নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ক্যাথরিন জনসন ১৯১৮ সালের ২৬ই অগাস্ট হোয়াইট সালফার স্প্রিংস, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে ন্যাশনাল অ্যাডভাইসারি কমিটি ফর এরোনটিক্সএ (NACA) যোগ দেন, যা পরবর্তীতে ন্যাশনাল এরোনটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) নামে পরিচিত হয়।
ক্যাথরিন জনসন ১৯৩৭ সালে সর্বোচ্চ সম্মান সহ স্নাতক হন এবং ভার্জিনিয়াতে একটা কালোদের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। জেমস গোব্লেকে বিয়ে করার পর এবং তিন মেয়েকে দেখাশুনা করার জন্য তিনি শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন। মেয়েরা বড়ো হওয়ার পর ১৯৫৩ সালে ন্যাশনাল অ্যাডভাইসারি কমিটি ফর এরোনটিক্সএ (NACA) যোগ দেন. ১৯৫৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তার স্বামী মারা যান।
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক স্যাটেলাইটে উৎক্ষেপণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাস যেমন পাল্টে যেতে থাকে তেমনি পাল্টে যেতে থাকে ক্যাথেরিন জনসনেরও জীবন। তিনি ১৯৫৮ সালে চালক বিহীন বিমান চালনার ক্ষত্রে কিছু গাণিতিক সমাধান প্রদান করেন। ১৯৬১ সালে আমেরিকার প্রথম মনুষ্য চালিত মহাকাশ ভ্রমণ, ফীডম ৭ মিশনের, গতি পথের গাণিতিক বিশ্লেষণ করেন।
১৯৬২ সালে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, জন গ্লেনকে কক্ষপথ পরিভ্রমণে পাঠাবে. কিন্তু এটা ছিল খুবই জটিল একটা কাজ. কারণ কম্পিউটার তখন এত উন্নত ছিলোনা। আই বি এম কম্পিউটারের মাধ্যমে একটা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে যুক্ত থাকবে ওয়াশিংটন ডিসি, কেপ ক্যানাভেরাল, এবং বারমুডা. কম্পিউটারে প্রোগ্রাম করা হল, উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে মহাকাশযানের সমুদ্র-অবতরণ পর্যন্ত কক্ষপথকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু মহাকাশচারীরা ভরসা করতে পারছিলেননা, তাদের জীবন শুধুমাত্র কম্পিউটার প্ৰগগ্রামের উপর ছেড়ে দিতে. গ্লেন ইঞ্জিনীরদেরকে বললেন "সেই মেয়েকে নিয়ে আসো", ক্যাথেরিন জনসন যে কম্পিউটারের পাশাপাশি তার মেকানিকাল ক্যাল্কুলেটিং মেশিন দ্বারা গাণিতিক বিশ্লেষণ করবে। মহাকাশচারী গ্লেন বললেন, হিসাব করার পর ক্যাথেরিন জনসন যদি বলে কম্পিউটারের হিসাব ঠিক আছে, তাহলেই আমি মহাকাশ অভিযানে যেতে প্রস্তুত. গ্লেনের অভিযান সফল হয়ে ছিল, যা মহাশূন্য অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে এগিয়ে দেয়।
ক্যাথরিন জনসনের সবচে বড়ো অবদান হচ্ছে এপোলোর লুনার ল্যান্ডের মডিউল ও সার্ভিস মডিউলকে চাঁদের কক্ষপথে স্থাপনের ক্ষত্রে সঠিক হিসাব নির্ণয় করা। তিনি স্পেস সাঁটল এবং আর্থ রিসোর্সেস স্যাটেলাইটও কাজ করেছেন। তিনি এ পর্যন্ত ২৬টা গবেষণা রিপোর্টের লেখক অথবা সহ-লেখক। তিনি ১৯৮৬ সালে অবসর গ্রহণ করেছেন। ২০১৫ সালে ৯৭ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট ওবামা তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম পদকে ভূষিত করেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৮
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২২
হাসান রাজু বলেছেন: ভালো লাগল সংক্ষিপ্ত পোস্ট।
১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৪
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ।
এই চাইতে বেশি লেখলে পাঠকরা বিরক্ত হবে।
তবে ছোট লেখা হলেও প্রায় সব তথ্যই এখানে আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১১
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম, ভালো লাগা রইলো