নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
১৮১২ সালের যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও এর প্রভাব
বাল্টিমোর আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পর, ব্রিটেন একতরফা ভাবে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে। এরই মধ্যে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা বর্তমান বেলজিয়ামের জেন্ট শহরে শুরু হয়। ১৮১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জেন্ট চুক্তি স্বক্ষরিত হয়, যা ১৮১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এন্ড্রো জ্যাকসন (যিনি পরবর্তীতে যুক্তরাষ্টের ৭ম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ছিলেন) এই চুক্তির কথা জানতেন না। তিনি ১৮১৫ সালের ৮ জানুয়ারী নিউ অরলিন্সে সমবেত হওয়া ব্রিটিশ বাহিনীকে আক্রমন করে পরাজিত করেন। এই যুদ্ধের খবর আমেরিকানদের হতোদ্যম হওয়া মনবলকে চাঙ্গা করে যুদ্ধ বিজয়ের আনন্দ অনভুতি এনে দেয়। এই যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করা ছাড়া, যুদ্ধের কোনো লক্ষই অর্জিত হয় নি।
কোনো লক্ষ্য অর্জিত না হলেও, এই যুদ্ধের প্রভাব সুদূর প্রসারী হয়। ১৮১২ সালের যুদ্ধ যদিও অন্য যুদ্ধের তুলনায় সীমিত আকারের ছিল, কিন্তু এর ফলে কানাডিয়ান ও নেটিভ আমেরিকানরা বুঝতে পারে তাদের নিজেদের শাসন করার সংগ্রামে তারা সফল হবে না। এই যুদ্ধে আরেকটি অভ্যন্তরীন সাফল্য আসে, তা হল, যুদ্ধের পূর্বে রাজনীতিবিদরা চরমভাবে বিভক্ত ছিল। কিন্তু যুদ্ধ বিজয়ের ফলে তাদের মধ্যে বিভক্তি কমে যায়, সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে আসে। এই যুদ্ধের পর ফেডেরালিস্ট পার্টি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফেডেরালিস্ট পার্টি যুদ্ধের বিরোধিতা করে ছিল। এই যুদ্ধের সবচাইতে বড় অর্জন হলো, আমেরিকানদের জাতীয় আত্মবিশ্বাস প্রবলভাবে বৃদ্ধি পায়।
©somewhere in net ltd.