নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -- দ্বাদশ পর্ব

০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:০৬

ট্রুম্যান মতবাদ (Truman Doctrine)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচাইতে ধনী ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন একই সাথে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু ১৯৪৫ সালের পরপরেই তাদের সম্পর্ক দ্রুত শীতল হয়ে যায় এবং ১৯৪৭ সালের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে স্নায়ু-যুদ্ধ বা শীতল-যুদ্ধ (Cold War) শুরু হয়ে যায়।

১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্ট গেরিলাদেরকে দমন করার জন্য গ্রীক সরকারকে সাহায্য করতে থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতির কারণে ব্রিটেনের পক্ষে দীর্ঘদিন গ্রীককে সাহায্য করা সম্ভব হয়নি। এই সময়ে আমেরিকার ৩৩ তম প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূরাজনৈতিক সম্প্রসারণকে প্রতিহত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন। ১৯৪৭ সালের ১২ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান যে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন তাকে ট্রুম্যান মতবাদ বা Truman Doctrine বলে। এই মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, কোনো সশস্ত্র বিপ্লবী গোষ্ঠী বা কোনো বহিরাগত শক্তি যদি কোনো দেশে বিপ্লব সংঘটিত করতে চায়, সেই ক্ষত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিপ্লবীদের বিরুদ্ধের সরকারকে সমর্থন করবে। আর এই সমর্থনের ধরন হবে, আর্থিক ভাবে বিপ্লব বিরোধীদের সমর্থন করা এবং যুক্তরাষ্ট্র বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে সরাসরি তার সেনাবাহিনী পাঠাবে না। অব্যাহত সোভিয়েত হুমকি মোকাবেলা করার জন্য ১৯৪৮ সালের ১২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র গ্রীস এবং তুরস্ক সরকারকে সাহায্য করার জন্য আর্থিক মঞ্জুরী ঘোষণা করে।

ট্রুম্যান মতবাদ অনুসারে যেসমস্ত দেশ সোভিয়েত কমিউনিজমের হুমকির মুখে ছিল, সেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। তাছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীসময়ে ইউরোপের বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ সি. মার্শাল ১৯৪৭ সালে ইউরোপকে আর্থিক সাহায্য করার প্রস্তাব করেন। এই পরিকল্পনাকে বলা হয় মার্শাল প্ল্যান। মার্শাল প্লানের অধীনে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সল পর্যন্ত ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্র বিপুল আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। এতে ইউরোপের বিধ্বস্ত অর্থনীতি আবারো চাঙ্গ হয়ে উঠে।

ট্রুম্যান মতবাদ ছিল আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি। এই মতবাদের ভিত্তিতেই ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত হুমকিকে মোকাবেলা করার জন্য ন্যাটো বা উত্তর অতলান্তিক চুক্তি সংস্থা (North Atlantic Treaty Organization বা NATO) গঠিত হয়, যা এখনো বিদ্যমান।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ১০:১৭

শরীফুর রায়হান বলেছেন: সুন্দর প্রয়াশ, চালিয়ে যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.