নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্পের সাথে হাত মেলালেন প্রিয়া সাহা

২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০


প্রিয়া সাহা এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অতি চালাক। এরা গাছেরটাও খায় তলারটাও কুড়ায়। বাংলাদেশে এত সুযোগ সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও এরা দেশের বদনাম করতে ছাড়ে না। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত প্রিয়া সাহার বক্তব্যের সমর্থনে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে এ পর্যন্ত হিন্দুদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন যে ১৯৪৭ সালে এ দেশে মোট জনসংখ্যার ২৯% ছিল হিন্দু, যা এখন মাত্র ৯% (পরে বলেছেন ২% বেড়ে এটা এখন ১১% হয়েছে)। কিন্তু তিনি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কোথায় পেলেন আমি বুঝতে পারছি না। তার হিসাবের শুভঙ্করের ফাঁকি আমরা ধরতে পারবো না বলে তিনি ধরে নিয়েছেন। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পর ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভারতে চলে যায় এবং ভারতের বহু মুসলমান পাকিস্তানে চলে আসে। ১৯৬৪ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পর দেশ ত্যাগের এই প্রবণতা গতি পায়। কিন্তু তখন বাংলাদেশ নামের কোন দেশই ছিল না। সবচেয়ে বেশি দেশত্যাগের ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের ঐ ২৩ বছরের মধ্যে। ভারত থেকে মুসলমানদেরও বেশি দেশত্যাগের ঘটনা ঘটে ঐ ২৩ বছরে। রানা দাশগুপ্তের ঐ হিসাব যদি আমরা বিনা তর্কে মেনেও নিই, তাহলেও বেশির ভাগ দেশ ত্যাগের ঘটনা ঘটেছে আমাদের স্বাধীনতার আগে। এর পরেও যে দেশ ত্যাগ ঘটেনি এমন নয়, কিন্তু তা' খুবই কম এবং সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশ ত্যাগের এই ঘটনাগুলো শুধু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কারণে নয়, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণও রয়েছে। তবে কোন অবস্থাতেই সংখ্যা গরিষ্ঠ সম্প্রদায় কর্তৃক সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়, তা' সে বাংলাদেশেই হোক বা ভারতেই হোক (মনে রাখা উচিৎ ভারতে মুসলমানদের বাবরি মসজিদ সহ অসংখ্য মসজিদ হিন্দুরা ভেঙ্গে দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে, মুসলমানদের হত্যা করছে, জোরপূর্বক 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করছে)। পাশাপাশি বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দেখুন। এখানে তারা ভারতের মুসলমানদের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছে। তাই প্রিয়া সাহা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে হাত মিলিয়ে করুন সুরে যে তিন কোটি সত্তর লাখ সংখ্যালঘুর বাংলাদেশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার কাহিনী বয়ান করেছে, তা' সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও রাষ্ট্রদোহীতার শামীল।

আর একটা কথা। সংখ্যা লঘুদের মধ্যে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানরাও পড়ে। তাদের মধ্যে কে কবে দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে গেছে অন্তত আমি জানি না। আপনারাও কেউ জানেন বলে মনে হয় না। অথচ প্রিয়া সাহার এই মিথ্যা অভিযোগের ব্যাপারে তাদের মধ্যে কেউ এ পর্যন্ত একটাও প্রতিবাদ জানায়নি।
সম্ভবত তাদের ঐক্য পরিষদে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দুদের চোখ রাঙানিতে এই দুই সম্প্রদায়ের লোকেরা চুপচাপ আছে। সত্যিই দুঃখজনক।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাদের রক্তে রাজা রাজ বল্লভ, উঁমিচাদ, ঘসেটি বেগমদের রক্ত!

যার পাতে খায়, সেই পাতেই ফুঁটো করে!
দলতি লওকদরে নামে এনজিওর কোটি কোটি ডলারে নিজের সন্তানদের আমেরিকা পড়ায়! কয়জন দলিতের সন্তানকে আমেরিকা পড়তে পাঠিয়েছে শারি!???
হিপোক্রেট! সুবিধাবাধী! এবং দেশদ্রোহী!

দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। যাতে দেশ নিয়ে ভবিষ্যতে কেউ মিথ্যা বলতে সাহস না পায়!

২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার দাবী হোক দেশপ্রেমিক সকল মানুষের দাবী।

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মহিলাটি অতি চালাক। তবে তারদলবল যে ভাবে তার পক্ষ নিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে তারা সবাই পরিকল্পিত ভাবেই নালিশ সাজিয়েছিল।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঘটনাটি তো অবশ্যই পরিকল্পিত।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি আমেরিকাতে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেই এগুচ্ছেন। যদিও প্রত্যাশিত নয়, তারপরেও বলবো সংখ্যালঘু নির্যাতন পৃথিবীর কোন দেশের জন্যই নতুন নয়। তবে শুধু মুসলিমদের ক্ষেত্রেই এটাকে পৃথিবীব্যাপাী স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বার্মা তো খুন খারাবি করে লাখো মুসলিম দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করালো, চীনে উইঘুর, ভারতে এক গরুর ইস্যুতে কত মুসলিম কে প্রান দিতে হলো, কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন, বসনিয়া আর কত উধাহরণ আছে। বলছিনা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন হয় নি, হয়েছে বৈ কি! কিন্তু তার জন্যেতো আইন আদালত আছে। ট্রাম্প মুসলিম বিদ্বেষী বলেই কি তার কাছে বলা? আর বলেই বা ট্রাম্প কি করতে পারবে? ওহ আচ্ছা, বাংলাদেশের খেয়ে পড়ে, আমেরিকায় মেয়েদের পড়াচ্ছেন, নেতা হয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টে, স্বামীর সরকারি গাড়ি আর টাকায় ঘুরে দেশেরই ক্ষতি করতে চাচ্ছেন? ভালো! সমস্যা হলো বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু অন্ধ না। আমি এখনো মনে করি, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা আছে তবে সেটা পৃথিবীর অন্যান্য গনতন্ত্রের বুলি কপচানো দেশের চেয়ে অনেক কম। সেটাকে নতুন করে না উসকালেই কি নয়?

২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না। প্রিয়া সাহার উচিৎ ছিল তার প্রতি কোন অন্যায় হয়ে থাকলে আদালতের আশ্রয় নেওয়া।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: সোশাল মিডিয়ায় দেখছি তথাকথিত কিছু প্রগতিশীল মানুষও, কেন ট্রাম্প বা ভুল সংখ্যাতত্বর ইস্যু তুলছেন। তাদের মুখোশের আড়ালের মুখগুলো বেরিয়ে পড়ছে। ট্রাম্প আদৌ কোন সরাসরি ব্যবস্থা নেবেন কিনা সেটাও কথা না। কথা হল বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ভয়ঙ্কর অবস্থার কথা সামনে এল। চাপে থাকবে সরকার।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এ দেশের সংখ্যালঘুরাও চাপে থাকবে। এক প্রিয়া সাহা তার কমিউনিটিকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: ৮০র দশকে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছে। কিন্তু এরপরেও আমি মনে করি অতীতের ৩০-৪০ বছরের তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্ক বেশি ভালো অবস্থানে ছিল, প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পর তাতে কিছুটা টোল পড়লো। প্রিয়া সাহা কিন্তু যে সে লোক না, তিনি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। ইউএসএতে ঐ সম্মেলনে যাবার কথা ছিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্তের। তিনি অসুস্থ থাকায় প্রিয়া সাহা সংগঠনের প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নেন। এই বক্তব্য কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা? মনে হয় না, এর আগে রানা দাস গুপ্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন


পরে রানা দাশ গুপ্ত অস্বীকার করেন যে তিনি এ বক্তব্য দেন নি, কিন্তু পিটিআই পাল্টা নিউজ করে বলে রানা দাশ গুপ্তের বক্তব্যের রেকর্ড তাদের কাছে আছে।

সরকার এব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে? না, সরকার অলরেডি পল্টি খেয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন খারিজ, সহসা ব্যবস্থা নেবেনা সরকার।


কাল পর্যন্ত খুব লাফালাফি ছিল, এখন সব ঠান্ডা। কারন সবাই জানি।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ঠিক খারিজ করা হয়নি। ব্যারিস্টার সুমন (যিনি মামলাটি করেছেন) বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আমলে নেওয়ার আগে তা' অনুমোদনের জন্য আইনানুযায়ী তা' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে পাঠাতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বয়ং তা' কগনিজেন্সে নিতে পারেন না। আর প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে সরকার তড়িঘড়ি আইনি ব্যবস্থা নিবে না এই কারণে যে প্রিয়া সাহার বক্তব্য না শুনে এই ধরণের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হবে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে এরকম নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে আপনার সাথে আমি একমত যে, সরকার এ ব্যাপারে গড়িমসি করবে। প্রিয়া সাহাকে তারা এক্সিট দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু প্রিয়া একাই এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেভাবে নষ্ট করলো, তাতে তা' আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাদের রক্তে রাজা রাজ বল্লভ, উঁমিচাদ, রায় দুর্লভ, মীরজাফর, ঘসেটি বেগমদের রক্ত। সিরাজ উদ্দৌলাদের করুন পরিণতি এদের কারণেই। ভারতে মুসলিম নিধন একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। আর এদেশে হিন্দুরা বেশ ভালো আছেন।
দেখা যাক রাষ্ট্রদ্রোহীদের কি বিচার আছে এ দেশে।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, দেখা যাক কী হয়।

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: গুরুজি, আপনার প্রাণাধিক প্রিয় বান্ধবী (নয়নতারা) কেমন আছে?


২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সে ভালো আছে ভাই। ওর জন্য দোয়া করবেন।

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
প্রিয়া সাহা নিজের খরচে আমেরিকা যায়নি। সে ত গেছে বাংলাদেশের সরকারী খরচে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের সফরসঙ্গী হিসেবে। :)



আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। যার মূল উদ্দেশ্য এক ধরনের লাফাঙ্গামী করা। উক্ত লাফাঙ্গা মার্কা সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মীয় প্রতিনিধিরা গেছে। (কিন্তু বাস্তবে এরা ধর্মের এমরাও বুঝে না।) বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গেছে। (মুমিন নাম দেইখা আবার ভাইবেন্না সে ঈমানদারদের প্রতিনিধি হিসেবে গেছে ;) , মূলত সে একটা রাষ্ট্রীয় সাইনবোর্ড মাত্র )


মুসলমানদের প্রতিনিধি হিসেবে দলে ছিল মওলানা ফরিদউদ্দীন মাসউদের ছেলে মাওলানা জুনাইদউদ্দীন মাকতুম এবং নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী। অন্য ধর্মের প্রতিনিধিদের মধ্যে আছেন এডভোকেট নির্মল চ্যাটার্জী, শ্রীমতি প্রিয়া সাহা, নির্মল রোজারিও এবং অশোক বড়ুয়া।


সো, অন্য কিছু ভাববেন না এগুলো রাষ্ট্রীয় খেল তামাশা মাত্র। রাষ্ট্র নিজেই তার সম্ভ্রম নিয়ে ভাবছে না বিষয়টা এমন না বরং রাষ্ট্র আজ অসহায় । আমরা এমনসব দুর্নীতিবাজ শকুনদের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছি যাদের নিকট এরচেয়ে বেশি ভাল কিছু আশা করা দায়।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তথ্যবহুল মন্তব্য। হাঁ, রাষ্ট্রীয় খেল তামাশা বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য বহু মাশুল দিতে হবে।

৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান সংস্হাটি বন্ধ করে দেয়ার দরকার; কারণ, উহা পুরোপুরি ধর্মীয় সংস্হা, এবং মুসলিম প্রধান দেশে এই সংস্হায় মুসলিম শব্দটি নেই; মুসলিম শব্দটি না থাকায়, একটা প্রশ্ন হচ্ছে, মুসলামনরা কি এই সংস্হায় থাকার যোগ্য নয়, কিংবা সংস্হাটি কি মুসলমানদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার সিম্বল?

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কী কাজ করে সেটাই আমার বোধগম্য নয়।

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী থেকে বৌদ্ধ রাখাইনরা পুরোপুরিই বার্মায় চলে গেছে

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার জানা নেই। হতে পারে। কিন্তু তারা তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এরকম বদনাম করে চলে যায়নি।

১১| ২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী থেকে চলে যাওয়া বৌদ্ধ রাখাইনরা আরাকানে আছে, এবং এরা প্রচন্ডভাবে রোহিংগা-বিরোধী

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওরা তো বাংলাদেশের মুসলিমদের বিরোধী নয়। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্রও করেনি। ওরা আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিরোধী।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেবে না সরকার: ওবায়দুল কাদের
দেশের সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেবে না সরকার। তার বিরুদ্ধে মামলা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার ব্র্যান্ডিং বিষয়ক সেমিনার এবং লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, তাকে দেশে ফিরে এসে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে। প্রিয়া সাহা ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এ ধরনের বক্তব্য কেন দিয়েছেন? সেটা দেশে ফিরে এলে আমার মনে হয়, তারও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিৎ। আমাদের নেত্রী তিনি গতরাতে আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছেন, যেখানে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিয়া সাহা আসলে কি বলেছেন, কি বলতে চেয়েছেন, তার একটা পাবলিক স্টেটমেন্ট করা উচিৎ। তারও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিৎ। তার আগে কোনো লিগ্যাল প্রসিডিংস না করতে, মামলা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী একটা মামলা করতে চেয়েছিলেন, আমি তাকে এ ধরনের মামলা করতে না করেছি। আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত বাড়িঘর, তার সম্পদ যাতে প্রটেকক্টিভ রিজার্ভ থাকে সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ জানিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, একজন ব্যারিস্টার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে চেয়েছিলেন। আমাকে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন এটা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহী মামলাও করা যায় না। তাছাড়া যিনি এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন, সে অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রিয়া সাহার বক্তব্যও আমাদের ভালো করে জানা দরকার, জাতির জানা দরকার। তার আগে স্টেপ নেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি বলেছেন, এই বিষয়টি প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এই বক্তব্যের সঙ্গে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কোনো সম্পর্ক নেই।
http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=182403

আশা করি কি হবে আর না হবে সেটা সহজেই বুঝতে পারছেন। কাঁচকলা চেনেন? হা হা হা!!

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এটা যে হবে, তা' আমি এই পোস্ট দেওয়ার আগে থেকেই জানি। কিন্তু দেশকে ভালোবাসি। তাই দেশের বিরুদ্ধে কোন বদনাম বা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বুঝতে পেরে দেশপ্রেমিক হিসাবে প্রতিবাদ করার নৈতিক দায়িত্ব থেকে এই পোস্ট দেওয়া। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকারকে আমিও সম্মান করি। তার অবশ্যই আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু সেটা তো তিনি বা তার আইনজীবী করবেন আদালতে। সে জন্য তার বিরুদ্ধে তো আগে মামলা হতে হবে।

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এ দেশের সংখ্যালঘুরাও চাপে থাকবে। এক প্রিয়া সাহা তার কমিউনিটিকে চাপে ফেলে দিয়েছে। এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।

উপমহাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কাজটা খুবই কঠিন হয়ে উঠেছে। তার ওপর প্রিয়া সাহা আগুনে ঘি ঢেলেছেন। তবে আমিও আপনার মতো ১০০% অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমার কাছে মানুষের ধর্মীয় পরিচয়ের কোন গুরুত্বই নাই।

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২২

জগতারন বলেছেন:


সত্যি, বাংলার হিন্দুরা কোনোদিন মনে প্রাণে বাংলাদেশের বাঙ্গালী নয়।
বাংলাদেশ কে তারা ভালোবাসে না।
বাংলাদেশের হিন্দুদের অন্তর জুড়ে শুধুই হিন্দুস্তান আর হিন্দুস্তান।
আমরা আসলে দুধ-ভাত দিয়ে কালসাপ পুষছি.…

২২ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:২৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলির উচিৎ প্রিয়া সাহার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়া।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার । দেশের সম্মান নষ্ট করেছে।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

সেজুতি_শিপু বলেছেন: জগতারন, আপনার পোষা বিড়াল আছে? কুকুর? পাখি পুষেছেন কোনোদিন? একেবারে দুধ-ভাত দিয়ে কালসাপ পুষতে শুরু কোরে দিলেন.…। তাও একটা নয়, দুইটা নয়, কোটি কোটি । বাংলাদেশের ক'জন হিন্দুদের অন্তরের খোজ জেনেছেন? সরল অংকে ভালো ছিলেন, না? ইতিহাস পড়েছেন? এই মাটির ইতিহাস? শিকড় ছিড়লে গাছেদের লাগে,জানেন? হিন্দু হওয়া সহজ, মুসলিম হওয়া সহজ, বৌদ্ধ , খ্রিস্টান, ইহুদি..সহজ, কেবল মানুষ হওয়া কঠিন করে দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা ।

২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ধরনের কথা কাটাকাটি এবং তা' থেকে একের প্রতি অন্যের ঘৃণা সৃষ্টি হওয়ার পথ দেখিয়ে দিল প্রিয়া সাহা। আসুন, আমরা এসব নেতিবাচক কথাবার্তা ছেড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করি। সেটাই এই সংকটের দিনে সঠিক কাজ হবে বলে মনে করি। আমি সকলকেই এই কথা বলছি।

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকা থেকে এফবিআইয়ের লোক বাংলাদেশে এসেছে। আলু কেনার উসিলায় হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভয় লাগছে। এফবিআই খুবই খতরনক।

১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৭ নং মন্তব্য দেখে হাসতেই আছি---- =p~ =p~

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ।

১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এইটা সেই পর্যন্ত গিয়া উটার সাথে হাত মিলাবার সুযোগটা পেল কিভাবে,
যেখানে অনেক রাজা বাদশাদেরকেও উটার সাথে হাত মিলাবার জন্য মাসের
পর মাস লাইন ধরে বসে থাকতে হয় । এই বিষয়টার সুরাহা হলেই থলের
সব বিড়াল বেরিয়ে আসবে । বুঝা যাবে ঘটনা কি, কেন ,কিভাবে ও কি
উদ্দেশ্য সাধনে আর তারা কাদেরইবা স্বার্থ হাছিলের সন্ধানে ?

ঈদের বিলম্বিত শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক আলী ভাই।


আপনি যথার্থ বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করার সুযোগ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যেখানে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতা রানা দাসগুপ্ত তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আহ্বানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘুদের
সাথে সাক্ষাতের জন্য বাংলাদেশ থেকে তারা যে ডেলিগেশন পাঠিয়েছিলেন, তার মধ্যে প্রিয়া সাহার নাম ছিল না এবং প্রিয়া সাহা কিভাবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছেন, সে সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না, সেখানে প্রিয়া সাহার এই কর্মকাণ্ড খুবই রহস্যময় এবং অবশ্যই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র তাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রিয়া সাহার বিষয়ে সঠিক তদন্ত হলে সব কিছু বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু তা' হবে বলে মনে হচ্ছে না। বরং প্রিয়া সাহার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনোই কোন ধর্ম বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন নই। বরং সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়কে আমি সম্মান করি। সকলকে মানুষ হিসাবে ভালোবাসি। কিন্তু এই ধরনের দেশদ্রোহী উইপোকা সদৃশ মানুষ ও সংগঠনকে আমি ঘৃণা করি। আশা করি, আপনি আমার সাথে একমত হবেন।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.