নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ একটি জাল নোটের আত্মকাহিনী

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

আমি একশো টাকার একটি বাংলাদেশী জাল নোট। বাংলাদেশী হলেও আমার জন্ম কিন্তু পাকিস্তানে। এক বছর আগে সে দেশের এক শহরে একটি দোতলা বাড়ির ওপর তলার এক ঘরে আমার জন্ম। সে ঘরের দরজা জানালা সব সময় বন্ধ থাকে। ভেতরে বসে তিন চারজন লোক আমাদের জন্ম দেয়। সেখানে কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টারসহ অত্যাধুনিক আরও অনেক যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যাল নিয়ে তারা কাজ করে। আমার আরো হাজার হাজার যমজ ভাইয়ের জন্ম হচ্ছে সেই ঘরে। আমার মেজভাই পাঁচশো টাকা ও বড়ভাই হাজার টাকারও জন্ম হচ্ছে সেখানে। আরো আশ্চর্য কি জানেন? রূপি দাদা ও ডলার আংকেলেরও জন্ম হচ্ছে একই ঘরে।

আমার জন্মের মাত্র পনের দিন পর আমার অন্যান্য ভাইদের সাথে প্যাকেটবন্দী হয়ে আমি বাংলাদেশে চলে আসি। ব্যাগের মধ্যে অন্ধকারে পড়ে থাকলেও আমরা যে বিমানে চড়ে আকাশপথে বাংলাদেশে আসছি সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। একজন পাকিস্তানি সুন্দরী মহিলা শাহজালাল বিমান বন্দরের বাইরে অন্য একজন সুন্দরী বাংলাদেশি মহিলার কাছে আমাদের ব্যাগটা হস্তান্তর করে ঢাকার একটি পাঁচ তারা হোটেলে চলে যান।

এরপর নানারকম লোকের হাত ঘুরে আমি এক পাইকারি গরু বিক্রেতার হাতে এসে পড়ি। আমার অন্যান্য ভাইরা এ হাত ও হাত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাঝে মধ্যে তাদের কারো কারো সাথে দেখা হলেও বেশিক্ষণ একসাথে থাকার সুযোগ হয়নি। গরু বিক্রেতার সৌজন্যে অল্পদিনের মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় আমার সফর করা হয়ে যায়। সফরের এক পর্যায়ে আবার ঢাকায় ফিরে এলে মতিঝিলের এক ব্যাংকের লোকেরা কি একরকম যন্ত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং আমাকে আনফিট ঘোষণা করে টাকার বান্ডিল থেকে বের করে দেয়। যে লোকটি আমাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, সে আমাকে দু’ভাঁজ করে পকেটে ভরে বাসায় নিয়ে আসে। কিছুদিন তার বাসায় আলমারির মধ্যে থাকার পর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আমার সাথে আরো একটি কুড়ি টাকার আসল নোট দিয়ে এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনে লোকটি কেটে পড়ে। সিগারেট বিক্রেতা ছোকরা পরে বুঝতে পারলেও চাল ডাল তেল লবণ কেনার সময় সে এক মুদি দোকানদারের কাছে আমাকে চালান করে দেয়। দিনশেষে ক্যাশ মেলানোর সময় আমি ঐ দোকানের কর্মচারীদের হাতে ধরা পড়লেও পরদিন আমি কিভাবে কিভাবে যেন বাবুবাজারের এক পাইকারি চালের আড়তদারের হাতে এসে পড়ি। আড়তদার একশো টাকার বান্ডিলের মধ্যে লুকিয়ে আমাকে ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ব্যাংকের লোকেরা আমাকে চিনতে পেরে আবার বের করে দেয়।

উপায়ন্তর না দেখে আড়তদার লোকটি তার ঠিকাদার ছোট ভাইয়ের হাতে আমাকে তুলে দিয়ে আমার একটা গতি করতে বলে। ছোট ভাই আরো এক কাঠি সরেস। রোড এন্ড হাইওয়েজের এক ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে ঘুষ দেয়ার সময় একতাড়া নোটের মধ্যে লুকিয়ে আমাকে সে চালান করে দেয়। পরদিন তার ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার কথা।

কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ওয়ার্ক অর্ডারে সই না করে ঠিকাদারকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠালেন। টেবিলের ড্রয়ার থেকে আমাকে বের করে নোংরা ফেলার মতো করে ঠিকাদারের সামনে ফেলে দিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার সাথে দু’নম্বরি? এই নোটটা এখনই বদলে দেন।’ ঠিকাদার ছেলেটি লাইটের আলোয় আমাকে ভালো করে উল্টে পাল্টে দেখে লজ্জিত হবার ভান করে বলল, ‘সরি, স্যার। আজকাল ব্যাংক থেকেও জাল নোট দিচ্ছে। আমরা কি করবো স্যার বলেন? আমি এখুনি বদলে দিচ্ছি, স্যার।’

এরপর ঠিকাদারের সাইট ম্যানেজারের হাত ঘুরে আমি এসে পড়লাম দৌলতদিয়ার এক পতিতার হাতে। দেহ বিক্রির টাকায় সে পতিতাপল্লীর মুদি দোকানে চাল ডাল কিনতে গেলে দোকানদার আমাকে নিতে রাজি হলনা। পতিতা মেয়েটি কেঁদে কেটে অস্থির। তবে এই পল্লীতে থেকে সে ইতিমধ্যে অনেক ছলা কলা শিখে ফেলেছে। পরদিন মোটাসোটা এক খদ্দেরের কাছ থেকে ফি পাওয়ার পর সে একটা আসল একশো টাকার নোট কৌশলে সরিয়ে ফেলে আমাকে খদ্দেরের হাতে দিয়ে বলল, ‘ফুর্তি করবার আইছেন জাল নোট নিয়া? বদলায়া দ্যান মিয়া!’

মোটা লোকটি সেতুর টোল আদায় করে। অতিরিক্ত ওজনের মালবাহী ট্রাক ছেড়ে দেয়ার জন্য সে ড্রাইভারদের কাছ থেকে চা পানি খাওয়ার পয়সা পায়। নিশ্চয় কোন হারামজাদা ড্রাইভার তাকে জাল নোটটি গছিয়ে দিয়েছে। সে আমাকে পকেটে রেখে পতিতা মেয়েটিকে একখানা আসল নোট দিয়ে মনে মনে বলল, ঠিক আছে, ব্যাটা তোদের টাকা আমি তোদের কাছেই উগরে দেব। দু’নম্বরি কাজে আমিও কম না।

এভাবে সত্যি সত্যিই আমি এক ড্রাইভারের হাতে এসে পড়লাম। ড্রাইভার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিল। পথে যাত্রা বিরতির ফাঁকে টিনের ছাউনি দেওয়া এক হোটেলের পেছন দিকের ঘরে এক হিজড়াকে দিয়ে গা মালিশ করিয়ে আমাকে তার হাতে গছিয়ে দিল সে। হিজড়া খুব খুশি। গা মালিশ করে সে পঞ্চাশ টাকার বেশি পায়না। আজ পেয়েছে একশো টাকা। সে আনন্দে ড্রাইভারের দেহের স্পর্শকাতর অঙ্গে আদর করে সুড়সুড়ি দিয়ে দিল এবং নিজের দু’হাতের তালুতে চাটা মেরে আমাকে চুমু দিয়ে ব্লাউজের ফাঁক গলিয়ে তার সমতল বুকের মধ্যে রেখে দিল।

এরপর আবার এক বোকা দোকানদারের হাত ঘুরে আমি চলে এলাম এক প্রাইমারী শিক্ষকের মানিব্যাগে। ভদ্রলোক পরে জাল নোট বুঝতে পেরে দোকানদারকে ফেরত দিতে গেলে দোকানদার ‘আমি দেইনি’ বলে মুখ ঘুরিয়ে বসে রইল। অনেক ঝগড়াঝাঁটি করেও যখন কোন কাজ হলনা, তখন ‘ঠিক আছে, এই নোট কিভাবে চালাতে হয় আমি জানি’ বলে প্রাইমারী শিক্ষক নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে আমাকে ক’দিন তার নিজের কাছে রেখে দিলেন। তারপর একদিন ভ্যানগাড়িতে শাক সবজী, পিঁয়াজ রসুন নিয়ে এক হকার তাঁর বাড়িতে এলে তাঁর স্ত্রী শাক সবজী আর পিঁয়াজ রসুন কিনে আমাকে দিয়ে হকারের দাম শোধ করলেন। হকার লোকটা চোখে একটু কম দেখে। আমাকে এপিঠ ওপিঠ উল্টে দেখে হাসিমুখে পকেটে রেখে সে সালাম দিয়ে চলে গেল।

কিন্তু পরদিন ভোরে সে পাইকারি রেটে মাল কেনার জন্য মোকামে গেলে তার মহাজন বলল, ‘জয়নাল, এই জাল নোটটা তুমি পাইলা কই?’

‘জাল নোট!’ আমাকে হাতে নিয়ে প্রায় চোখের সাথে ঠেকিয়ে আবার ভালো করে দেখে জয়নাল বলল, ‘এইডা জাল নোট?’

মহাজন পানের পিক ফেলে হাসতে হাসতে বলল, ‘তুমি আধাকানা মানুষ। কেউ না কেউ চালায়া দিছে। তুমি বুঝবার পার নাই। নোটটা বদলায়া দাও। এরপর থাইকা সাবধানে ট্যাকা পয়সা নিও জয়নাল। দিনকাল ভালো না।’

জয়নাল গরিব মানুষ। বাড়িতে আটটা মুখ। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে শাক সবজী বেঁচে আটটা মুখে ভাতের যোগান দিতে হয় তাকে। আমি জাল নোট শুনে সে কেঁদে ফেলল। মহাজন সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘আরে, তুমি কাঁনতাছ ক্যান্? তোমারে যেমন চালায়া দিছে, তুমিও তেমনি কারো কাছে চালায়া দিবা। দুনিয়ায় কত বোকা লোক আছে না!’

‘না, মহাজন।’ জয়নাল জামার আস্তিন দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল, ‘এই কাম আমি করবার পারুম না। আমি ঠকছি বইলা আর একজনরে ঠকাইতে পারুম না। এই নোট আমি অহনই পুড়াইয়া ফেলুম।’

জয়নাল হকারের কথা শুনে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে গেল। সর্বনাশ! আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে? গরু ব্যবসায়ী, সিগারেট বিক্রেতা, দোকানদার, আড়তদার, ব্যাংকের লোক, ইঞ্জিনিয়ার, ঠিকাদার, সাইট ম্যানেজার, টোল কর্মচারী, ড্রাইভার, শিক্ষক এমনকি বেশ্যা ও হিজড়াও এই ব্যাটা হকারের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। আমি জাল নোট হলেও ওরা আমাকে মেরে ফেলেনি। আর এই কানা হকার লোকটা কি বদমাশ্! বলছে, আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলবে!

আর সত্যি সত্যিই বদমাশটা তাই করলো। পকেট থেকে ম্যাচ বের করে আগুন জ্বালিয়ে আমাকে পুড়িয়ে দিল। আমি পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই না হওয়া পর্যন্ত বদমাশটা অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই দেখলো সে দৃশ্য। অথচ কেউ ‘ইন্নালিল্লাহ’ পর্যন্ত পড়লো না।

**********

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৮

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আমাদের চরিত্রের অন্ধকার দিকটা এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে সত্যিই লজ্জা লাগলো।
ভালো লাগলো।

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই নাভিদ কায়সার রায়ান, আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের চরিত্রের এই অন্ধকার দিকগুলি তুলে ধরলে অন্ততঃ সমাধানের দিকে এক পা এগুনো যায়। আর এগুলি যদি আলোচনাতেই না আসে, তবে সে আশা সুদুর পরাহত।
শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

২| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখাটি চমৎকার!

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ঢাকাবাসী।
শুভেচ্ছা রইল।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

দাদা- বলেছেন: আমাদের সমাজে শক্তিরূপা হলো নারী। নারী বিনা পুরুষ অচল । সবই দুর্ভাগ্য। তাই অনেক নারীর কপালে জোটে ঠিক এমনি হয়রানি। পরিনতি পায় জালনোটের মতো ।

তাদের আত্মকাহিনী কে শুনবে আজ ?

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, দাদা-।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

মূর্খ বলেছেন: ভালো লাগলো।

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মূর্খ।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

নীল জোসনা বলেছেন: এতো দারুন করে লেখেন কিভাবে ?

অশেষ ধন্যবাদ ।

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাদের আশীর্বাদে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৮

সুমন কর বলেছেন: গল্পের অন্ত:স্থ তাৎপর্য বিশাল।
কিন্তু প্রথমদিকে তেমন ভাল লাগছিল না। একই গণ্ডিতে ঘোরাঘুরি করছিল।
মোটামুটি লাগল !

৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, সুমন কর।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে গল্পটি।
ভিন্ন ধারার গল্প!
শুভেচ্ছা রইলো।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, নাহিদ শামস্ ইমু।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

আলোর পরী বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার লেখাটি । বিশেষ করে শেষ করেছেন দারুন মমতায় ।

আমাদের লোভ, আর মানুষ ঠকানোর প্রবনতা সব কিছু তুলে ধরে শেষ পর্যন্ত সততায় এসে রেখা টেনেছেন ।

আপনার জন্য রইল অনেক শুভ কামনা ।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, আলোর পরী। আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে স্বাগতম।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: ফিকশনকে সামনে রেখে বাস্তবতাকে রোমান্টিক আঙ্গিকে ‍উপস্থাপন করেছেন যা প্রশংসার দাবীদার।

আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলবো--জয়নাল হকারদের মতো হাজার হাজার হকার যদি বঙ্গমাতা জম্ম দিত-তাহলে আমরা ভিন্ন ধারার বঙ্গভূমি পেতাম।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: একদম ঠিক কথাটিই বলেছেন। জয়নাল হকারদের মতো দরিদ্র মানুষদের মধ্যে এখনো কিছু মনুষ্যত্ববোধ আছে, যা অনেক ধনীর মধ্যে নাই।

ধন্যবাদ, ভাই আমার বাংলাদেশ স্বাধীন।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার +++

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, কাণ্ডারি অথর্ব।

শুভেচ্ছা রইল।

১১| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

মিনুল বলেছেন: এই গল্পে আমাদের স্বভাব খুবই স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে।ভালো লাগলো।

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, মিনুল।

শুভেচ্ছা রইল।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: গল্পের ফিনিসিং প্রশংসনীয়।
ভাল লাগা রেখে গেলাম ++++++

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, শামীম সুজায়েত।

শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:২৩

সকাল হাসান বলেছেন: ভাল লাগছে গল্পটা। চমৎকার লিখেছেন।

ফিনিশিং জাস্ট জোস হইছে।

আমরা সবাই আসলে বুঝি সব কিছুই কিন্তু ভয়ে কেউ কিছু করি না।
যেমন এই জাল নোটটাই। সবাই বুঝতে পেরেছে এইটা জাল নোট। বুঝতে পেরেও কেউ এটাকে পুড়ায় নি বা ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকেনি।
কারন জাল হোক আর যাই হোক টাকাতো - চামে পাইলে চালায়া দেওয়া যাইব মনোভাব সবার মাঝেই। নাহলে লস হয়ে যাবে টাকাটা।

তবে এদের মাঝেও ব্যতিক্রম একজন দুজন থাকে, যেমন জয়নালই। তার টাকার দরকার - আর টাকার পরিমানটাও অগ্রাহ্য করার মত না। তারপরও এই টাকা চালানো জালিয়াতি সে ভালই বুঝেছে - এবং বুঝতে পেরে এই জালিয়াতি যাতে আর না হয় তাই, জালিয়াতির মাধ্যমটাই নষ্ট করে দিয়েছে।

স্যালুট টু দোজ জয়নাল'স।

আরেকবার বলছি ভাই - চমৎকার লিখেছেন। +++

৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই সকাল হাসান, আপনাকে ধন্যবাদ। খুব সুন্দরভাবে গল্পের অন্তর্নিহিত বার্তাটি তুলে ধরেছেন আপনার মন্তব্যে।
আমার লেখা প্রায় আড়াই শো ছোটগল্প এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সালে একমাত্র উপন্যাস "স্বপ্ন বাসর' প্রকাশিত হয়েছে। কোন গল্প বা উপন্যাস আমি শুধু পাঠক বিনোদনের জন্য লিখিনি ভাই। প্রতিটি লেখার পেছনে অবশ্যই একটা না একটা মেসেজ আছে, যা আপনার মতো সচেতন পাঠক মাত্রেই বুঝতে পারেন। লেখকের সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমি এটা করে থাকি।
আপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: একটা জাল নোট, যারা জেনে বিনিময় করেছে তারাও জাল । ঐ কানা হকারই আসল মানুষ । ভালো লেগেছে গল্প ।

৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই মামুন রশিদ।

১৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫০

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আসুন না , সবাই প্রমিজ করি , জাল টাকা আমাদের হাতে পড়লে আমরাও সেটা পুড়িয়ে ফেলব!

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লোভ লালসা না থাকলে এই প্রমিজ রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে অধিকাংশ মানুষই লোভ লালসামুক্ত নয়। নিজের সামান্য কিছু ক্ষতিও কেউ স্বীকার করতে চান না।

ধন্যবাদ, পাজলড ডক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.