![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ নিয়ে আমি বড়ো স্বপ্ন দেখি না , দেখা উচিতও না । প্রিয় এনসিপি তোমরাও বড়ো স্বপ্ন দেখতে যেয়ো না । কারণ যে দেশে অধিকাংশ মানুষ পরিবারতন্ত্র মেনে চলে , সে দেশে আর যাই হোক, বড়ো স্বপ্ন দেখা অন্যায় । বর্তমান বাংলাদেশে বিএনপিই শেষ ভরসা , কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো বিএনপির ভিতরেই গনতন্ত্র নেই , বরং আছে স্বৈরতন্ত্র । বিএনপি যতোই বলুক ভালো দেশ চালাবো , কিন্তু বাস্তবতা হলো , বিএনপি স্বৈরাচার হবে ।
বাংলাদেশে যারা পূর্ণ মাত্রার গনতন্ত্র চায় এবং ইউরোপের মতো সভ্যতা চায় , তারা ছোটো ছোটো দল । আমি তাদেরকে বলবো, তোমরা মানুষকে বলো - আমরা ক্ষমতায় গেলে , দলের মধ্যে ১০ বছরের মধ্যে পূর্ণ গনতন্ত্র চর্চা করবো এবং কখনোই পরিবারতন্ত্র বা দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী করবো না । ধীরে ধীরে এটা মানুষকে বুঝাও । আর সবচাইতে বড়ো দায়িত্ব হলো বিএনপির সাথে জোট করে নির্বাচন করা এবং বিএনপিকে সর্বদা সর্বোচ্চ চাপে রাখা ও ভালো সমালোচনা করা । যাতে তারা ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচার হতে না পারে ।
দুঃখজনক হলেও সত্যি , বর্তমান বাংলাদেশে একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী গনতন্ত্রকে অন্যায় মনে করে , এদেরকে ঠেকাতে হবে । আর এদেরকে ঠেকানোর জন্যই বিএনপিকে দরকার । তাই বলছি বিএনপিকে চাপেও রাখতে হবে , আবার নির্বাচনী জোটও গড়তে হবে । আমার অবাক লাগে যারা বাংলাদেশ চায়নি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলো ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ ছিলো , তারা এই স্বাধীন দেশে কিভাবে রাজনীতি করে ।
প্রিয় গনতন্ত্রকামী মানুষ এই দেশ বড়ো স্বপ্ন দেখো না , বরং ছোটো ছোটো স্বপ্ন দেখো । আর মহান আল্লাহর নিকট ভবিষ্যতের জন্য পূর্ণ গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাও , তবেই কর্মপন্থা ও উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে ইনশাআল্লাহ । আশার বাণী হলো যখনই বাংলাদেশ বড়ো সংকটে পড়ে , তখনই ছাত্র জনতা মহান আল্লাহর ইচ্ছায় বাংলাদেশকে রক্ষা করে । আমি প্রার্থনা করি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সুন্দর বাংলাদেশ হবে এবং সবাই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।
( মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ ) ।
২| ২২ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: @কুতুব,ইসমাম ধর্মে গনতন্ত্র নাই,আছে খিলাফত আর জামাত ইসলামপন্থী দল।আর এনসিপি কোন রাজনৈতিক দলই না।
৩| ২২ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: কোন দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শ্বাধীন হয়েছিলো বলে আপনার ধারনা?
৪| ২২ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: জামাত ক্ষমতায় এলে আপনি খুশি হবেন?
৫| ২২ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে, রাজনীতিবিদদের অবদান শুধুমাত্র স্বাধীনতার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা দেখতে পাই (এর জন্য কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ প্রাপ্য), অন্যান্যক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের অবদান নেতিবাচক। আমাদের রাজনীতিবিদরা নেতিবাচক ভূমিকা পালনে খুবই সচেতনতা এবং আন্তরিকতা প্রদর্শন করে যাইতেছে, উদ্দেশ্য অবশ্যই ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জন। যার ফলস্বরূপ আমাদের শিক্ষা, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ধ্বংস হয়ে গেছে, বৃহত্তর জনগণ নীতিহীন; পরিণতিতে দেশের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা রাখার জন্য নেতৃত্ব দেবার মতো কেউ তৈরী হইতেছে না। নেতৃত্বহীন জাতির যা হবার কথা আজকে দেশে তাই হইতেছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মিলিটারি শুধুমাত্র নীতিহীন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য লড়াই করেছে, এই লড়াইয়ে সকলের ভূমিকা দেশের উন্নয়নে নেতিবাচক ছিল না।
৬| ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
কাঁউটাল বলেছেন: বিএনপি অনেক দিক থেকেই আপসকামী অবস্থানে চলে গেছে, কিন্তু নতুন রাজনৈতিক শক্তি এনসিপি আরও ভয়াবহ লক্ষণ দেখাচ্ছে। এরা একদিকে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে চুপচাপ আপস করে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরাসরি ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে—যা বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এর মাঝে ড. ইউনূস একটি দক্ষিণ এশীয় জলবিদ্যুৎ গ্রিড গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। দেখতে ভালো শোনালেও, এর প্রকৃত বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের জন্য তা চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এই হাইড্রোইলেকট্রিক গ্রিডের মাধ্যমে আমাদের প্রাণরেখা যমুনা নদীর প্রবাহ শুকনো মৌসুমে আরও ভয়াবহভাবে আটকে যাবে। ফলে কৃষি, মিঠা পানির প্রাকৃতিক ভারসাম্য, এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বে।
আরও ভয়ংকর হলো, এই প্রকল্পের ফলে আমাদের উজানের রাষ্ট্রগুলো—যেমন ভারত ও চীন—নদীর পানিপ্রবাহকে রাজনৈতিক চাপের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। যখন তাদের ইচ্ছা, তখন কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করা বা দীর্ঘ খরা চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে চলে যাবে। এই ধরনের 'রাজনৈতিক ফ্ল্যাশ ফ্লাড' আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।
যদি বাংলাদেশ এই অঞ্চলের বিদ্যুৎ গ্রিডের অংশ হয়, তবে সেই সঙ্গে আমাদের ভূখণ্ড দিয়ে উচ্চক্ষমতার বৈদ্যুতিক লাইনও যেতে হবে। এর ফলে উজানের দেশগুলো আরও সহজে আন্তর্জাতিক তহবিল পাবে নতুন বাঁধ নির্মাণের জন্য, অথচ আমরা হব তাদের কার্যত 'ট্রানজিট করিডোর'। এতে করে একদিকে পানি হারাব, আরেকদিকে আমাদের ভূমি হয়ে উঠবে অন্যের স্বার্থ পূরণের হাতিয়ার।
এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে চিন্তা করার আগে আমাদের বুঝতে হবে—জাতীয় স্বার্থ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর সার্বভৌম অধিকার কখনোই আপসযোগ্য নয়। যারা এই বিষয়গুলোতে আপস করছে বা চোখ বুঁজে আছে, তারা এই জাতির সত্যিকারের মঙ্গল চায় না।
(কালেকটেড)
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৩:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে সকল গণতান্ত্রিক দল স্বৈরাচার ! কেবল জামায়াত ও এনসিপি বাদে ।