নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

০০আবদুল কাদের০০

০০আবদুল কাদের০০ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে দেখি বাংলাদেশ- প্রথম পর্ব । উত্তর বঙ্গের পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুর ভ্রমন

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

অনেক দিন উত্তরবঙ্গে যাব যাব করে যাওয়া হচ্ছিল না। সেই জানুয়ারী মাস থেকে পরিকল্পনা করতেছিলাম অন্তত দুই দিনে দুইটি জেলা যাতে ঘুরতে পারি। এ বছর শুক্র ও শনিবারের সাথে সরকারী ছুটি না থাকায় যে কোনো ট্যুর শুক্র ও শনি দুই দিনে শেষ করতে হয়। সিদ্ধান্ত নিলাম ৩০ মার্চ রাতের মধ্যে অন্তত দুই জন হলে ও চলে যাব। শেষ পর্যন্ত চার জন যাওয়ার জন্য রাজি হল।পাঁচ দিন আগে সহজ.কম থেকে একমাত্র এসি বাস নাবিল বাসের টিকিট কিনলাম এবং সেই সাথে ট্রেনের টিকিটের জন্য রংপুর থেকে বুকিং দিলাম। প্রথমে ঠিক করে ছিলাম পঞ্চগড় এবং দিনাজপুর যাব পড়ে সাথে রংপুর ও যোগ করলাম। আমাদের বাস গাবতলী মাজার রোড থেকে রাত ১১.৩০ এ ছাড়বে। যেহেতু আমারা একই দিকে থাকি আমরা উবার নিয়ে সবাই কে তুলে নিয়ে বাস কাউন্টারে গেলাম। রাত ১১.৩০ টায় রওনা দিয়ে সকাল ৮ টায় পঞ্চগড় পৌছালাম। পঞ্চগড়ে নেমে মৌচাক রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে বাংলাবান্ধার দিকে যাওয়ার জন্য গেট লক (পুরাই লোকাল)বাসে উঠে পড়লাম। যাওয়ার পথে চোখে পড়ে চিরায়িত গ্রামের দৃশ্য চারপাশে সবুজ ফসলের মাঠ দুরে গাছের সারি যাকে বলে চোখ জুড়ানো সবুজ ।







হঠাৎ হেল্পপারে চিৎকার কানে এল “অই বুড়াবুড়ি সামনে আসেন” আমি পিছন ফিরে দেখলাম পিছে তো কোনো বুড়াবুড়ি নাই তাহলে ডাকে কেন। একটু পর দেখি বুড়াবুড়ি জায়গার নাম। যারা বুড়াবুড়ি নামবে তাদের বাসের গেটের দিকে আসতে বলেছে। বাস তেতুলিয়া বাজার গিয়ে বাসের ২০ মিনিটের বিরতি। আমারা কয়েকজন ভ্যান চালকের সাথে কথা বলে জানার চেষ্টা করলাম এখানে কি কি দেখার আছে । তারপর আবার যাত্রা শুরু হল বাংলাবান্ধার দিকে, বাসের এক বয়স্ক সহযাত্রী বলল কেন যান ইয়া বড় জিরো ছাড়া কিছু নাই।


বাংলাবান্ধা পৌঁছে জিরোর সাথে হিরো স্টাইলে ছবি তুলে আবার তেতুলিয়ার দিকে রওনা দিলাম। তেতুলিয়া আসার পথে কয়েক কিলো আগে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখার আশায় তেতুলিয়া ডাকবাংলো তে নেমে পড়লাম



ডাকবাংলোর পাশে মহানন্দা নদী, মহানন্দা নদীটি বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া ডাক বাংলোসংলগ্ন জায়গাটা পিকনিক স্পষ্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ভ্যান ঠিক করলাম তেতুলিয়া ঘুরে দেখার জন্য।




ভ্যান ওয়ালা ইন্ডিয়ার একটা ব্রিজ, নেপালি বাঁশ, কমলা গাছ , সমতলের চা বাগান ঘুরিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে তেতুলিয়া বাজারে নামিয়ে দিল।

যে তেতুল গাছের জন্য তেতুলিয়া নাম হয়েছে সেটার সাথে ছবি তুলে ব্যাটারি চালিত অটো নিয়ে পঞ্চগড় চলে আসলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে দিনাজপুরের উদ্দ্যেশে রওনা দিলাম আবার গেটলক সাদা পতাকাওয়ালা বাসে রওনা দিলাম। বাস প্রায় প্রতিটি স্টপে থামে আর লোক উঠায়। এই যদি হয় গেটলকের অবস্থা তাহলে লোকাল কেমন হতে পারে এটা একটা গবেষনার বিষয় হতে পারে। বাসে এক ইঞ্চি ও জায়গা নাই তাও লোক উঠায় মজার ব্যাপার বাসের একটা লোক ও প্রতিবাদ করে না। উত্তর বঙ্গের মানুষ আসলে ও ভাল ও শান্তি প্রিয়। কিন্তু আমরা বাস থেকে হেল্পার কে নামিয়ে দিয়ে কিভাবে আরো একজন বেশি উঠাতে পারবে সে ব্যাপারে অতি উচ্চস্বরে পরামর্শ দিতে লাগলাম। তারা আর তেমন লোক না উঠিয়ে আমাদের ভালভাবে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে দিনাজপুর পৌঁছে দিল। আমরা অটো নিয়ে নিম তলা ইউনিক হোটেলে উঠলাম।


ঢাকা থেকে ই খোজ নিয়ে এসেছিলাম ভালো মানের কোন কোন হোটেল আছে। জেলা শহর গুলো তে হোটেল গুলোর ব্যাপারে খোজ খবর নিয়ে যাওয়া উচিৎ না হলে বিপদে পড়তে হতে পারে। যেহেতু আমরা এক দিনে দুই জেলা ঘুরব তাই সময় বাচাতে রেন্ট এ কার আগেই ঠিক করা ছিল। রেন্ট এ কারের ড্রাইভার কে ফোন দিলাম যাতে ৭ টার মধ্যে চলে আসে। এবার রেস্টুরেন্ট খোজার পালা আশে পাশে জিজ্ঞাসা করে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ভাল একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলাম। অনেক ক্ষুদার্ত ছিলাম তাই ৩ প্লেট ভাত খাবার পর ওয়েটার কে বললাম যাও একটা গ্রীল আর দুই টা পরটা নিয়ে আসো, অবাক হয়ে বলে স্যার পার্সেল দিমু। আমি বলি না প্লেটে নিয়ে আসো। গ্রীল আর পরটা খেয়ে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ২০ টাকা দামের তবক পান খেয়ে ও পোঁটলায় আর ও ৬ টা নিয়ে আমরা হোটেলে চলে আসলাম।
পরদিন সকালে ৭ টায় নাস্তা খেয়ে দিনাজপুর রাজবাড়ি তে গেলাম।


দিনাজপুর রাজবাড়ি বলতে এর অবশিষ্টাংশকে বুঝায়। এর বেশিরভাগ ই অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু অল্প কয়েকটি স্থাপনা এখন আছে। রাজবাড়ির প্রবেশ পথে একটি মিনার আকৃতির বিশাল তৌরণ আছে। রাজবাড়ির সীমানার মধ্যে তৌরণের কিছু দূরে বামদিকে একটি উজ্জ্বল রঙ করা কৃষ্ণ মন্দির এবং ডানদিকে রাজবাড়ির কিছু ধ্বংসাবশেষ আছে। রাজবাড়ির সীমানার ভেতরে একটি মন্দির আছে। রাজবাড়ি ও মন্দির দেখে রাম সাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । এটি বাংলাদেশে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় দিঘি। এই দিঘি নিয়ে প্রচলিত আছে বিভিন্ন লোককথা।




কথিত আছে, ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রচণ্ড এক খরা দেখা দিলে পানির অভাবে মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে হাজার হাজার প্রজা। এসময় দয়ালু রাজা প্রাণনাথ স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি পুকুর খনন করেন। কিন্তু সেই পুকুর থেকে পানি না ওঠায় একসময় রাজা স্বপ্নে দৈববাণী পেলেন যে, তাঁর একমাত্র ছেলে রামকে দীঘিতে বলি দিলে পানি উঠবে। স্বপ্নাদিষ্ট রাজা, দীঘির মাঝখানে একটি ছোট মন্দির নির্মাণ করেন। তারপর এক ভোরে যুবরাজ রামনাথ সাদা পোষাকাচ্ছাদিত হয়ে হাতির পিঠে চড়ে যাত্রা শুরু করলেন সেই দীঘির দিকে। দীঘির পাড়ে পৌঁছে যুবরাজ রাম সিঁড়ি ধরে নেমে গেলেন মন্দিরে। সঙ্গে সঙ্গে দীঘির তলা থেকে অঝোর ধারায় পানি উঠতে লাগল। চোখের পলকে যুবরাজ রামনাথসহ পানিতে ভরে গেল বিশাল দীঘি। আমরা নৌকায় চড়ে পুরো ২০ মিনিটে সাগর পাড়ি দিলাম। তবে রাম সাগর দিঘির পাশে ছোট একটি চিড়িয়াখানা আছে । হরিন গুলো এত পোষা আমি তো দ্বিধায় পড়ে গেলাম আসল হরিণ না হরিণের মত রং করা ছাগল হাত থেকে নিয়ে বাদাম খায়। অতি ভদ্র একটি বানর ও দেখলাম।








রামসাগর ঘুরে কান্তজীর মন্দিরের উদ্দ্যেশে রওনা দিলাম। কান্তজীর মন্দির আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তাঁর শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭২২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটি ভূমিকম্পের কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি। মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দির টেরাকোটা দ্বারা আবৃত।













এবার রংপুরের দিকে রওনা দিলাম।




পথিমধ্যে সৈয়দপুর এসে রংপুর রোডে তাজিমুদ্দিন গ্রান্ড হোটেলে বিখ্যাত গরুর মাংস দিয়ে পেট ভরে খেয়ে ৩ টার দিকে পায়রাবন্দে নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার বাড়ীতে পৌছালাম। রোকেয়ার পৈতৃক ভিটায় ৩ দশমিক ১৫ একর ভূমির ওপর এই কেন্দ্রটি অবস্থিত। স্মৃতি কেন্দ্রটিতে রয়েছে অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, ৪ তলা ডরমেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ ১০ হাজার পুস্তক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইব্রেরী, ৪ হাজার বিভিন্ন বইপত্র-পত্রিকা, গবেষণা কেন্দ্র, সংগ্রহশালা ইত্যাদি । কর্মচারীদের তথ্য মতে, সরকারী কোন অনুদান নেই , সব কিছু অবহেলায় পড়ে আছে। গত মাসে ৮ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকে থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। লাইব্রেরীতে তালা মারা থাকে। ভবন গুলো ও সংস্কার করতে হবে।









বেগম রোকেয়ার বাড়ি ও রোকেয়া মেমোরিয়াল ঘুরে ৫ টায় তাজ হাট জমিদার বাড়ি তে গেলাম। তাজ হাট জমিদার বাড়ি দেখে মনে হল আহসান মঞ্জিল কপি করে পেস্ট করেছে। আর ফটোশপে গোলাপির বদলে সাদা রং করেছে। সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই জাদুঘরে দুটি প্রদর্শনী কক্ষ আছে যাতে রয়েছে দশম ও একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটা শিল্পকর্ম।











আবার একটি ধুমকেতু এর একটি অংশ আছে দেখলাম, এখানে আরো আছে সংস্কৃত এবং আরবি ভাষায় লেখা বেশ কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। এর মধ্যে রয়েছে মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের সময়ের কুরআন সহ মহাভারত ও রামায়ণ। জাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমি অবশ্য নিষেধাজ্ঞা মেনেছি ছবি তুলি নাই ভিডিও করেছি। এরপর কার মাইকেল কলেজে গেলাম বিকেলের দিকে। কারমাইকেল কলেজের বিশাল ক্যাম্পাস, ভেতরে একটি সুন্দর মসজিদ আছে সাদা এবং নীল রং করা। প্রচুর বাতাস পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে যাতে দুই দিনের ভ্রমণের ক্লান্তি চলে গেল। এরপর গেলাম আমাদের শেষ গন্তব্য কেরামতিয়া মসজিদ দেখতে, গিয়ে হতাশ হলাম। আধুনিক সংস্কার ও পরিবর্ধনের কাজ চলছে। তখন বাজে প্রায় ৭ টা বিকেলের নাস্তা করে রংপুর ট্রেন স্টেশনে দিকে রওনা দিলাম। ৮ টার ট্রেন ঠিক ৮টায় ই ছাড়ল। আমরা ঠিক ৬.৩০ এ আমাকে খিলগাঁও পৌছে দিল। বাসায় এসে আবার অফিসে চলে গেলাম।

মন্তব্যঃ-
১। পুরো ভ্রমণ ছিলো সময়য়ে সাথে পাল্লা দিয়ে যারা একটু দুর্বল তাদের জন্য কষ্ট হবে। এই দুই দিনে আমরা প্রায় ১২০০ কিমি. ভ্রমণ করেছি।
২।অটো ভাড়া তুলনা মূলক অনেক কম। যেমন দিনাজপুর নেমে নিমতলার জন্য অটো ঠিক করলাম ৩০ টাকা দিয়ে অনেকক্ষণ পর যখন নামিয়ে দিল মনে হল ৩০ টাকা কম হয়ে যায় তাই তাকে আরও ১০ টাকা দিয়ে দিলাম। পরে দেখলাম পুরো দিনাজপুরে ই অটো ভাড়া কম।
৩। সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এর দিকে কাঞ্চনজঙ্গা তেতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে দেখা যায়।
৪। অবশ্যই সৈয়দপুরে তাজিমুদ্দিন গ্রান্ড হোটেলে গরুর মাংস টেস্ট করবেন।

ভ্রমণ সংগীঃ-
আরাফাত, প্রতাপ, তায়েফুর, আর আমি।

ভ্রমণ পরিকল্পনা সহায়তায়ঃ-
বেলায়েত ভাই

খরচঃ-
সব সময়ের মত সর্বমোট খরচ সবাই সমান ভাবে ভাগ করে নেই। এবার প্রতিজন ৪৬০০ টাকা পড়েছে। রেন্ট এ কার ও এসি বাস ট্রেন বাদ দিলে এই ট্যুরে আরও ১০০০টাকা কমানো সম্ভব বিস্তারিত খরচ নিচে দেয়া হলঃ-





আমি দিনাজপুরের নিচের হোটেল গুলোর নাম্বার নিয়ে গিয়েছিলামঃ

1. Hotel Unique Residential
(এই হোটেল এ ছিলাম ৭০০ টাকা রুম ভাড়া ৪ জনের জন্য)

Address: Nimtola, Dinajpur. Phone: +88-0531-52203 Cell: +88-01736-335264, +88-01977-335264

2. Riyad Guest House

Address: Mahmud Tower, Charubabur Mor, Dinajpur.

3. Hotel Diamond Residential
Address: Maldapotti, Dinajpur. Phone: +88-0531-64629

4. New Hotel Residential
Address: Station Road, Dinajpur. Phone: +88-0531-64155

5. Hotel Al Rashid
Address: Nimtola, Dinajpur. Phone: +88-0531-64251

6. Hotel Sonar Tori Residential
Address: Ganeshtola, Dinajpur. Cell: +88-01716-018995

7. Hotel Himachal
Address: Gulshan Market, Goneshtola, Dinajpur. Phone: +88-06445300093. Cell: +88-01716-513609

8. Hotel Konica (PVT.) LTD
Address: Dinajpur Station Road,Dinajpur. Cell: +88-01818291572, +88-01715126485.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.