![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।
স্কুল লাইফ। বাংলায় বিদ্যালয় জীবন। জীবনের দশটা বছর আমরা এখানে কাটাই। তারপর কলেজ, ভার্সিটি। কিন্তু স্কুল লাইফের বন্ধুদের মতো বন্ধু হয়তো পাওয়া যায় নাহ। পাওয়া গেলেও কোথায় যেন একটা খাদ থেকে যায়। এসএসসির পর একটা বড় রকমের ডিভাইডেশোন হয়ে যায় তখন সার্কেলে। অনেকের হয়তো হয় না। তারা অনেক ভাগ্যবান। তারপর ভার্সিটিতে উঠলে তো বলতে গেলে সবাই লাপাত্তা হয়ে যায়।
টং দোকানের আড্ডাগুলো হারিয়ে যায়। গানগুলো হারিয়ে যায়। সারাদিন গ্যাং নিয়ে চলাফেরা করা ছেলেটা একা হয়ে যায়। একমাত্র আড্ডাপ্রিয় মানুষরাই বোঝে টং দোকানে একা একা চা সিগারেট খাওয়ার কি কষ্ট। মাঝে মাঝে যখন ফুটপাথ দিয়ে হাঁটি তখন সামনের ছেলেপেলেদের জটলার কারণে সামনে এগুতে পারি নাহ। পরে ভালো করে খেয়াল করে দেখি এরা স্কুলে পড়ে। রাস্তায় হই হুল্লোড় করে রাস্তা প্রায় বন্ধ করে হেঁটে যাচ্ছে। আমি একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকি। আমাদের সময় তখন হয়তো কতো মানুষ বিরক্ত হতো। কিন্তু আমি পেছনে থেকে একটুও বিরক্ত হচ্ছি নাহ। আমিও ওদের পেছন পেছন হাঁটি। ওদের আড্ডায় সামিল হবার চেষ্টা করি। আমার ভালো লাগে। কারণ আমিতো আমার বন্ধুদের হারিয়ে ফেলেছি। কোথায় পাব ওদের? আমি যখন এই আবোল তাবোল লিখছি আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি নাহ। বুকটা কেন যেন কষ্টে ফেটে যেতে চাইছে খুব।
আমার হুটহাট করে কোন কিছু লেখা হয় নাহ কখনো। এই প্রথম কি মনে করে জানি লিখতে বসলাম। যা মনে আসছে তাই লিখছি। আমি বন্ধুপ্রিয় মানুষ। আমার একা একা ভালো লাগে নাহ। যদিও অনেকগুলো বছর একাই পাড় করে দিলাম। টং দোকানগুলোয় যখন একা একা বসে থাকি তখন ছেলেপেলেদের আড্ডাগুলো পাশ থেকে অনুভব করার চেষ্টা করি। আমার ভাবতে ভালো লাগে আমিও ওদের মাঝে একজন। আমি এমন একটা ভাব নিয়ে বসে থাকি যেন আমি আমাকে নিয়ে খুব ব্যস্ত কিন্তু আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ ওদের দিকেই থাকে। ওদের টপিকের দিকে থাকে। ওদের গান শুনি। ঝগড়া শুনি। একে অপরকে ইন্সাল্ট করা দেখে হাসি। ওরা যখন আলোচনায় হো হো করে হেসে ওঠে তখন আমার হাসি চাপিয়ে রাখতে খুব কষ্ট হয়। তেমনি চোখের পানিও। ওদের দেখে আমার সবসময়ই মনে প্রশ্ন জাগে কেন বড় হলাম?
সবাই ভালো আছে। কাউকে দেখছি নাহ খারাপ থাকতে। কেউ কেউ অন্য দলে ঢুকেছে। কেউবা আসক্ত হয়েছে মেয়েতে। ওরা এমনভাবে মেয়েদের পাল্লায় পড়ল যে মোটামুটি এক বন্ধুর জীবন হ্যাস্ত ন্যাস্ত হয়ে গেল প্রায়। একরকম মানুষিক অসুস্থতা, অস্থিরতায় ভোগে ও আজকাল। এক বন্ধুর সাথে হাসি ঠাট্টা করলেও এখন তার প্রচুর গায়ে লাগে। কিন্তু এই আমরাই একসময় বলতাম, তোর বউ আমার বউ- আমার বউ তোর বউ। সেই কথাগুলো ভাবলে আজ আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই। কি ছিলাম আমরা আর কি হয়ে গেলাম।
সবাই পরিবর্তন হয়ে যায়। আমিও যে চাই না তা না। আমিও চাই খুব চাই। কিন্তু পারি না। একটুও পরিবর্তন হতে পারি না। হয়তো আগের চেয়ে একটু চুপচাপ হয়েছি। এই যা। আমি চাই না আমার মতো বন্ধুপাগল, আড্ডাপ্রিয় মানুষরা এমন হয়ে যাক। কিঞ্চিৎ পরিমাণও চুপচাপ হয়ে যাক কেউ চাই না তা।
এক বন্ধু রাতে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিল, ''কালকে সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি আইসা পড়িস। অনেকদিন আড্ডা দেই না''
দেখে খুব ভালো লাগল। কোন দিক দিয়ে জানি এক মোচড় দিয়ে উঠল ভেতরে। চোখে পানি চলে আসল নিমিষে।
আমার সকল হারিয়ে যাওয়া বন্ধু ভালো থাকুক। জগতের সকল সার্কেল ভালো থাকুক। সকল বৃত্তরা ভালো থাকুক।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
সুমন কর বলেছেন: দুঃখিত, আমি ভুল করে অন্য ব্লগার মনে করে, মন্তব্যটি করেছিলাম। তাই তুমি করে বলেছি। কিছু মনে করবেন না।
লেখাটি ভালো লেগেছিল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: না না সমস্যা নেই। তুমি করে বলতে পারেন।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
বিজন রয় বলেছেন: ভাল আবেগ আছে।
++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩
অতঃপর নীরবতা বলেছেন: এতো আবেগ নিয়ে খুব বিব্রত থাকি ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
সুমন কর বলেছেন: আমি যখন এই আবোল তাবোল লিখছি আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারছি নাহ। বুকটা কেন যেন কষ্টে ফেটে যেতে চাইছে খুব। আমার হুটহাট করে কোন কিছু লেখা হয় নাহ কখনো। -- তুমি দেখছি অনেক নরম....আর তুমি তো হুটহাট ভালোই লিখতে পারো।
লেখাটি পড়ে, আমারও স্কুল জীবনের বন্ধুদের কথা মনে পড়ে গেল।
শুভ সকাল।