নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহসান মুহাম্মাদ www.facebook.com/ahsan.muhaammad

অতঃপর নীরবতা

যদি কবিতা লেখা শিখানোর কোন পাঠশালা থাকত তাহলে সে পাঠশালার আজীবন অবৈতনিক ঝাড়ুদার হইতাম।

অতঃপর নীরবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপোষ

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১১



অতীত ব্যাপারটাই বড় অদ্ভুত ব্যাপার। আমরা বর্তমানে কি করছি, ভবিষ্যতে কি করব সেটা ভাবি বা ভাবতে থাকি অতীতকে মাথায় নিয়েই। কেউ অতীতকে আপোষ করি কেউবা করি বিবেচনা। কম্প্রোমাইজ অর কন্সিডার। সম্পর্কের দিক দিয়ে হিসেব করলে মেয়েদের মধ্যেই কম্প্রোমাইজ করার ক্ষমতাটা বেশি দেখা যায়। শাব্দিক অর্থে আপোষ।

প্রেমিকার অতীত নিয়ে প্রেমিকের যতটা খুঁতখুঁতানি থাকে একজন প্রেমিকার ততটা থাকে না। কারণ ততদিনে সে আপোষ করে ফেলেছে। কিন্তু আমরা প্রেমিক সাহেবরা সেটা পারিনা। চাইলেও পারি না। কম্প্রোমাইজ করতে গিয়ে হয়ে যায় কন্সিডার। আমরা আপোষ করতে পারি না। সামান্য সাময়িক বিবেচনা করে নিউরণের এক ফাইলে রেখে দেই। সময়মত করি উদগীরণ।

কিন্তু অতীত ঝাড়লে দেখা যায় মেয়েটার চাইতে ছেলেটার অতীতেই মরিচা বেশি। এটা আমরা স্বীকার করি না অকপটে। পাঁচজন বন্ধু একসাথে রাত্রিযাপনকালে গভীর রাতে কোন অজানা মেয়ের নাম্বারে ফোন দিয়ে সস্তা বিনোদন নেয়ার যে সস্তা চেষ্টাটা করা হয় সেই একই কাজ যদি কতগুলো মেয়ে করে থাকে একটা ছেলেকে ফোন দিয়ে তাহলে আমরা সেই মেয়েগুলোকে অবশ্যই নতুন কোন গুণে গুণান্বিত করি নাহ। বলি মেয়েগুলা খারাপ। কিন্তু দেখা যায় সেই পাঁচটা ছেলের সবারই কিন্তু একজন করে প্রেমিকা আছে। ছেলেগুলো বান্ধবী নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তাতে কোন দোষ নেই কিন্তু মেয়েগুলো বান্ধব নিয়ে আড্ডা মারলেই সেক্ষেত্রে ছেলেদের বক্তব্য, তোমার কোন
বন্ধু বান্ধবীর দরকার নাই।

এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলো মেয়েরা সুন্দরমতন আপোষ করে চলে। তাছাড়া একটা মেয়ে যতটা সাবলীলভাবে তার অতীত বর্ণনা করে থাকে বা বলা যায় ছেলেটা আদায় করে নেয়, একটা ছেলে সেভাবে এক্সপ্রেস করলেও কিছুটা ফাঁকা রেখে দেয় বা মেয়েটা আদায় করে নিতে পারে না। তবুও আমরা সবসময়ই মেয়েদের দোষগুলোই গুণে বেড়াই প্রেমিক হিসেবে। তাদের অতীতে ভুল ধরি যদিও আমাদের বর্তমানটাই এখনো বিশুদ্ধ করতে পারিনি। মেয়েরাও যে অতীত স্বীকার করে, আপোষ করে একদম পরিপূর্ণ পরিশুদ্ধ নারী হয়ে যায় ব্যাপারটা সেরকমও না। ব্যাপারটা হচ্ছে আসলে মেনে নেয়ার। এটা মেয়েরা কষ্ট করে হলেও পারে আর ছেলেরা পারে না। তফাৎ এটাই।

কিন্তু মুল বিষয়টা হচ্ছে ছেলেগুলো তখনই মেনে নিতে পারে না যখন একদম ভেতর থেকে মেয়েটাকে পরিপূর্ণ বিশুদ্ধরূপে চায়। এখানে মেয়েদের মেনে নেয়ার বিষয়গুলোকে যেমন গুনের কাতারে ফেলা যায় তেমনি ছেলেদের না মেনে নেয়ার ব্যাপারটাও দোষের কাতারে ফেলা যায় না। ব্যাপারটা আসলে ফিফটি ফিফটি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.