নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজব গোয়েন্দা

আমি লেখক নই তবু চেষ্টা করি লিখতে, লেখা পরিনত হয়েছে আমার নেশাতে। খুব ভাল লিখতে পারি তা না, যখন একাকি থাকি একাকি অনুভব করি নিজের একাকিত্ব ভুলে থাকার চেষ্টা করি লেখার মাধ্যমে। মনে হয় লেখাতেই যেন সব সুখ লেখার মাঝেই দিতে পারি নিজের দুঃখ গুলোকে নতুন রুপ। তাই আমি লিখতে ভালবাসি লেখা যেমন আমার নেশা লেখায় ভালবাসা

আজব গোয়েন্দা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধু হিসাবে তখনকার ভারত আর এখনকার ভারত

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪

ততকালীন পাকিস্তানের একটি প্রদেশ পূর্ব পাকিস্তান। ৫২‍‌‌‍'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানের নানা অভিচার লোম হর্ষক নির্যাতনের শিকার হয়েছে পূর্ব বাংলার মানুষ। এ যেন এক রণ ক্ষেত্র, এক সময় বাংলার জনগন তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয়ে উঠে। কিন্তু বাঁধা একটাই তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সাহস যোগানোর মত মনোবল দেওয়ার এবং তাদের ভিতরের সাহসি বাঙ্গালিকে জাগেয়ে তুলার মানুষের বড়ই অভাব ছিল। এহেন দুঃসময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরনায় তার সাহসি নেতৃত্ব ও জ্বলাময়ি সেই ৭ই মার্চের ভাষণ বীর বাঙ্গালীকে আবার জেগে উঠার প্রত্যয় দান করে। শত নির্যাতনের মাঝেও তিনি বাংঙ্গলা আর বাংঙ্গালীর কথা ভেবেছেন এবং তার এক দফা দাবিতে অটল ছিলেন। এক কথায় তার পণ ছিল "পূর্ব বাংলা স্বাধিন চায়, স্বাধিনতা না দিলে রক্ষা নাই। দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয়ি যুদ্ধের পর ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে সুচনা হয় সবুজ সোনালি বাংলাদেশের। এভাবে জাতির পিতার হাত ধরে পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কতি হয় স্বাধিন বাংলাদেশের মানচিত্র। আর এই সফলতার পিছনে প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাহায্যর কথা অনিস্বিকার্য। তবে ভারত যে প্রতিবেশি হিসাবে বাংলাদেশকে সাহয্য করেছে তা নয়, এর পিছনে হয়ত ভারতের স্বার্থ ছিল আর প্রধান স্বার্থ হচ্ছে তখন ভারতের আর বাংলাদেশের শত্রু এক ছিল। ভারতের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে জিতানো নয় মূলত পাকিস্তানকে হারানো তাদের এই মনোকামনার ফলে লাভ বাংলাদেশেরই হয়েছিল। তবে ইন্দিরা গান্ধি মানবতার কাতিরেও বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল যদি তাদের সাহায্য না থাকত তাহলে বাংলাদেশের সুচনায় হত না সে হিসাবে তাদের বন্ধু মানা যায়। এবার চলুন এখনকার ভারতে, ইনডিয়া এখন নিজেকে বিশ্ব দরবারে একটি শক্তিশালি দেশ হিসাবে তুলে ধরার স্বপ্নে মগ্ন। তার চায় উন্নয়নশীল দেশ গুলোর উপর জোর কাটাতে এক কথায় দেশ গুলোর নিয়ন্ত্রন নিজের হাতে নিয়ে নিতে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাদের খুব কাছের এবং ভারতের মোকাবিলা করার স্বামর্থ বাংলাদেশের নেই বললেই চলে। ভারতের চোখ এদেশের বানিজ্যিক বাজারে তো আছেই এখন তার চোখ দিয়েছে রাজনীতিতেও, ক্রিকেটরে মত নিস্বার্থ খেলায়ও। ভারত কখনোয় চায় না যে বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক, আমাদের দেশের পন্য তাদের দেশে যায় না আমাদের টিভি চ্যানেল ইনডিয়তে ব্ন্ধ অথচ তারা বিনা শুল্কে আমাদের দেশে ব্যবসা করে যাচ্ছেই। এক দেশের বন্দর অন্য দেশের ব্যবহারের নিয়ম না থাকলেও ইনডিয়ার সাথে তা বন্টন করা হয়েছে যদিও শুল্ক দেয় কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য তেমন একটা লাভের বিষয় নয়। তিস্তার পানি দিতেও তারা নারাজ অথচ তিস্তার পানিতে বাংলাদেশের অধিকার আছে দেখুন একে বলে দিন দুপুরে চুরি।্আমি বলব এখনকার ভারতের বন্ধুত্ব শুধুই স্বার্থে নিহিত আর তখনকার ভারতেরও আংশিক ছিল বটে, সুতরাং এখনকার ভারতের পক্ষে যে গায়বে গান সেও রাজাকারের সমান। তাকেও রাজাকার বলতে হবে কারণ যে দেশের ভাল চাই না সেই রাজাকার। হয়ত আমার পোস্ট টা এভাবেই এখানে পরে থাকবে মূল পাতায় যাবে না তবুও বলি "আমরা বাংলার বীর কবু করিব না নত শত্রুর সামনে শির, আমারা বাংলার বীর"

জয় বাংলা, বাংলার জয়

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.