নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র -- শেষ পর্ব

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:১৬

ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারি
১৯৭২ সালের ১৭ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়াটারগেইট বিল্ডিংএ অবস্থিত ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করার সময় পুলিশ পাঁচ জন ব্যক্তিকে আটক করে। পরে আরো দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়, যারা হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত সবাই প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য। প্রথমে প্রেসিডেন্ট নিক্সন গ্রেফতারকৃতদের সাথে তার প্রশাসনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।

১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে আদালত সাতজনের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিতদের একজন প্রকাশ করে যে, হোয়াইট হাউসের নির্দেশে ও ব্যবস্থাপনায় তারা এই কাজ করেছে। পরে তদন্তে দেখা যায় হোয়াইট হাউসের একাধিক কর্মকর্তা এই কাজের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ছিল।

প্রেসিডেন্ট নিক্সন খুব দৃঢ়তার সাথে এই কাজে তার কোনো ধরণের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। তিনি এই কাজে জড়িত কি জড়িত না, তা প্রমান করার জন্য তদন্তকারীরা প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কথোপকথনের রেকর্ডকৃত ট্যাপ জমা দিতে বললে, তিনি তা জমা দিতে অস্বীকার করেন। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসে তিনি ট্যাপের সম্পাদিত সংস্করণ জমা দিতে রাজি হন। ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট সব ট্যাপ জমা দিতে হবে। ১৯৭৪ সালের ৫ আগস্ট সব ট্যাপ জমা দিলে প্রমাণিত হয়ে যায় যে প্রেসিডেন্ট নিক্সন এই কাজের সাথে সরাসরি জড়িত। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের জনসমর্থনে ধ্বস নেমে আসে। তিনি ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এই ঘটনায় ৬৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তবে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, যাদের অধিকাংশই প্রেসিডেন্ট নিক্সন প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা।

একদিকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আরেকদিকে ওয়াটারগেইট কেলেঙ্কারি, এই দুই ঘটনার প্রভাবে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা নেমে আসে। ১৯৭৫ সালে বেকারত্বের হার শতকরা ৮.৫ ভাগে দাঁড়ায়। এই ধরণের সংকট সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচাইতে ধনী ও শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে তার অবস্থান টিকিয়ে রাখে।

১৯৮৯ সালে পূর্ব ইউরোপিয়ান কমিউনিস্ট সরকারগুলির একের পর এক পতনের মধ্যে দিয়ে হটাৎ করেই স্নায়ু যুদ্ধের অবসান ঘটে। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিস্ট সরকারের পতনের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভুত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.