নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চলেও কনফেডারেটদের অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে। ১৮৬৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কনফেডারেটরা অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে পরাজিত হয়। কিন্তু পিটার্সবার্গ ও রিচমন্ডে কনফেডারেটরা শক্ত অবস্থান বজায় রাখে। শত চেষ্টা করেও যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী অনেকদিন পর্যন্ত ঐ দুই শহরের দখল নিতে ব্যর্থ হয়।
১৮৬৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত টেনেসি রাজ্যের চাটানওগা অভিযানে (Chattanooga Campaign) বিজয় অর্জনের পর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেকোমাস সরমেনের নেতৃত্বে সমুদ্র পথে জর্জিয়া অভিমুখে অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে সরমেনের বাহিনী ১৮৬৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আটলান্টায় প্রবেশ করে। ১৮৬৪ সালে ২১ ডিসেম্বর জর্জিয়ার সাভানাহ দখল করে নিলে কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা মাঝখান বরাবর দুই ভাগে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এরপর জেনারেল সরমেন আরো উত্তরে সাউথ ক্যারোলিনার দিকে অগ্রসর হয়ে ১৮৬৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী কলম্বিয়া দখলকরে নেন। এরপর নর্থ ক্যারোলিনার উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
এইদিকে ভার্জিনিয়াতে মেজর জেনারেল ইউলিসিস এস. গ্রান্টের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী জেনারেল রবার্ট এডওয়ার্ড লির নেতৃত্বাধীন কনফেডারেট বাহিনীর উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে।
পিটার্সবার্গের তৃতীয় যুদ্ধ (Third Battle of Petersburg)
১৮৬৫ সালের ২ এপ্রিল ভার্জিনিয়ার পিটার্সবার্গে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পিটার্সবার্গের তৃতীয় যুদ্ধকে পিটার্সবার্গে শত্রুবূহ্যভেদ বা পিটার্সবার্গের পতনও বলা হয়। কার্যতঃ এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিজয়ের মধ্যদিয়ে আমিরিকার গৃহযুদ্ধ পরিসমাপ্তির দিকে অগ্রসর হয়। এই যুদ্ধে পিটার্সবার্গ ও রিচমন্ডের পতন হয়। ১৮৬৫ সালের ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী পিটার্সবার্গ ও কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকার রাজধানী রিচমন্ড দখল করে নেয়। জেনারেল রবার্ট এডওয়ার্ড লি সহ কনফেডারেট বাহিনীর সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালতে থাকে।
©somewhere in net ltd.