![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে জানা হয়েছে অনেক সত্য ঘটনা, যা মিডিয়াতে আসলে হয়তো কর্তাব্যক্তিদের অবস্থান পরিবর্তন হতে পারত। কিন্তু এসব যে আর মিডিয়াতে প্রকাশ করতে নেই, কারণ তখন আবার কর্তাগণ ধুটি চেপে ধরবে। যেমন ধরুণ, যদি বলি যে, এখন যারা গণতন্ত্রের জন্য বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছেন তাদের কেউই আসলে গণতন্ত্র চান না, চান ক্ষমতা। বলতে পারেন আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে? হ্যা! প্রমাণ আপনার কাছেও থাকতে পারে যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি সংবিধান আপনার কাছে থাকে। আছে কি? যদি থাকে তাহলে এখুনি ৭০নং অনুচ্ছেদে চলে যান যেখানে বলা আছে, " কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি-
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শুন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।" (সংবিধানের (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ সনের ১৪নং আইনের ২৫নং ধারাবলে প্রতিস্থাপিত)।
এখন প্রশ্ন হলো, রাজনীতিবিদগণ যদি আসলেই গণতন্ত্র চাইতেন তাহলে কেন এই আইনের জোড়ালো প্রতিবাদ করেন নি? তারা কি তাদের দলের যত অপকর্ম আছে তা অকপটে মেনে নিবে? ১ম টির উত্তর হলো, তাহলে তো উনারা দাসত্যের শৃংখল থেকে বেরিয়ে যাবেন! তা কি করে হয় বলুন? উনারা সবাইকে প্রজা বানাবে এখন উনারা যদি কারো প্রজা না হন তাহলে কি করে হয় বলুন? আসলে বৃটিশরা আমদের মাঝে ২০০বছর যে কলোনিয়াল মনোভাব তৈরি করে দিয়ে গিয়েছে তা তো এত সহজেই শেষ হবার নয়। আর ২য় প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যা উনারা উনাদের দলের সকল অপকর্মকে অকপটেই মেনে নিবেন, কারণ উনারা যে, জনগণের জন্য রাজনীতি করেন না, করেন স্ব স্ব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়েরও এরকম হাজারো সত্য উদরবন্দি হয়ে আছে সময়-সুযোগ হলে প্রকাশ করব।
©somewhere in net ltd.