নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“মানুষ কখনো হারেনা, হয় জিতে না হয় শিখে ৷\"

আজীব ০০৭

চাই আমি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে .........।

আজীব ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথে-ঘাটে ছিনতাইয়ের ফাঁদ!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩০

পথচারী আর যাত্রীতে গিজগিজ করা ফার্মগেটে একদল নারীকে শুধু এদিক-সেদিক পায়চারি করতে দেখা যায়। শত শত বাস আসা-যাওয়া করলেও তাদের তাতে উঠতে দেখা যায় না।



এসব দেখেও যাদের মনে প্রশ্ন জাগে, �এরা কারা?�, তাদের গড়পড়তা বুদ্ধিমান নাগরিকেরাও �ন্যাকা� বলে নাক টিপে দিতে দ্বিধা করবে না। ফার্মগেটে সাতসকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিচরণকারী সেই নারীদের যারা যৌনকর্মী ভাবছে, তারাও কিন্তু বোকা বনছে। এরা সাধারণ যৌনকর্মী নয়, বরং ছিনতাইকারী; অন্য অর্থে প্রতারকও বলা চলে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর আলীর বর্ণনায় তার কিছুটা আঁচ করা যায়। তাঁর ভাষ্যে, �দেহপসারিণীদের সাজানো টোপ গিলতে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেকেই। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তাদের এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেক ভদ্রলোকও। মান-সম্মানের ভয়ে তাঁরা কাউকে কিছু বলতেও পারেন না



শুধু ফার্মগেট নয়, সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া এভিনিউসংলগ্ন ফুটপাত, রমনা উদ্যান ও কাকরাইলসংলগ্ন সড়কের ফুটপাত এবং মগবাজার এলাকায় দেহপসারিণীর সাজে ঘুরে বেড়ায় ছিনতাইকারী। ছিনতাইকর্মের মূল হোতা পুরুষেরাও দালাল সেজে ঘুরঘুর করে তাদের আশপাশে। ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাততে তারা হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ব্যবহার করছে। দালাল সেজে ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্যেই মোবাইল ফোন নম্বরসংবলিত কার্ডও বিতরণ করছে নগরের পথচারীদের। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সবকিছু খুইয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেককে। পুলিশের নাকের ডগায় দিনের পর দিন যৌনকর্মী ও তাদের দালাল সেজে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় থাকলেও থানা-পুলিশ তাদের নির্মূলে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।



কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের পেছনে একটি আবাসিক হোটেলের সামনের সেলুনের ক্ষৌরকার জানালেন সেই ছিনতাইয়ের ধরন-ধারণ। তাঁর দোকানের সামনে বসে থাকার সময় চটকদার পোশাক পরা একটি মেয়ে হেঁটে গেল সামনে দিয়ে। ক্ষৌরকার মেয়েটিকে দেখিয়ে বললেন, �এই মাইয়্যা দুই মাস আগে এখানকার এক হোটেল থেকে এক পোলারে প্রায় ন্যাংটা কইরা খেদাইছে। হের জামা, প্যান্ট, মোবাইল, টাকা-পয়সা�সব কাইড়া নিছিল।� একটা মেয়ে কীভাবে একটা ছেলেকে কাবু করল? জানতে চাইলে তিনি জানান, খদ্দের যখন তাকে নিয়ে হোটেলের রুমে ঢুকতে যায়, তখন আরও কয়েকজন দ্রুত এসে রুমে ঢুকে পড়ে।

রূপের ফাঁদে পা দিয়ে ছিনতাইকারীদের পাল্লায় পড়ছে অনেক বোধবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও। মগবাজার মোড়ের ফুটওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে এক রমণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপ করতে গিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন একজন চাকরিজীবী। নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি জানান, অফিসের কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ফিরছিলেন। রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটওভারব্রিজে ওঠার পর তাঁর চোখ চলে যায় ওভারব্রিজের এক মাথায়। পরিপাটি বেশভূষার এক রমণী সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই লোকটি বলেন, �আমি এগিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথা বললাম। তার সঙ্গে কথা বলতে বেশ ভালোই লাগছিল। এমন সময় হঠাত্ আমার পিঠে কিসের গুঁতো টের পেলাম। তারা আমার কাছে থাকা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, যাওয়ার সময় আমার চোখে মলম লাগিয়ে দিয়ে যায়।�



মুঠোফোনের ফাঁদে পড়ে ছিনতাইয়ের শিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, �একদিন রাস্তায় এক দালাল আমাকে একটা কার্ড দেয়। কার্ডে থাকা একটা নম্বরে ফোন করি। ফোনে আমাকে একটি আবাসিক হোটেলে যেতে বলা হয়। একদিন রাতে সেখানে যাই। পছন্দ হয়নি বলে আমি ফিরে আসতে চাই। এমন সময় সেই হোটেলের লোকজন এসে আমার কাছে থাকা টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। থানায় অভিযোগ করা দূরের কথা, লজ্জায় কাউকে এ কথা বলতেও পারিনি।�



মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের নিচের দোকানদার বলেন, �একদিন ভোরবেলা আইসা দেখি, তাগড়া জোয়ান একটা পোলারে এলাকার মানুষজন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। কাহিনী শুনলাম পরে, সারা রাইত একটা মাইয়ার সঙ্গে ছিল। পোলায় মালদার পার্টি। তাই রাইতে যখন ঘুমাইছে তখন পোলার চোখে মলম দিয়া টাকা-পয়সা লইয়া ভাগছে।�



রাত নয়টার দিকে আনন্দ প্রেক্ষাগৃহের পাশে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের ফুটপাত ও বাস-বেতে ঘণ্টাখানেক ঘুরে দেখা গেছে, ওখানে বোরকা পরা জনা বিশেক নারী একদিক থেকে আরেক দিকে পায়চারি করে। আর জনা তিনেক নারী উগ্র সাজে দ্রুত পায়ে চষে বেড়ায় কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, আনন্দ-ছন্দ প্রেক্ষাগৃহ এবং ফার্মভিউ সুপার মার্কেটের পাশের ফুটপাত। এসব নারীর সঙ্গে কয়েকজন পুরুষ কিছুক্ষণ পরপরই চুপিচুপি সলাপরামর্শ করে। ওই এলাকার একাধিক হকার ও দোকানি জানান, পুরো এলাকায় শ খানেক নারী যৌনকর্মীর বেশে ছিনতাইয়ের কাজ করছে। তবে তারা শুধু ছিনতাইয়ের টোপ হয়ে কাজ করছে। মূল কাজটা সারে দালালেরা। সন্ধ্যার পর কেউ কোনো যৌনকর্মীর সঙ্গে দরদাম করতে গেলেই পড়ে যায় ফাঁদে। দরদামের কাজটা একটু নির্জন জায়গায় করতে গেলেই মুহূর্তেই কয়েকজন পুরুষ দালাল এসে হাজির হয়। তারা খদ্দেরের সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ফোনসেটসহ সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাকে বিদায় করে দেয়। আবার খদ্দের যদি কোনো যৌনকর্মীকে রিকশায় করে গন্তব্যে যেতে থাকে, তখনই নির্জন কোথাও আটক করে তার সবকিছু রেখে দেওয়া হয়। দিনের বেলা যৌনকর্মী বেশধারী ছিনতাইকারীরা খদ্দেরদের কারওয়ান বাজারের হোটেলে নিয়ে যায়। তারপর সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রে ছিনতাইয়ের জন্য পুরুষ দালালদের সহায়তাও লাগে না। ওই নারীরা শুধু খদ্দেরকে বলে�সবকিছু দে, নইলে চিত্কার করে লোক জড়ো করব। মান-সম্মান রক্ষার খাতিরে তখন আর বিকল্প কিছু চিন্তা করতে পারে না কেউ।

ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হওয়া একাধিক ব্যক্তি জানান, বিষয়টি আত্মীয়স্বজন, বন্ধু�কাউকেই ঠিকমতো বলা যায় না। আবার থানায় অভিযোগ করতে গেলেও উল্টো ধমক খাওয়ার ভয় থাকে। এ প্রসঙ্গে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, �এ ধরনের প্রতারণার কথা আমরাও বিভিন্ন সময় শুনেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেনি। আসলে যারা প্রতারণার শিকার হয়, তাদের সবারই মনে কোনো না কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকে। মানসিকভাবে দুর্বল থাকায় তারা প্রতারণার শিকার হলেও থানায় অভিযোগ করতে আসে না।�



ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে বিষয়টি চেপে যায়। তবে কেউ কেউ আবার ব্যবস্থাও নেয়। এ বিষয়ে ফার্মগেট এলাকার হকার রমজান মিয়া বলেন, �ছিনতাইয়ের শিকার হইয়া কোনো কোনো সময় বন্ধুবান্ধব লইয়া পরে কেউ কেউ ফার্মগেটে আসে। ছিনতাইকারী মাইয়ালোকরে ধরতে বইসা থাকে। তারে পাইলেই মাইর শুরু কইরা দেয়। কয়েক দিন ফার্মগেটে এমন ঘটনা ঘটতে দেখছি।



মুল লিখাটা অন্য জায়গা থেকে কপি করা, শুধু সর্তক করার জন্য লেখকের অনুমতি ছাড়া পোস্ট করলাম। নিছে মুল লিখাটার লিঙ্ক দিলাম :



লিখাটা পড়ে যদিও মনে হতে পারে অবাস্তব, কিন্তু একটু ভেবে দেখুন হয়ত এভাবেই মানুয প্রতারিত হয় বা হচ্ছে তাই সাবধান করার জন্য পোস্ট টা দিলাম। মুল লেখকের কাছে অমি ক্ষমা প্রার্থী।



লিখাটার মুল লিঙ্ক : Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সাধু সাবধান!!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১২

আজীব ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.