| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
এটি একটি শোনা কাহিনী। আমি নিজেই বিশ্বাস করিনি। তাই অন্যদের বিশ্বাস করানো প্রায় অসম্ভব। তবে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস থেকে নয়, মহামতি সেক্সপিয়রের অমর বানী ‘দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ.........’ স্মরণ করে কাহিনীটি লিখে ফেললাম। আশা করি, আমার মতো আপনারাও বিশ্বাস করবেন না।
আমাদের এই শহরে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে (রুয়েট নয়)। জমি জমা জরীপ এবং হাল্কা প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা দানের জন্য সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ আমলে ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমি যে সময়ের কথা বলছি, সেটি সম্ভবতঃ ১৯৬৯ সালের ঘটনা। কাশেম নামে একটি গ্রাম্য ছেলে এই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করতো। তখন এই বিষয়ে মেয়েরা পড়তো না। তাই ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসে ছেলেদের জন্য একটিই দোতলা হোস্টেল ছিল। কাশেম থাকতো হোস্টেলের দোতলায় ২২ নম্বর রুমে।
কোন এক ইয়ারে ফেল করে ছেলেটি আত্মহত্যা করে। বেলা এগারোটার দিকে রুমমেটরা যখন ক্লাসে, তখন সবার অলক্ষ্যে হোস্টেল রুমের সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি ঝুলিয়ে সে গলায় ফাঁস নেয়। তার মৃতদেহ নামানোর পর থানায় মামলা, পোস্ট মর্টেম ইত্যাদি নানা ঝামেলা শেষে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি বাগমারা থানার ভবানীগঞ্জে। কিন্তু সেখানে মসজিদের ইমাম বা মৌলবি মৌলানারা কেউ কাশেমের জানাজা পড়াতে রাজি না হওয়ায় তার দরিদ্র কৃষক পিতা উপায়ন্তর না দেখে জানাজা ছাড়াই ছেলের লাশ দাফন করে দেয়। আত্মহত্যাকারী নিশ্চিত দোজখে যাবে। এমন মানুষের জানাজা পড়াবে কে?
ঘটনা শুরু হয় এর এক সপ্তাহ পর। ইন্সটিটিউটের ছাত্ররা একদিন এক ক্লাস থেকে গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে দিক বিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। অন্যান্য ক্লাসের ছাত্র ও শিক্ষকরাসহ পথচারী লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আতংকিত ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করে জানা যায় যে, ক্লাস চলার এক পর্যায়ে শিক্ষক অলোকনাথ সরকার হঠাৎ ক্লাসের পেছন দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ছাত্ররা হতচকিত হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখে, একদম শেষ বেঞ্চে একা বসে আছে কাশেম।
হোস্টেল সুপার রাজ্জাক সাহেবের সিনেমা দেখার খুব নেশা। সাথে পরিবার পরিজন না থাকায় হোস্টেলের নিচ তলায় একটা রুম নিয়ে তিনি থাকেন। আর সুযোগ পেলেই সেকেন্ড শো সিনেমা দেখার জন্য হলে চলে যান। সেদিন সিনেমা দেখে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ফিরে তিনি দেখলেন, হোস্টেলের দোতলায় সেই ২২ নম্বর রুমে আলো জ্বলছে। ব্যাপার কি? এরকম তো হবার কথা নয়! কাশেমের আত্মহত্যার পর থেকে ২২ নম্বর তো বটেই, পুরো হোস্টেলই প্রায় ফাঁকা। ছেলেরা হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে মেসে বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় চলে গেছে। তিন চারজন ছাত্র নিরুপায় হয়ে নিচ তলায় হোস্টেল সুপারের কামরা সংলগ্ন একটি রুমে ভয়ে ভয়ে থাকে। অন্যান্য সব রুম তালাবদ্ধ। তাহলে ২২ নম্বর রুম খুললো কে?
রাজ্জাক সাহেব সাহসী মানুষ। তিনি দারোয়ান আদম আলির নাম ধরে উচ্চস্বরে ডাক দিলেন। ঘটনার পর থেকে আদম আলি হোস্টেলের গেটে ডিউটি করতে চায় না। সে একটু দূরে দূরে থেকে পাহারা দেয়। রাজ্জাক সাহেবের ডাকে টর্চ লাইট জ্বেলে হাজির হলো সে। বললো, ‘আমাকে ডাকছেন,স্যার?’ রাজ্জাক সাহেব হোস্টেলের দোতলার দিকে নির্দেশ করে বললেন, ‘বাইশ নম্বর রুমের কোন ছাত্র ফিরেছে নাকি? ওই রুমে লাইট জ্বলছে কেন?’
আদম আলি সেদিকে তাকিয়ে ঘাবড়ে গেল। ২২ নম্বর রুমের খোলা দরজা দিয়ে লাইটের আলো এসে পড়েছে বাইরে। অথচ আজ হোস্টেলের কোন ছাত্রই ফিরে আসেনি। এলে তো আদম আলির কাছ থেকে তাকে রুমের চাবি নিতে হতো। সে আতংকিত স্বরে বললো, ‘না স্যার, কোন ছাত্র তো আসেনি!’
রাজ্জাক সাহেব আদম আলির কাছ থেকে টর্চ লাইট নিয়ে ওকে সাথে আসার জন্য ইঙ্গিত করে হোস্টেলের সিঁড়ি ভেঙ্গে দোতলায় উঠে গেলেন। সারি সারি সব রুম তালাবদ্ধ। বারান্দায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। ছাত্ররা কেউ না থাকায় বারান্দার আলো জ্বালানো হয়না। অথচ ২২ নম্বর রুমের দরজা খোলা এবং সে রুমে আলো জ্বলছে। আশ্চর্য!
রাজ্জাক সাহেব কুসংস্কারমুক্ত আধুনিকমনা মানুষ। তিনি টর্চের আলো জ্বেলে বারান্দা দিয়ে হেঁটে ২২ নম্বর রুমের সামনে এসে দাঁড়ালেন। খোলা দরজা দিয়ে তাকিয়ে দেখলেন, রুমের ভেতর একটি টেবিলের সামনে পেছন ফিরে বসে একজন ছাত্র উচ্চস্বরে পড়া মুখস্থ করছে। তিনি একটু থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে? কে পড়ছে এই রুমে?’
সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে গেল এবং পড়া মুখস্থের শব্দ বন্ধ হয়ে গেল। রাজ্জাক সাহেব শক্ত মানুষ। প্রথমে একটু চমকে গেলেও নিজেকে সামলে নিয়ে টর্চের আলো ফেললেন সামনে। কিন্তু অবাক কাণ্ড! ২২ নম্বর রুমের দরজা বন্ধ, এক মুহূর্ত আগেও যা’ খোলা ছিল। এখন বন্ধ দরজায় দু’ দুটো তালা ঝুলছে। রাজ্জাক সাহেবের মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটা শিরশিরে অনুভূতি ছড়িয়ে গেল। এই প্রথম ভয় পেলেন তিনি। তাঁর হাত থেকে টর্চ লাইট পড়ে গেল। অনেকটা দৌড়ের মতো করে দোতলা থেকে নামতে গিয়ে সিঁড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তিনি জ্ঞান হারালেন।
পরদিন বিকেলবেলা ক্লাস শেষে ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল রুমে শিক্ষকদের জরুরী মিটিং ডাকা হয়েছে। ষোল জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন নেই। অলোকবাবু ছুটিতে এবং রাজ্জাক সাহেব হাসপাতালে। মিটিংয়ে শিক্ষকরা যে যার মতো করে বক্তব্য দিলেন। কিন্তু প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা করেও কোন সিদ্ধান্তে আসা গেল না। প্রিন্সিপাল সাহেব এসব ঘটনা বিশ্বাস করতেই রাজি নন। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য কয়েকজন শিক্ষকের দাবীকে তিনি হেসে উড়িয়ে দিলেন। তাঁর যুক্তি হলো, তিনিও তো ক্যাম্পাসের ভেতর কোয়ার্টারে থাকেন। কিন্তু তাঁর সাথে তো এসব কিছু ঘটছে না! তাহলে কি দু’জন দায়িত্বশীল শিক্ষক ও এতগুলো ছাত্র সবাই মিথ্যে কথা বলছে? এ প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর নেই তাঁর কাছে। কোন রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাত আটটার দিকে মিটিং শেষ হলো।
শিক্ষকরা চলে গেলে প্রিন্সিপাল সাহেব অফিস পিওন সোহরাবকে দিয়ে দারোয়ান আদম আলিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘আচ্ছা আদম আলি, গত রাতে ঠিক কি হয়েছিল বলো তো?’
আদম আলির চোখে মুখে ভয়। সে বললো, ‘স্যার, সুপার সাহেব আমার টর্চ লাইট নিয়ে হোস্টেলের দোতলায় চলে যান। কিন্তু আমি তার সাথে যাইনি স্যার। বাইশ নম্বর রুমে লাইট জ্বলছিল এবং দরজা খোলা ছিল। সেখানে কি হয়েছিল আমি জানিনা স্যার।’
ঠিক এই সময় প্রিন্সিপালের অফিস রুমের বাইরে থেকে কে যেন ভারি গলায় বলে উঠলো, ‘আমি জানি, স্যার।’
‘হু ইজ দেয়ার?’ প্রিন্সিপাল সাহেব আদম আলি ও সোহরাবকে বললেন, ‘এই, দেখো তো বাইরে কে?’
ওরা বাইরে গিয়ে দেখলো, কেউ নেই। ওদের পিছে পিছে প্রিন্সিপাল সাহেব নিজেও বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু আশে পাশে কাউকে না দেখে তাঁর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো। কিছুক্ষণ হতভম্বের মতো দাঁড়িয়ে থেকে তিনি সোহরাবকে বললেন, ‘অফিস বন্ধ করো। আর শোন, তোমরা দু’জন আমাকে একটু কোয়ার্টারে পৌঁছে দাও তো!’
**************************************************************************************
রি-পোস্ট।
 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৮:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ জনৈক অচম ভুত। 
 ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৮:৫৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেচারা কাশেম! গল্পের বর্ণনা বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৮:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রেজওয়ানা আলী তনিমা। 
 ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৩| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৯:০৮
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: বরাবরের মতোই সাবলীল উপস্থাপনা! গ্রামের ছেলে বলে আমি নিজেও এ ধরনের অনেক ভৌতিক কাহিনী শুনেছি। এমনকি নিজেও দু দুবার ভুতের মুখোমুখি হয়েছি!
লেখায় মুগ্ধতা।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাইফুল্লাহ শামীম। আমি এই একটি মাত্র ভৌতিক গল্প লিখেছি। 
 ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৪| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৯:৫৩
নীলসাধু বলেছেন: মুগ্ধতা রইলো সুপ্রিয় হেনা ভাই। 
আপনার লেখনি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ক্লাসিক।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: অনেকদিন পর আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পেলাম নীলসাধু ভাই। অবশ্য আপনার ব্যস্ততার কথা আমি জানি, যে কারণে আপনি ব্লগে নিয়মিত হতে পারছেন না। 
 অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৫| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৯:৫৪
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা। আর শেষ লাইনটি পড়ে মজা পেলাম।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। 
 ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৬| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১০:১৬
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: কাশেমের জন্য দুঃখ হয়!!!!!
বরাবরের মত সাবলিল বর্ণনায়, অসাধারণ উপস্থাপনা!!!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাই!!
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:২৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কামরুন নাহার। 
 ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
৭| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম  , 
ভৌতিক কাহিনীগুলো কোনওদিন "ভৌত" হয়ে উঠলোনা ! 
বেশ লিখেছেন । 
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:২৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। 
 ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
৮| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১১:২০
উল্টা দূরবীন বলেছেন: বর্ণনা বেশ সাবলীল। আর গল্পটাও ভাল। কাশেম কেন আত্মহত্যা করলো?
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কোন এক ইয়ারে ফেল করে ছেলেটি আত্মহত্যা করে।  
 গল্পের মধ্যে উপরের বাক্যটি লেখা আছে। ধন্যবাদ উল্টা দূরবীন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৯| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১১:২৮
মারুফ তারেক বলেছেন: ভাও
ভয় পাইছি!
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:৩০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভয় পাওয়ানোর জন্যই তো ভৌতিক গল্প লেখা। হাঃ হাঃ হাঃ। 
 ধন্যবাদ ভাই মারুফ তারেক। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১০| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১২:৪২
মুদ্দাকির বলেছেন: বেচারা কাশেম!! বাইচা থাকলে দুই এক বছর বেশি থাকত আর এখন আজীবন থাকবে
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মুদদাকির। 
 ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
১১| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৯:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: 
আবার পড়লাম।  ভয় একটি সার্বজনীন অনুভূতি।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই। আপনার রিপিট পড়া মানে আমার জন্য আনন্দের খবর। বাঁ হাতের সমস্যার কারণে নতুন লেখা টাইপ করতে কষ্টও হচ্ছে, অনেক সময়ও লাগছে। একসাথে কয়েকটা লেখা তৈরি করে নিয়ে তারপর পোস্ট দেব। 
 ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১২| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৯:৩৯
জুন বলেছেন: সকাল  নটায় আপনার এই গল্প পড়ে গা ছম ছম করে উঠলো । তবে সেটা আপনার লেখার মুন্সীয়ানার জন্য হতে পারে । হতে পারে আমার প্রচন্ড ভুতের ভয় থেকেও । অসম্ভব সুন্দর লেখনীতে অনেক ভালোলাগা । 
আবার আমি একটু বলি
সেদিন আমার খালা বাইরে থেকে ফোন করেছিল । স্বপ্নের কথা উঠতে আলোচনা শুরু হলো মৃত আত্মীয়কে দেখা নিয়ে । তখন উনি  জানালেন তিনি মৃতদের জীবিতই দেখেন, আমিও তাই দেখি । কিন্ত তার এক বান্ধবী বহু বছর আগে  বাচ্চার মৃত্যুর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড করেছিলেন ।স্বপ্নে তাকে মৃত অবস্থায়ীক দোকানের সামনে দেখলে আমার খালা তাকে দৌড়ে গিয়ে বল্লো 'রিনা তুই বেচে আছিস' ?  
রিনা উত্তর দিল "হ্যা আমি বেছে আছি । আমি তো মরি নি "। 
তাহলে যারা আত্মহত্যা করে তাদের আত্মা কি সত্যি পৃথিবীতেই থেকে যায় আবু হেনা ভাই !
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ২:১০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা আমার পক্ষে বলা খুব মুশকিল। হয়তো এ ব্যাপারে যারা বিশেষজ্ঞ, তারা বলতে পারবেন। 
 ভৌতিক গল্প (তা' সে কাল্পনিক হলেও) উপস্থাপনার দক্ষতায় মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি হতে পারে। আর এই গল্পটা তো কাল্পনিক নয়। সত্য ঘটনা। তবে তা' কতটা সত্য, আর কতটা অতিকথন সেটাও আমার পক্ষে বলা মুশকিল। গল্পের প্রথমেই বলেছি, এটি আমার শোনা কাহিনী। এবং স্বাভাবিকভাবেই আমি নিজে বিশ্বাস করিনি। তবে ওই যে কথা আছে, দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ........... (সেকশপিয়র) । রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প 'কংকাল' পড়লেও এরকম অনুভূতি হয়। 
  ধন্যবাদ জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৩| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৯:৫৯
প্রামানিক বলেছেন: আহা! বেচারা কাশেমের জন্য দুঃখ হয়। ধন্যবাদ হেনা ভাই, খুব ভাল লাগল।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ২:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। 
 ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
১৪| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  বিকাল ৫:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমিও যখন হোস্টেলে থাকতাম তখনো এসব ঘটনার কথা শুনতাম। 
আর ভয়ে তো আমরা রাতে রুমের বাইরে গেলেও কয়েকজন মিলে যেতাম।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৬:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। কয়েকজনকেই যদি ভুতে ধরতো তাহলে? 
 ধন্যবাদ ফেরদৌসা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৫| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  বিকাল ৫:২৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভূত বিশ্বাস করি না কিন্তু ভৌতিক গল্পে ভয় পাই ভীষণ।
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৭:০২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই গল্প পড়ে ভয় পেয়েছেন? নিশ্চয় পেয়েছেন। এই গল্পের ডাকাবুকো প্রিন্সিপাল সাহেবের মতো লোক যেখানে ভয় পেয়ে তার কর্মচারীদেরকে তাকে কোয়ার্টারে পৌঁছে দিতে বলেছেন, সেখানে আপনি আমি তো ভয় পাবোই তাই না? হাঃ হাঃ হাঃ। 
 ধন্যবাদ অপর্ণা মন্ময়। ভালো থাকুন। নির্ভয়ে থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৬| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৬:৫৮
রাবার বলেছেন: ভুত আছেনি ভাই? আমার খুব দেখার শখ। গল্প ভালোলাগছে। +++++++
 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৭:০৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভুত নাই বলেই মনে হয়। না থাকলে দেখবেন ক্যামনে? তবে ভুত নিয়ে লেখা অনেক গল্প আছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভুতের গল্প লিখেছেন 'কংকাল'। 
 ধন্যবাদ রাবার। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৭| 
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১০:২০
বিষাদ সময় বলেছেন: শুভেচ্ছা আবু হেনা ভাই। হারানো ব্লগের অনেককে এখানে দেখে ভালো লাগছে। বরাবরেরর মতই গল্প সাবলীল এবং সুন্দর।
 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৯:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিষাদ সময়। প্রথম আলো ব্লগে আপনার নিক কী ছিল বলবেন কী? 
  ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৮| 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১২:৩২
রিপি বলেছেন: ভয়াবহ সুন্দর লেখা। এমনিতেই অনেক ভয় পাই ... লেখা পড়ে এখন গা ছম ছম করছে ।  ![]()
 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খাইছে আমারে। গল্প লিখে তো বিপদে পড়লাম। সবাই ভয় পায়। বলে গা ছমছম করছে। হাঃ হাঃ হাঃ। 
  ধন্যবাদ রিপি। আপনাকে সম্ভবত অন্য নিকে প্রথম আলো ব্লগে আমরা পেয়েছি। আমার আন্দাজ কী ঠিক আছে? 
  ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৯| 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:৫৭
রিপি বলেছেন: আমার একটা নিক ছিল প্রথম আলো ব্লগে তবে আমি একদম নিয়মিত ছিলাম না সেখানে..তাই বললেও হয়তো চিনবেন না। ![]()
আমি এই ব্লগেও নতুন তাই ঠিক এখানকার অনেক কিছুই এখন ও বুঝে উঠতা পারছিনা । আপনার উওরের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ![]()
 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  দুপুর ১:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আস্তে আস্তে সব বুঝে যাবেন।
২০| 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  বিকাল ৩:০৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মজার ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প। +++
 
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  বিকাল ৩:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বো মা ব চা। 
 ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২১| 
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ১২:৪৫
আরাফআহনাফ বলেছেন: ঘুমটা বোধ হ্য় গেল এবার।
 
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সকাল ৮:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। ভুতের ভয় কার নেই? 
 ধন্যবাদ আরাফআহনাফ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
২২| 
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  বিকাল ৪:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ, প্রত্যাশা পূরণ হলো না। সাধারণ একটা ভূতের গল্প বৈ কিছু না। তবে শেষ লািনে আপনার স্বভাবসুলভ হিউমার প্রকাশ পেয়েছে, যা ঠোঁটের কিনারে ছোট্ট একটা মুচকি হাসি সৃষ্টি করেছে।
 
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  সন্ধ্যা  ৬:৪৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব। 
 ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬  রাত ৮:১০
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: কাশেমের জন্য দুঃখই হচ্ছে। বেচারা আত্মহত্যা করেও নিজেকে পড়ালেখার মহাঝামেলা থেকে মুক্ত করতে পারল না!