নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
ব্রিটেনের সাথে উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলির দ্বন্দ্ব-সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠে. ব্রিটিশরা মনে করতো মূল ভুখন্ডের কল্যাণের জন্যই উপনিবেশগুলির অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে. আর এ ধরণের মনোভাবের কারণেই আমেরিকায় বসতি স্থাপনকারীদের মাঝে অসন্তোষ জন্মনেয়. ১৬৫১ সালে ব্রিটিশ সংসদে ন্যাভিগেশন এক্ট নাম একটা আইন পাস হয়. এই আইনে বলা হয়, ইউরোপের বাইরে কোনো পণ্য উৎপন্ন বা তৈরি হলে, সেই পণ্য ইংল্যান্ডে রফতানি করতে হলে, ইংল্যান্ডের জাহাজ ব্যবহার করতে হবে. আরো কিছু পণ্যপরিবহন আইন প্রণয়ন করা হয়, সে গুলিতেও একই শর্ত এরূপ করা হয়. ১৬৬০ সালের ন্যাভিগেশন এক্টএ বলা হয়, আমেরিকাতে উৎপন্ন কতিপয় পণ্য, যেমন, তুলা, নীল, চিনি এবং তামাক শুধুমাত্র ব্রিটেনে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতেই রফতানি করা যাবে, এর বাইরে কোনো দেশে রফতানি করা যাবে না. ১৬৭০ এবং ১৬৭৩ সালেও এই ধরণের আরো কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়. প্রথম দিকে ব্রিটিশরা আইনগুলি বাস্তবায়নের জন্য তেমন উদ্যোগ নেয়নি এবং মার্কিন উপনিবেশগুলিও ব্যাপকভাবে তা অবজ্ঞা করতে থাকে. ১৭৬৩ সালের পর থেকে ব্রিটিশরা আইনগুলি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর উদ্যোগ নেয়, এতে উপনিবেশগুলেতে অসন্তোষ দেখাদেয়.
অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আমেরিকার উপনিবেশগুলোতে জনসংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে. সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ দিকে জনসংখ্যা যেখানে ছিল প্রায় ৩ লক্ষ্, সেখানে ১৭৬০ সালে জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লক্ষে. ১৭৮০ সালে এটা হয়ে যায় দ্বিগুন. অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে বিপূল সংখ্যক অভিবাসী আসতে থাকে, তারা ছিল ধর্মমতে স্কটিশ প্রেসবিটেরিয়ান্স. তা ছাড়াও স্কটল্যান্ড থেকেও অনেক অভিবাসী আসতে থাকে. অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে জার্মানি থেকেও বিপূল সংখ্যক মানুষ এখানে আসে. উত্তর আমেরিকাতে জমি খুব শস্তা এবং উন্নত জীবন যাপনের আশায় মানুষ বিপূল সংখ্যায় উত্তর আমেরিকাতে বসতি গড়তে আসে.
©somewhere in net ltd.