নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং প্রেমে ব্যর্থতা ও প্রতারণার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। পত্রিকার পাতা খুললে প্রায় প্রতিদিনই এ বিষয়ে এক বা একাধিক খবর চোখে পড়ে। এসব ঘটনার পরবর্তী ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া কী হয়, তা’ যথাযথ ফলো আপ না থাকার কারণে অনেকেই জানতে পারেন না। আমি খোঁজ খবর করে কিছু ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া বের করতে সক্ষম হয়েছি। এগুলো আপনাদের জন্য নিবেদন করলাম।
প্রেমে ব্যর্থতাঃ-
*ব্যর্থ প্রেমিক দেবদাসের মতো মাত্রাতিরিক্ত সুরা পান করতে থাকে (এ যুগে সুরার পরিবর্তে ফেন্সিডিল, গাঁজা, হেরোইন বা ইয়াবা পড়ুন)।
*আউলা স্বভাবের হয়ে যায়। পোশাক আশাকের অযত্ন, উস্কোখুস্কো চুল, দাঁত ব্রাশ না করা, জুতা পলিশ না করা ইত্যাদি নানারকম পারসোনাল ডিজঅর্ডার দেখা দেয়।
*নিউরোসিস প্রবলেমঃ এটিকে হাফ বা ফুল ম্যাড প্রবলেমও বলা যায়। আমি নিজে প্রেমে ব্যর্থ হবার পর এই সমস্যার কারণে নিজের সাথে নিজে বিড় বিড় করে কথা বলতাম। এক কাজ দু’বার তিনবার করতাম। আবার কোন জরুরী কাজের কথা একদম মনে থাকতো না। এ জন্য পরবর্তী জীবনে আমাকে অনেক ভুগতে হয়েছে।
*ছাত্রাবস্থায় প্রেমে ব্যর্থ হলে ঠিক মতো পরীক্ষা দেয় না অথবা পরীক্ষা দিলেও ফেল করে। ‘কী হবে পাশ করে’-এ ধরণের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে অন্যদের মাথা ঘুরিয়ে দেয়।
*প্যান্ট শার্ট ছেড়ে পাজামা-পাঞ্জাবী ধরে এবং বিরামহীন ধর্মকর্মে মনোনিবেশ করে। কেউ কেউ আবার নাস্তিক হয়ে যায়।
*ভায়োলেন্ট হয়ে যায়। প্রেমিকার মুখে এসিড ছুঁড়ে মারে।
*বাসায় আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং ছোট বোনকে কলেজে যাওয়ার সময় কঠিনভাবে শাসন করে।
*আমার পার্সোনাল ব্যাপারে তোমরা নাক গলাবে না, বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো, ডোন্ট ক্রাই ফর মি ইত্যাদি সন্ত্রাসী টাইপের কথাবার্তা বলে বাবা-মার কলিজা শুকিয়ে দেয়।
*আধ্যাত্মিক ধরণের কথাবার্তার সাথে সন্ত্রাসী ধরণের কথাবার্তার মিশেলে এক নতুন ধারার ভাষা উদ্ভাবন করে। যেমন-‘গুলি, স্রেফ একটা গুলির দরকার ছিল মওলা!’ (বাংলা চলচ্চিত্র দেখুন)।
যাই হোক, প্রেমে ব্যর্থ হলে এসব উল্টাপাল্টা কাজ কারবার সাধারণতঃ পুরুষরাই করে থাকে। মেয়েদের মধ্যে এমনটা খুব একটা দেখা যায় না। আপনারা কী কোন মহিলা দেবদাসের কথা শুনেছেন কোনদিন? কোন ব্যর্থ প্রেমিকা তার প্রেমিকের মুখে এসিড ছুঁড়ে মেরেছে, এমন কথাও নিশ্চয় শোনেননি। অনুসন্ধান করতে গিয়ে মেয়েদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে প্রতারণা অংশে।
প্রেমে প্রতারণাঃ-
তাহের ও মোমেনার ঘটনা শুনুন। দুর্গাপুর গ্রামের যুবক আবু তাহের তার বিয়ের দিন বরযাত্রা করার সময় বিস্মিত হয়ে দেখলো, ক্ষেত মজুর ইয়াসিনের মেয়ে মোমেনা তার বাবার ধান কাটা ধারালো কাস্তে হাতে নিয়ে তাহেরের বাড়ির সামনে রণরঙ্গিণী মূর্তিতে দাঁড়িয়ে আছে। আবু তাহের আর এক পা এগোলে তার গলায় কাস্তের কোপ বসিয়ে দেওয়া হবে মর্মে হুমকি দিচ্ছে সে। বরযাত্রা করার জন্য আবু তাহেরের বাড়িতে সকাল থেকে অনেক লোকজনের সমাগম। মোমেনার এই কাণ্ড দেখে গ্রামের আরও নারী পুরুষ তাদের কাজ কাম ফেলে চলে এলো। বাড়ির সামনে বিরাট জটলা। ঘটনা কী, সবাই জানতে চায়। কিন্তু কাস্তে হাতে মোমেনার রুদ্রমূর্তি দেখে কেউ কাছে যেতে সাহস পায় না। আবু তাহেরের বাবা আবু বাক্কার গ্রামের “এটিএম শামসুজ্জামান” কিসিমের লোক। সে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে চিবিয়ে চিবিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হয়েছে আম্মাজান? আপনি এত গোস্বা কেন?’
জানা গেল, আবু তাহের ও মোমেনা এক বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে ভাব ভালোবাসা করে আসছিল। ফলে মোমেনা এখন অন্তঃসত্ত্বা। আবু তাহের তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন প্রতারণা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছে। তাই মোমেনা তাকে কেটে দু’টুকরা করে ফেলতে চায়। কিন্তু প্রমান? আবু তাহেরের মোবাইল ফোনে তাদের ভাব ভালোবাসার অনেক ছবি আছে। এখুনি ফোন বের করে চেক করলে ছবিগুলো দেখা যাবে।
গ্রামের মুরুব্বীরা আবু তাহেরের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে নিজেরা অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে ছবি বের করতে পারলো না। তারা উঠতি বয়সী যুবকদের সাহায্য নিল। যুবকরা ফোনের মেমোরি কার্ড অপশনে গিয়ে মোমেনার খোলা বুকের কিছু ছবি বের করে মুরুব্বীদের দেখালো। গ্রামের যুবকদের কাছে এসব ছবি আজকাল পানসে। এর চেয়ে অনেক রগরগে ছবি দেখতে তারা অভ্যস্ত। তবে মুরুব্বীদের কাছে তো আর নিজেদের খাসলত প্রকাশ করা যায় না। তাই তারা জিব কেটে বললো, ‘ছিঃ ছিঃ, এমন ছবি দেখা যায় না, চাচা!’
যুবকদের চেয়ে মুরুব্বীদের ছবি দেখার আগ্রহ বেশি। নিজেদের জোয়ান বয়সে এমন ছবি দেখার ভাগ্য তাদের হয়নি। তারা হুমড়ি খেয়ে পড়লো মোবাইল ফোনের ওপর। এসব চিত্তাকর্ষক ছবি তোলা এবং তা’ ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শহরের চেয়ে গ্রাম গঞ্জই আজকাল এগিয়ে। তো মুরুব্বীরা ছবি দেখার পর আবু তাহেরের বিয়ে আটকে দিল। বরযাত্রী যাওয়ার জন্য যে তিনটি মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছিল, সেগুলো আবু বাক্কারের পকেট থেকে কিছু ডেমারেজ দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হলো। তাৎক্ষনিকভাবে সালিশ বৈঠক বসিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, আবু তাহেরের সাথে মোমেনার বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হবে। গরীব ক্ষেত মজুরের মেয়ে বলে মোমেনার সাথে আবু তাহেরের প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না।
তবে যেহেতু এই দু’জন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত, সেহেতু কালমা পড়ানোর আগে দু’জনকেই দশ ঘা করে জুতা মারা হবে এবং কুড়ি বার কান ধরে উঠবস করানো হবে। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুরুব্বীরা শাস্তি কার্যকর করা শুরু করে দিল। অন্যদিকে যুবকরা উপজেলা সদর থেকে কাজী সাহেবকে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে এলো। দুপুরের আগেই মোমেনার সাথে আবু তাহেরের কালমা পড়ানো হয়ে গেল।
ঘটনা এখানে শেষ হয়ে গেলে এই গল্প লিখতাম না। কারণ এমন ঘটনার খবর পত্র পত্রিকায় পড়ে এবং টিভিতে দেখে দেখে মানুষ ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে গেছে। গল্পটি লিখলাম এই কারণে যে, এই ঘটনার শেষ পরিণতি ছিল আত্মহত্যা।
না, না, অপমানজনকভাবে মোমেনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ায় আবু তাহের আত্মহত্যা করেনি। মুরুব্বীদের দ্বারা অপমানিত হওয়ায় মোমেনাও এ কাজ করেনি। বরং আবু তাহেরের সাথে বিয়ে হওয়ায় সে ভীষণ খুশি। আত্মহত্যা করেছিল সুলতানা, যার সাথে আবু তাহেরের বিয়ে হবার কথা ছিল। পাশের উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সুলতানা বিয়ের বেনারসী ও গয়না গাঁটি পরে সন্ধ্যে পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর তার ক্রন্দনরত পিতার কাছে জানতে পারে যে, বরযাত্রী আর আসবে না। বর নাকি তার নিজ গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে।
ঐ দিন গভীর রাতে ঘরের দরজা আটকে সুলতানা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন তার পোড়া মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য পুলিশ জেলা সদরে পাঠিয়ে দেয়। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট থানায় আসার পর সুলতানার বাবা জানতে পারে যে, মৃত্যুর সময় তার মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সঙ্গত কারণে স্থান ও পাত্র পাত্রীর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।)
রচনাঃ ২২/০৭/২০১৩
***************************************************************************************************************
[গল্পটি মাসিক উত্তর বার্তা পত্রিকার আগস্ট/২০১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম।]
রি-পোস্ট।
ছবিঃ নেট।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত কথা।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা তো দেখি পুরাই প্যাচ লাগানো। দেখা যাচ্ছে আবু তাহের বেশ সক্রিয় প্রেমিক (অবশ্য সে-ই যে সুলতানার প্রেমিক ছিল এইটা আমার কল্পনা মাত্র)!
তাহলে পান্চ লাইন হলো, প্রেমে ব্যর্থ হলে ছেলেরা অনেক কিছুই করে, আর মেয়েরা সময়ে সময়ে আত্মহত্যা করে। মেয়েরা যেহেতু আজকাল ছেলেদের কাপড়-চোপড়ও পরছে, সেক্ষেত্রে ছেলেদের কাজগুলোও করে দেখতে পারে। আত্মহত্যা করার দরকার কি?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি নিজেও নিশ্চিতভাবে জানি না যে আবু তাহের সুলতানার প্রেমিক ছিল। তবে সম্ভাবনা বেশি।
ধন্যবাদ ভাই ভুয়া মফিজ।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রেমে প্রতারণার লাস্ট প্যারার এত টার্নিং এবং লাস্ট লাইন পড়ে তো হতবাক হয়ে গেছি। ধরুন, সুলতানার সাথে আবু তাহের এবং মোমেনার সাথে একই সময়ে অন্য একজনের বিয়ে হয়ে গেল। জনাব আবু তাহের যে সন্তান পেল, সে তার বাবা নয়। আবার, মোমেনার গর্ভে জনাব আবু তাহেরের যে সন্তান, সেই সন্তান সারাজীবন এমন একজনকে বাবা বলে জানতো, যে তার সত্যিকার বাবা নয়। ঘটনাটা লোমহর্ষক; সুলতানার আত্মহত্যা দুঃখজনক। সেও কিন্তু সময়মতো মোমেনার মতোই তার প্রতারক প্রেমিকের সামনে যেয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারতো। সেটা না করে সে ভুল ও বোকামি করেছে।
এসব ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়ার আছে অনেক কিছু। আমাদের সরলসোজা নিরীহ মেয়েগুলোই এরকম প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। তাদের প্রথম উচিত, মিষ্টি কথায় প্রতারণামূলক প্রেমের ফাঁদে পা না দেয়া। যদি বাই চান্স অঘটন ঘটেই যায়, সময়মতো প্রতিকারের জন্য বিষয়টা প্রকাশ করা। আত্মহত্যা কোনো সমাধান না।
আবুহেনা ভাই, জগতের বুদ্ধিমান প্রেমিকদের মধ্যে আমি একজন, যে নিজেকে সেরাদের সেরা মনে করে আমি একদিন/দুইদিন বিষণ্ণ ছিলাম। পরে মনে হইল- ধুর, নিজেরে ধ্বংস কইরা লাভ কী? এতে তো বরং আমার প্রেমিকাই খুশিতে লাফাইতে থাকবো- দেখো, আমার জন্য জীবন দিয়া দিতেছে আমি শক্তভাবে ঘুইরা দাঁড়াইছিলাম
আপনার শিক্ষামূলক সত্য গল্পটা দারুণ লাগলো।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আপনার এই বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যটি আমার ভালো লাগলো। বিভিন্ন মুখে শোনা ঘটনা নিয়ে এই গল্পটি লেখা। তাই সুলতানার গর্ভে আসা অবৈধ সন্তানের পিতা কে ছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে আবু তাহেরের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে পাওয়া তথ্যগুলো থেকে ধারনা করি, সেই ওই সন্তানের পিতা ছিল। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় না।
যাই হোক, আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ দিনের পর দিন কত অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে, এই গল্প পড়লে তা' স্পষ্ট বুঝা যায়। অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান ভেবে কত মানুষ লালন পালন করছে, তার কোন হিসাব নাই।
ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুলতানার জন্য মনে কষ্ট এলো।
আমার প্রেম ট্রেম নিয়ে সমস্যা হয়নি; তবে, আমি এখনো একাকি হাঁটার সময় অন্য সময়ের চেয়ে বেশী কথা বলি।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার প্রেম ট্রেম নিয়ে সমস্যা হয়নি; তবে, আমি এখনো একাকি হাঁটার সময় অন্য সময়ের চেয়ে বেশী কথা বলি।
হাঃ হাঃ হাঃ। সাথে সঙ্গী/সঙ্গিনী থাকলে তো কথাই ফুরাবে না।
ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পটি পাঠে ভাল লাগল।
আনেক ব্যর্থ প্রেমিক জগতে
মহত কিছু করতে পারে
যদি তারা প্রেমের মহা্ত্বকে
সঠিকভাবে উপলব্দি করে ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: অনেক একতরফা প্রেম বা জোরপূর্বক প্রেম ইত্যাদির সন্মুখিন হতে হয়েছে জীবনে । একজনের সাথে বেশ জমেছিল ঠিক সেই একিভাবে মিইয়ে গেল কারন স্কুলের শেষ ক্লাসের ছাত্র , ঘরে জায়গা হবেনা । আমার জীবনে বহু পাত্রী এসেছে কিন্তু প্রেম হয়নি । আত্মহত্যা একটা সাংঘাতিক ব্যাপার । যাদের কোন উপায় থাকেনা , মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল তারাই আত্মহননের পথ বেছে নেয় । এদের নিয়ে ঘর সংসার করাও বিপদ । আমাদের কৃষিখামারের মেয়েরা মনে হয় এদিক দিয়ে বেশ শক্ত মনের । সবচে দুর্বল কলেজের খারাপ রেজাল্ট করা মেয়েটি । তার একটি অবলম্বন দরকার আর তাই তারা ঝুকিপূর্ণ জীবনযাপন করে । যৌনসম্পর্কের ব্যাপারে এখনকার সময়ে নানাবিধ প্রতিকার আছে । যুবক যুবতীরা তাই ব্যাবহার করে। ছ্যাকা খেয়েছে এমন প্রার্থীর জন্য দরকার জায়গা বদল , কলেজ বদল , সঙ্গী বদল । পরিবর্তনে অনেক কিছু উপশম হয় । তবে জেদি কারো জন্য কোন সমাধান নেই ।
কোহিনুর মেয়ে দেখতে গিয়ে আসরে বসেই বলল বিয়ে করে বাড়ি যাব । তারা ঐযে প্রেম শুরু করল গেল ৩০ বছর অটুট আছে সেই প্রেম ।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বলেছেন আজিজ ভাই। পড়াশুনায় খারাপ ছাত্রীদের মধ্যে এমন প্রবণতা আমিও দেখেছি। আর এটাও ঠিক যে জীবনের লক্ষ্য ও চলার পথ এলোমেলো থাকলে তার অবলম্বনের দরকার হয় এবং সে কারণে সে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করে।
কোহিনূর ভাইয়ের এই গভীর প্রেমের কথা জানতাম না। তাকে বলবেন, বিয়ে করে তিনি কী এক হাতে মিষ্টি আর এক হাতে বউয়ের আঁচল ধরে বাড়ি ফিরেছিলেন? হাঃ হাঃ হাঃ।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তাই সুলতানার গর্ভে আসা অবৈধ সন্তানের পিতা কে ছিল, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে আবু তাহেরের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে পাওয়া তথ্যগুলো থেকে ধারনা করি, সেই ওই সন্তানের পিতা ছিল। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় না। গল্পে সুলতানার সাথে আবু তাহেরের বিয়েটা সেটেল্ড ম্যারেজ মনে হয়েছে, যেহেতু প্রেমের বিয়ে বলে কোনো ইঙ্গিত দেয়া নেই। এখনো ওটা মোটামুটি বের করা যায়- যদি প্রেমের বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে কোনো সন্দেহ নাই, সুলতানার গর্ভে আবু তাহেরের সন্তানই হয়ে থাকবে, যেহেতু সে একটা লুচ্চা স্বভাবের বিশ্বপ্রেমিক। আর যদি সেটেল্ড ম্যারেজ হয়ে থাকে, তাহলে এই সম্ভাবনা শুরুতেই বাতিল হয়ে যায়।
যাক সে কথা, সবারই এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।
সুন্দর রিপ্লাইয়ের জন্য ধন্যবাদ আবু হেনা ভাই।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: না, না, ওটা প্রকাশ্যে সেটেলড ম্যারেজই ছিল, তবে গোপনেও কিছু থাকতে পারে। বলা মুশকিল। প্রেম মহব্বতের ক্ষেত্রে আজকাল সব কিছুই সম্ভব। বিশেষ করে গ্রাম্য সমাজে রক্ষনশীলতার একটা দুর্বল আড়াল আজও বিদ্যমান।
পুনরায় পোস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: ইহা কি গল্প পড়িলাম! পুরাই ক্রস কানেকশন।
“মাসিক উত্তর বার্তা” কোন জেলার পত্রিকা ?
গল্প ভাল লেগেছে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পত্রিকাটি রাজশাহী জেলার। গল্পটি ভালো লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ ঢুকিচেপা।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর ও যুক্তিসংগত লেখা । মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে মানসিক উন্নত হয় । আর বিয়ে হয়ে গেলে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নেওয়াজ আলি।
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। আমাদের মেয়েদের আরো শক্ত হতে হবে।
মেয়েরা দেবদাস হতে পারেনা ব্যাকরণগত কারণে, দাস শব্দটা পুরুষবাচক নির্দেশ করে। তবে দেবদাসী হতে তাঁদের বাঁধা নেই
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। হিন্দু সমাজে দেবদাসী বা প্রভুদাসী নামে এক শ্রেনির নারী রয়েছে, যারা বংশানুক্রমে পুরুষের মনোরঞ্জন কর্মকে পেশা হিসাবে গ্রহন করে থাকেন।
ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে এসে প্রেম নাম দিয়ে যায় তা স্রেফ নোংরামি।
প্রেম অনেক দামি ব্যাপার। সত্যিকার প্রেম করতে কেউ জানে না। তারা জানে শুধু শরীর।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই কারণেই এই প্রেমকে বলা হয়েছে বিষাক্ত প্রেম।
ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।
১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫৭
মা.হাসান বলেছেন: রম্য মনে করে শুরু করে শেষে এসে ধরা খেলাম। আগে জানলে পড়তাম না।
কুমারি মহিলাদের মা হবার ঘটনা মেনে নেবার মতো উদারতা যতদিন তৈরি না হবে ততদিন এরকম ঘটনা শুনতে থাকবো।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। আমাদের সমাজে এসব হলো ক্যান্সার ব্যাধির মতো।
ধন্যবাদ ভাই মা, হাসান।
১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৭
সোহানী বলেছেন: হাসতে হাসতে লিখাটা পড়া শুরু কররে মন খারাপ হতে বেশী সময় নেয়নি।
এই কারনেইতো এ মেয়েগুলোকে নিয়ে এতো এতো লিখা লিখি। বেকুব বলেইতো আবু তাহেরের মতো পিচাশগুলো মোমেনা বা সুলতানাকে খুব সহজেই ইউজ করতে পারে। আর মেয়েগুলা ইউজ হবার জন্য বসে থাকে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আক্ষরিক অর্থেই এরা বেকুব ও নির্বোধ। আর এদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দুশ্চরিত্র পুরুষরা ব্যাভিচারে মেতে ওঠে। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন।
ধন্যবাদ বোন সোহানী।
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
ইসিয়াক বলেছেন:
চমৎকার। শেষে এসে গল্প/সত্যি ঘটনা যাই হোক না কেন দারুণ লাগলো।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ইসিয়াক।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভেজাল খাবারের মতোই ভেজাল প্রেম
তাই স্থায়িত্ব কম। উদ্বেগের বিষয়ই বটে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ভেজাল প্রেম গোখরা সাপের বিষের মতো বিষাক্ত।
ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ ভাই।
১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
লরুজন বলেছেন: বুঝছি আফনে ছ্যাকা খাইছুইন!!!,,,
আমি জানতাম আফনে ছ্যাকা খাইবাইন,,,
আশাহত অইয়েন না। কি আর করবাইন....
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছ্যাকা খাওন ভালা। আর একটা প্রেম করা যায়। হাঃ হাঃ হাঃ।
ধন্যবাদ ভাই লরুজন।
১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩১
পুলক ঢালী বলেছেন: একদম বাস্তব জীবনের ঘটনা নিয়ে লিখেছেন। জ্ঞানী ব্লগাররা খুব ভাল ভাল মন্তব্য করেছেন।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থার অসারত্ব দারুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ।
সিস্টেমের খোলনলচে পাল্টিয়ে সমাধান খুঁজতে হবে তবে এক্ষেত্রে সমাজ এবং ধর্ম অনেক বড় বাধা।
একটা ছেলে এবং মেয়ের স্বেচ্ছাপ্রনোদিত সম্পর্ককে আমরা অবৈধ ট্যাগ দিয়ে রদ করার চেষ্টা করছি।
সমাজ নামক বিধিনিষেধ আরোপ করে থামাতে চেষ্টা করছি তা নাহলে সব উচ্ছন্নে যাবে বলে আতঙ্কিত হচ্ছি।
মানুষ নয় প্রানী হিসেবে ভাবুন, ছেলে মেয়ের সম্পর্কই আসল বাকী সব তৈরী করা জুজু আর এটাই অহেতুক অসংখ্য প্রান হরনের কারন। তাহলে করনীয় কি ? সিস্টেমের পরিশোধন,পরিবর্ধন যেমন কুমারী মাতাকে মর্যাদা দান, সন্তানকে অবৈধ বলা যাবেনা, লেখাপড়া থেকে সব কিছুতেই শুধু মায়ের নাম ব্যবহার। দেশের সব ছেলেমেয়েদের সরকারী খরচে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান । উক্ত শিক্ষায় ফলিত জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা (সিলেবাস) থাকা যাতে যোগ্যতার্জনের পর যেন সহজেই কর্মসংস্থান হয়। প্রতিটা কর্মক্ষম মানুষের মজুরী থেকে (ব্যবসা থেকে,শিল্প থেকে, জমি থেকে উৎপাদিত পন্যের মূল্য থেকে) অটোমেটিক্যালি নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স কর্তন এর ফলে সরকারেরই উদ্দেশ্য থাকবে যাতে সবাই কাজ পায় আর সরকারের আয় হয়। আজকে থেকে শুরু করলেও বাস্তবায়ন করে ফল পেতে ২০ বৎসর লেগে যাবে।
এগুলো আমাদের দেশের বাস্তবতার নীরিখে অলীক স্বপ্ন বলে মনে হয়।
হেনাভাই করোনা সহজে যাবে বলে মনে হচ্ছেনা সাবধানতায় ঢিলা দেওয়া যাবেনা সাবধান থাকুন ভাল থাকুন।
(গুরুজী আপনার পোষ্টের প্রথমদিকে উল্লেখ করা যাবতীয় লক্ষন আমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলিয়া মনে হইতাছে এখন আমার কি হপে রে------?? )
২৭ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি সিস্টেমের খোল নলচে পাল্টে ফেলার যে তরিকাগুলো বাতলেছেন, সেগুলোর সাথে ধর্মীয় অনুশাসনের সরাসরি দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশে এগুলো দু'চারশ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব। তারপরেও মানবিক দিক বিবেচনায় আপনার প্রস্তাবগুলোকে আমি সমর্থন করি।
ধন্যবাদ ভাই পুলক ঢালী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যায় , তাই তারা দেবদাস হওয়ার সময় পায় না ।