নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ জামাই বিষে কাহিল

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

সড়কপথে একবার নাটোর থেকে প্রসাদপুর যাওয়ার পথে আমাদের নসিমন উল্টে গেল। এই রাস্তাটা এত জঘন্য যে একমাত্র রিক্সাভ্যান ও নসিমন করিমন ছাড়া অন্য কিছু চলে না। আগে দু’একটা লক্কর ঝক্কর বাস চলতো। কিন্তু ঘন ঘন বাস উল্টে প্রাণহানি ঘটায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নসিমনের বারো জন যাত্রীর সবাই কম বেশি আহত। আমার থুঁতনি ও কপাল কেটে গেছে। বাঁ হাতে কোন অনুভূতি নেই। শার্টের দুটো বোতাম উধাও। কালো রঙের প্যান্টের পশ্চাদ্দেশ ফেটে সাদা জাঙ্গিয়া উঁকি দিচ্ছে। সবচে’ মর্মপীড়ার ব্যাপার হলো, আমার চশমা চোখ থেকে পড়ে হারিয়ে গেছে। চশমা ছাড়া আমি ফিফটি পারসেন্ট আন্ধা। এ অবস্থায় আমি ব্যথার যন্ত্রণা ভুলে চশমা খুঁজতে লাগলাম।

রাস্তার পাশে অগভীর শুকনো খালে চশমার মতো কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখে আমি হামাগুড়ি দিয়ে সেটা কুড়িয়ে এনে চোখে দিয়ে দেখি সেটা আমারই চশমা বটে, তবে ওটারও ফিফটি পারসেন্ট নাই। মানে দুটো কাঁচের মধ্যে একটা গায়েব। নাই চশমার চেয়ে কানা চশমা ভালো। বাঁ হাতে একটু একটু করে সাড়া পাচ্ছি। ডান হাত দিয়ে ওটাকে টানাটানি করে বুঝলাম, হাড় গোড় ভাঙ্গেনি। আঘাত পেয়ে অবশ হয়ে গেছে। প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে দেখি ওটা ঠিক আছে। চশমার এক কাঁচ দিয়ে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে আরও কিছু পরিবর্তন দেখতে পেলাম। শার্টের পকেট ছিঁড়ে ঝুলে আছে। পায়ের জুতা জোড়া লালি গুড়ে মাখামাখি। নসিমনের এক যাত্রীর মাটির হাঁড়ি ভেঙ্গে লালি গুড় ছড়িয়ে গেছে।

নাটোর থেকে আসার সময় আমার শ্বশুর বাড়ির একজন কাজের লোক সাথে নিয়েছিলাম। বলতে ভুলে গেছি, আমাদের প্রসাদপুর যাত্রা কোরবানির গরু কেনার জন্য। এই হাটে নাকি প্রচুর গরু ছাগল ওঠে এবং দামও শস্তা। আমার ঠিকাদার শ্যালক এই তথ্য সরবরাহ করায় রাজশাহী থেকে চলে এসেছি গরু কেনার জন্য। কাজের লোক রহমত হাট থেকে হাঁটিয়ে গরু নিয়ে আসবে নাটোরে, তারপর সেই গরু শ্যালকের বালু পরিবহনের ট্রাকে তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজশাহী। আমার বাড়ি পর্যন্ত গরু পৌঁছানোর কোন খরচ নাই। শ্যালকের এমন লোভনীয় প্রস্তাবে না করা যায় না। আমার সাথে শ্যালকেরও হাটে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের আগে ঠিকাদারি কাজের বিল তোলার জন্য অফিসে ছুটাছুটির ব্যস্ততায় তার আসা হয়নি।

যাই হোক, লুঙ্গি ছিঁড়ে যাওয়া ছাড়া রহমতের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। সে লুঙ্গির ছেঁড়া দিকটা ঘুরিয়ে পরে আব্রু রক্ষা করেছে। এখন আমাকে নিয়ে তার হলো সমস্যা। এই অবস্থায় হাটে যাওয়া আমার জন্য ঠিক হবে কি না সে বুঝতে পারছে না। আমি ব্যথায় দাঁত কিড়মিড় করে বললাম, ‘যাবো না। চল্, বাড়ি ফিরে যাই।’

রহমত একটা রিক্সাভ্যান নিয়ে এলো। তার কাঁধে ভর দিয়ে আমি খোঁড়া ভিখিরির মতো নানা কসরত করে ভ্যানে উঠে বসলাম। রহমত বললো, ‘হুত্ পাড়েন, জামাই।’ বুঝলাম, সে আমাকে শুয়ে পড়তে বলছে। কিন্তু তার এই জামাই ডাকটা আমার পছন্দ নয়। আমার অর্ধেক বয়সী ছোকরা আমাকে জামাই ডাকবে, কেমন যেন লাগে। মনে হয়, শ্বশুর বাড়ির কাজের লোকও আমার শ্বশুর হয়ে গেছে। তবে এখন আমার যে অবস্থা, তাতে ওসব ভাবার সময় নাই। আমি ভ্যানের ওপর হুত্ পেড়ে চুপচাপ পড়ে রইলাম। রহমত আমার মাথার কাছে বসে ভ্যানওয়ালাকে বললো, ‘ডবল করো মিয়া। একদম দিরম করবা না। জামাই বিষে কাহিল।’
আমি বললাম, ‘না, না, ধীরে চালাও। রহমত, তুই চুপ থাক।’

ভাঙ্গাচোরা এই রাস্তায় যদি ভ্যান আবার উল্টে যায় তো লাশের ওপর দা’য়ের কোপ। দরকার নেই জোরে যাওয়ার। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ‘জামাই বিষে কাহিল’-এই কথা ভ্যান চালকের মাথায় সুপার গ্লু দিয়ে আটকে দিয়েছে রহমত। ভ্যান ছুটছে পংখীরাজের মতো। আর ভাঙ্গা রাস্তায় ঝাঁকি খেতে খেতে আমার হাড় হাড্ডি মাংস থেকে ছুটে যাওয়ার দশা। ‘আস্তে চালাও’ বললে ভ্যান চালক তার ভ্যানের গতি একটু কমায়, তারপর সম্ভবতঃ ‘জামাই বিষে কাহিল’ এ কথা মনে হলে আবার সে ডবল করে ফেলে।

ফলে যা হবার তাই হলো। গর্তে চাকা পড়ে ভ্যান কাত হয়ে গেল। আমি ভ্যানের কাঠের পাটাতন আষ্টেপৃষ্ঠে আঁকড়ে ধরে কোনমতে পতনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করলাম। কিন্তু রহমত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ডিগবাজি খেয়ে পাশের ইলেকট্রিক পোলের সাথে ধাক্কা খেল। এবার রহমত বিষে কাহিল। সে কোঁকাতে কোঁকাতে উঠে এসে ভ্যান চালকের সাথে হাত লাগিয়ে ভ্যান সোজা করার পর তার দিকে এমন ভাবে তাকালো যে, আমি না থাকলে তাকে সে নির্দয়ভাবে ডবল ধোলাই দিত। আর ঠিক এই সময় আমার মোবাইলে শ্যালকের কল, ‘দুলাভাই, গরু কেনা হয়ে গেছে?’ আমি ওর সাথে কথা না বলে মোবাইল অফ করে পকেটে রেখে দিলাম। মনে মনে বললাম, শালা থাম। আমি আগে আসি। তারপর কোরবানির গরু ছিলার মতো করে তোর চামড়া ছিলবো।

শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেখি, আমার জুতায় পিঁপড়া লেগেছে। তারা লালি গুড় খেতে খেতে আরো গুড়ের সন্ধানে জুতার ভেতর ঢুকে যাচ্ছে। পিঁপড়ার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে আমি শাশুড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দুই পা ঘষটা ঘষটি করছি। আমার অবস্থা দেখে শাশুড়ি কেঁদে কেটে অস্থির। ‘কি হয়েছে বাবা, কি হয়েছে’ বলতে বলতে তিনি আমার শ্যালককে ফোন দিয়ে হৃদয় বিদারক ভাষায় কথা বলতে লাগলেন। আমার শ্বশুর প্রায় অমরত্বের কাছাকাছি চলে যাওয়া অতিশয় বৃদ্ধ মানুষ। খালি চোখে তিনি প্রায় কিছুই দেখেন না। তিনি লাঠি হাতে কুঁজো হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গরু কই?’
আমি বললাম, ‘গরু কেনা হয়নি।’
শ্বশুর কানেও খুব কম শোনেন। তিনি ফোকলা দাঁতে ফস ফস করে বললেন, ‘এঁড়ে না বকন?’

শ্যালকের বউ (শ্যালকের মামাতো বোন, সেই সূত্রে আমার শ্যালিকাও) দোতলার ছাদে শুকাতে দেওয়া কাপড় চোপড় তুলে সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নেমে আমার অবস্থা দেখে বেকুব। আতংকিত স্বরে সে বললো, ‘ইয়া আল্লাহ, আপনার কি হয়েছে দুলাভাই? এ্যাকসিডেন্ট নাকি?’
আমি দু’হাতে প্যান্টের পেছন দিকটা ঢেকে রেখে ওকে বললাম, ‘আমাকে একটা লুঙ্গি দে। কুইক।’ শ্বশুর আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি গরু কিনলে বাবা? এঁড়ে না বকন?’

সাফ সুতরো হয়ে লুঙ্গি পরে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সোফার ওপর বসে আছি আর অপেক্ষা করছি শ্যলকের জন্য। আমার থুঁতনি ও কপালে ব্যান্ড এইড লাগানো। চোখে এক কাঁচওয়ালা চশমা। শ্যলকের বউ পিঁপড়ার কামড়ের জ্বালা দূর করার জন্য আমার দু’পায়ের পাতায় ঠাণ্ডা তেল মালিশ করছে আর মুখ লুকিয়ে ফিক ফিক করে হাসছে। মাত্র তিন মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। এখন তার ফিক ফিক করে হাসারই বয়স। আমি তাই কিছু মনে করছি না। আমার সামনে টেবিলে চা-নাস্তা। আমি সেসব ছুঁয়েও দেখছি না। শ্যালকের একটা উপযুক্ত ব্যবস্থা না করে শ্বশুরবাড়ির দানা পানি ছোঁব না। ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে আমার স্ত্রী দু’বার ফোন করেছে। গরু কেনা হয়নি শুনে তার মন খারাপ। তাকে আমার অবস্থার কথা জানানো হয়নি। তবে আমার শ্যালক তার মা ও বউয়ের কাছ থেকে ফোনে সব জেনে গেছে। আমিও ফোন অন করে তাকে গম্ভীর গলায় বলেছি, ‘তাড়াতাড়ি আয়। তোর সাথে আমার কথা আছে।’
কিন্তু শালা বহুত ঘড়েল। ‘আসছি’ ‘আসছি’ করে সন্ধ্যে সাতটার দিকে সে এলো, তবে সাথে একজন ডাক্তার নিয়ে। ডাক্তারের সামনে তাকে বিশেষ কিছু বলা গেল না। আমাকে দেখে ‘কিচ্ছু হয়নি’ বলে ডাক্তার খস খস করে একটা প্রেসক্রিপশন লিখে শ্যালকের হাতে ধরিয়ে দিলে সে আমার চোখ থেকে চশমা খুলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনার দু’চোখে তো একই পাওয়ার, তাই না দুলাভাই?’
আমি বললাম, ‘হাঁ, কেন?’
‘আমি আপনার ওষুধ আর চশমার কাঁচ লাগিয়ে নিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে আসছি।’
আমার পিত্তি জ্বলে গেল। বললাম, ‘চশমার দোকান কি তোর শ্বশুরের যে এক ঘণ্টার মধ্যে কাঁচ লাগিয়ে দেবে?’
‘শোনেন দুলাভাই।’ শ্যালক মাছি তাড়ানোর মতো করে হাত নেড়ে বললো, ‘আমি কি ব্যবসা করি, বলেন তো?’
‘কেন, ঠিকাদারি। রড সিমেন্ট চুরির ব্যবসা।’
‘এই ব্যবসা করতে হলে হোন্ডা গুন্ডা পুষতে হয়, তা’ জানেন?’
‘হাঁ, জানি।’
‘তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে এক ঘণ্টা আপনার শালীর সাথে বসে গল্প সল্প করেন। দেখেন আমি পারি কি না! শালা চশমার দোকানদারকে আজ আমার শ্বশুর না বানিয়েছি তো.....!’
শ্যালকের বউ মুখ ঝামটা দিয়ে বললো, ‘ছিঃ ছিঃ, এর মুখে কিছু বাধে না। দুলাভাই আপনি এসেছেন,ভালো হয়েছে। এবার আপনার শালার একটা ব্যবস্থা করে যাবেন তো! নিজেদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে বলে কি বলে জানেন? বলে, ঘরের মুরগি ডাল বরাবর। কি নোংরা!’

শ্যালক তার মোটর সাইকেলের পেছনে ডাক্তারকে তুলে নিয়ে তড়িঘড়ি চলে গেল। ফিরে এলো রাত সাড়ে আটটায়। সঙ্গে শপিং ব্যাগে ওষুধ, কমলা, আঙ্গুর আর নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা। পকেট থেকে একই মাপের নতুন ফ্রেমের ঝকঝকে একটা চশমা বের করে সে আমার চোখে পরিয়ে দিয়ে আমার গাল দুটো এপাশ ওপাশ ঘুরিয়ে দেখে আনন্দের সাথে বললো, ‘ফ্যান্টাসটিক! দুলাভাইয়ের বয়স দশ বছর কমে গেছে।’
শ্যালিকার বউ ফিক করে হেসে বললো, ‘ওমা, তাই তো!’
আমি শপিং ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘কাঁচাগোল্লা নাকি?’
‘হাঁ হাঁ, দুলাভাই। এলাচের গুঁড়া দিয়ে বানানো। অরিজিনাল মাল। এই, দুলাভাইকে কাঁচাগোল্লা দাও। তাড়াতাড়ি।’ কাঁচাগোল্লার প্যাকেট খুলে শ্যালক আমার নাকের কাছে ধরে বললো, ‘একদম টাটকা, দুলাভাই।’
কাঁচাগোল্লা খাওয়ার পর মিষ্টিমুখে আর তেতো কথা বলা গেল না। শালা বেঁচে গেল। নইলে সেদিন ওর খবর ছিল।
**********************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কাহিনী ভালো লাগলো ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু।
শুভেচ্ছা রইল।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮

কথাকাহন বলেছেন: জামাই বিষে কাহিল- তবে যতক্ষণ পড়লাম ঐ সময়ে গরমে কাহিল টা একটু কমে ছিল।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। শুধু জামাই নয়, গরমে এখন সবাই কাহিল।
ধন্যবাদ কথাকাহন। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এত কষ্টের মধ্যেও হাসি চেপে রাখতে পারলাম নাঃ

//আমি দু’হাতে প্যান্টের পেছন দিকটা ঢেকে রেখে ওকে বললাম, ‘আমাকে একটা লুঙ্গি দে। কুইক।’ শ্বশুর আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি গরু কিনলে বাবা? এঁড়ে না বকন?’//

//চোখে এক কাঁচওয়ালা চশমা। শ্যলকের বউ পিঁপড়ার কামড়ের জ্বালা দূর করার জন্য আমার দু’পায়ের পাতায় ঠাণ্ডা তেল মালিশ করছে আর মুখ লুকিয়ে ফিক ফিক করে হাসছে।// -- আমিও কিন্তু হাসছি।

//‘ফ্যান্টাসটিক! দুলাভাইয়ের বয়স দশ বছর কমে গেছে।’
শ্যালিকার বউ ফিক করে হেসে বললো, ‘ওমা, তাই তো!’
আমি শপিং ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘কাঁচাগোল্লা নাকি?’//


কাঁচাগোল্লা খেয়ে সব ভুলে গেলেন?

গল্প খুব সুন্দর হয়েছে।

ভাল থাকুন। সবসময়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। আশা করি আমার আগের ও পরের লেখাগুলিও পড়বেন।
শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

কালনী নদী বলেছেন: সুন্দর++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কালনী নদী।
শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

সাঈদ এন কে বলেছেন: এটা আবার কবেকার ঘটনা? সন নেই, তারিখ নেই কেমনে কি? যাই হোক, আনন্দ-বেদনা দু'টোই দারুন ভাবে তুলে এনেছেন। তাই আপনি গ্রেট, এত প্রিয়। আপনার লিখা আমাকে দারুন ভাবে তৃপ্তি দেয়। পড়তে চাই অনন্ত কাল ধরে। বেঁচে থাকুন হে শ্রদ্ধাভাজন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই রম্যগল্পের কাহিনী ২০০৫ সালের ঈদুল আজহার আগের। সেই সময় আমি চাকরিরত ছিলাম। শরীরও সুস্থ ছিল। গল্পটি তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ সাঈদ এন কে। ভালো থেক। শুভকামনা রইল।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! দারুণ সরস বর্ণনা। নাটোরের কাঁচাগোল্লার কথা মনে পড়ে মনটা উদাস হয়ে গেল। নিলফামারী থেকে পাবনায় যাওয়ার পথে নাটোরে ট্রেন থামলে কত খেয়েছি! এখন এই খটখটে ঢাকা শহরে এই বস্তু কোথায় পাই?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নাটোরের কাঁচাগোল্লা আর সেই কাঁচাগোল্লা নেই হা মা ভাই। এখন যাচ্ছে তাই হয়ে গেছে। মুখে দিলে থু থু করে ফেলে দিতে হয়।
ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সুমন কর বলেছেন: হাসলাম......মনে হয়ে আগেও পড়েছিলাম। বেশ হয়েছে। +।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার স্মরণ শক্তির প্রশংসা করতে হয়। এটি রি-পোস্ট। আপনি দুই বছর আগে পড়েছেন।
ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শব্দনীড় সম্ভবত মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেলো :(

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: খুব দুঃখজনক। শব্দনীড় চালু রাখার ব্যাপারে ব্লগারদের অনেকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন প্রস্তাবই আমার কাছে বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। তাই বন্ধের ঘোষণা আসার পর থেকে আমি নিজে কোন মন্তব্যও করিনি, কোন পোস্টও দেইনি।
খুব খারাপ লাগছে। কিন্তু আমাদের তো করার কিছু নাই। তাই না কামাল ভাই?

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুঝতে হবে আপনার শ্যালক সত্যিই টেটনা :D

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যা বলেছেন! এমনি কী আর ওকে সবাই হেনাভাইয়ের শালা বলে?

১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

আজমান আন্দালিব বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আজমান আন্দালিব।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২০

আরাফআহনাফ বলেছেন: গল্প আর গল্প বলার ঢংয়ে আটকে রাখার গুনটা ভালোই জানা আপনার - শ্রদ্ধেয় হেনা ভাই।
"ঘরের মুরগি ডাল বরাবর। কি নোংরা!" ঠিক মতো বুঝতে পারলাম না।

+++ আপনার প্রাপ্যই।

আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন সবসময়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার শালা বিয়ে করেছিল তার মামাতো বোনকে (সেই হিসাবে ওর বউ আমারও মামাতো শালী)। নিজেদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে বলে আমার শালা বলতো 'ঘরের মুরগী ডাল বরাবর'। অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে বিয়ে না করে সে যদি অন্য মেয়েকে বিয়ে করতো তাহলে মুরগীর স্বাদ মুরগীর মতোই লাগতো। নিজেদের মধ্যে বিয়ে করায় এই মুরগীর স্বাদ ডালের মতো লাগে। হাঃ হাঃ হাঃ। শালা ভীষণ পাজী।

আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

আরাফআহনাফ বলেছেন: রম্য রচনার ভার "মামাতো শালী"কেও দিতে পারেন!!!!!
এমন শ্যালিকা ঘরে থাকলে আমিও নিশ্চিত আপনার মতো লিখতে পারতাম!!!

ধন্যবাদ অনেক কিছু শেয়ার করছেন বলে - আর আমরাও কম বিনোদিত হচ্ছি না।
আপনার সর্বময় সুস্থতা কামনা করছি।
ভালো থাকুন সবসময়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আরাফআহনাফ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.