নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।
নতুন নতুন পরিকল্পনা
আমেরিকার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠার জন্য ৩২ তম প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডিলান রুজভেল্ট অনেক নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমেই আমেরিকানদের হতোদ্যম মনবলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। তিনি আমেরিকানদের আশস্ত করেন এবং নিজে প্রতিজ্ঞা করেন আমেরিকার অর্থনীতিকে পুনর্জীবিত করার জন্য তিনি নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। অনেক নতুন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেয়ার পরও ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে খুব সীমিত সাফল্য এসেছে। ধীরে ধীরে বেকারত্বের হার শতকরা ১৫ ভাগে নেমে আসে। কিন্তু ১৯৩৭ সালে অর্থনীতি আবারো মন্দাকবলিত হয়ে পরে, বেকারত্বের হার শতকরা ১৫ থেকে ১৭ ভাগে বৃদ্ধি পায়। এদিকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে শিল্পোৎপাদন বাড়তে বাড়তে ১৯২৯ সালের পর্যায়ে উঠে আসে।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার একশ' দিনের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য নতুন কিছু আইন পাস করতে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট কংগ্রেসকে রাজি করান। সংস্কারের অংশ হিসাবে ১৯৩৩ সালের ৯ মার্চ এমার্জেন্সি ব্যাংকিং এক্ট দ্বারা আমেরিকার সব ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেন। এই আইনে বলা হয় সরকার পর্যালোচনার পর যে ব্যাংককে স্বচ্ছল মনে করবে, শুধুমাত্র সেই ব্যাংককেই খোলার অনুমতি দিবে। এই আইনি পদক্ষেপের ফলে জনগণের মনে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা ফিরে আসে। মানুষ আবার ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে শুরু করে।
১৯৩৩ সালের ১২ মে ফেডারেল এমার্জেন্সি রিলিফ এক্ট পাস হয়। এই আইনে বেকারদেরকে বেকার ভাতা প্রদান এবং বেকাররা যাতে কাজ পায় সেই জন্য রাস্তা মেরামত, পার্ক ও স্কুল উন্নয়ন ইত্যাদি কাজে তাদেরকে নিয়োজিত করার বিধান রাখা হয়। বেকারদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার উদ্দ্যেশে ১৯৩৩ সালে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে একটা বাহিনী গঠন করেন। এতে অনেক বেকারের চাকরি হয়। গণপূর্ত প্রশাসন সৃষ্টি করে, এর অধীনে সরকারি ভবন, ব্রিজ, বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা হয়। লক্ষ্য একটাই বেকারদের কর্মসংস্থান করা।
একই সংগে কৃষকদের উন্নতির জন্য ১৯৩৩ সালে এগ্রিকালচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট এক্ট পাস করা হয়। এই আইন প্রয়োগ করে আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃষিপণ্যের দাম বাড়ানো হয় যাতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারে। যে কৃষিক্ষেত্রগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে অব্যবরিত রাখা হয়ে ছিল সেগুলির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়। ১৯৩৭ সালে ফার্ম সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আইন পাস করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে বর্গাচাষীদেরকে ঋণ প্রদান করা হয় যাতে তারা জমিটা কিনে নিতে পারে। কিন্তু অনেক অঞ্চলে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কৃষকের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। ক্যালিফোর্নিয়ার অনেক কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যায়।
১৯৩৫ সালে সোশ্যাল সিকিউরিটি এক্ট পাস হয়, এতে বয়স্কদের অবসরকালীন ভাতা এবং বেকারদের জন্য বীমা ব্যবস্থার বিধান রাখা হয়। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা, সর্বনিম্ন মুজুরি নির্ধারণ ইত্যাদি অনেক ব্যাপারে ১৯৩৫ টি ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত অনেকগুলি আইন পাস করা হয় (National Labor Relations Act, 1935; Wagner Act, 1935; Fair Labor Standards Act, 1938) ।
©somewhere in net ltd.