নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রীতদাস প্রথা – শেষ পর্ব

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০১

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩য় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন দাস আমদানি নিষিদ্ধ করে আইন জারি করেন, যা ১৮০৮ সালে কার্যকর হয়। কিন্তু চোরাই পথে দাস আমদানি ও কেনা-বেচা অব্যাহত থাকে। বরং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তুলা চাষ বেড়ে যাওয়াতে দাস-শ্রমিকের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাস কেনা-বেচা অনেক বেড়ে যায়। এই সময়ে দক্ষিণের উপরের দিকের রাজ্যগুলি থেকে আরো নিচের দিকের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ১০ লক্ষেরও অধিক দাস বিক্রি করা হয়। দাসদেরকে বলপূর্বক স্থানান্তর করা হয়, এই সময়ে অনেক দাস পরিবার পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিচের দিকের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকানদের একটা নতুন সমাজ, একটা নতুন সংস্কৃতি গড়ে উঠে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে দাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ লক্ষে দাড়ায়।

ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মেক্সিকোর কাছ থেকে নতুন নতুন অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের দখলে আসায় যুক্তরাষ্ট্রে সীমানা যখন পশ্চিম দিকে বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখন দক্ষিণের রাজ্যগুলি কংগ্রেসে তাদের রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। ১৮৫০ সালের মধ্যে তুলা চাষের মাধ্যমে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠায় দক্ষিণের রাজ্যগুলি দাসপ্রথা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেড় হয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। ফলে দাসপ্রথা প্রশ্নে উত্তর ও দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকি ব্যাপটিস্ট, মেথডিস্ট, এবং প্রেসবিটারিয়ান খিষ্ট্রান গির্জাগুলিও দাসপ্রথা প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে যায়। আব্রাহাম লিংকন ১৮৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হয়েই দাসপ্রথার বিস্তার রোধ করার ব্যবস্থা নেন। ফলে ১৮৬১ সালে দক্ষিণের সাতটি রাজ্য যথা- সাউথ ক্যারোলিনা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া, লুইসিয়ানা, এবং টেক্সাস যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেড় হয়ে যেয়ে কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা নামে নতুন একটা রাষ্ট্র গঠন করে। আর কিছু দিন পরেই কনফেডেটের বাহিনী কর্তৃক সাউথ ক্যারোলিনার চার্লস্টনে অবস্থিত সামটার দুর্গ আক্রমণের মাধ্যমে আমেরিকাতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ১৮৬১ সালের ১২ এপ্রিল। পরে আরো চারটি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করে কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকায় যোগ দিয়ে। এই চারটি রাজ্য হলো, ভার্জিনিয়া, আরকানসাস, টেনেসি এবং নর্থ ক্যারোলিনা।

গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস কর্তৃক ১৮৬১ সালে কনফিসক্যাশন এক্টস পাস এবং ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন কর্তৃক ইমানসিপেশন প্রক্লেমেশন ঘোষণার ফলে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৮৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দাসপ্রথা চিরতরে বিদায় করা হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩১

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: আমার তো মনে হয় দাসপ্রথা এখনও বন্ধ হয়নি ! শুধুমাত্র তার পরিভাষা , প্রথা , আপডেট হয়ে ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে ! বর্তমানে তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ বর্ণবাদ ! শ্রেতাঙ্গরা এখনও কৃষ্ণাঙ্গদের সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখে !

২| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: কথা অনেকাংশেই সঠিক। বলতে পারেন আরো খারাপ। আগে জোর করে দাস বানানো হতো। এখন মানুষ নিজে স্বেচ্ছায় এসে নিজেকে দাস হিসাবে বিক্রি করে। একটা ঘটনা বলি, একজন বাংলাদেশী জমি-জিরাত বিক্রি করে ২৫ লাখ টাকা দালালকে দিয়ে অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছে। তার কোনো বৈধ কাগজপত্র নাই। দেশে ফেলে এসেছে বৃদ্ধা মা, অল্পবয়স্কা স্ত্রী। তার একমাত্র লক্ষ্য ২৫ লাখ টাকা তুলতে হবে, আর মাসে মাসে দেশে টাকা পাঠাতে হবে। মেরিল্যান্ডে এখন সর্বনিম্ন বেতন প্রতি ঘন্টায় ৯.২৫ ডলার। কিন্তু যেহেতু তার বৈধ কোন কাগজপত্র নাই, সে ঘন্টায় ৭ ডলারে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। সকাল দশটায় পায়ে হেটে কাজে আসে, আর রাত এগারোটায় কাজ শেষে আবার হেটে রাত বারোটায় বাসায় ফেরে। বাসায় ফিরে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করে একটা-দেড়টায় ঘুমাতে যায়। আবার পর দিন একই ভাবে কাজে যায়, কাজ থেকে আসে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। কোনো বিনোদন নাই, কোনো আত্মীয়স্বজন নাই, কোনো বন্ধুবান্ধব নাই। কোন আশা নাই, কোন ভবিষৎ নাই। আছে দেশ থেকে প্রতিনিয়ত আসা দুঃসংবাদ , আছে পুলিশের ভয়, আছে চাকরি যাওয়া ভয়। ক্রীতদাসের অবস্থা কি এত খারাপ ছিল ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.