এই গিয়ে পড়ল কিনা !
আমার ষ্টেশন চলে এল। আমি নেমে গেলাম। পর দৃশ্য দেখার আর সুযোগ পেলাম না। বিশাল এক আফসোস নিয়ে বাড়ি ফিরলাম...
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯
নাফিস আবির বলেছেন: খুব হাসলাম ভাই